মহিলা মাদ্রাসায় গণধর্ষণের অভিযোগ: শিক্ষক-পরিচালক গ্রেপ্তার, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি:
টাঙ্গাইল শহরের এনায়েতপুর এলাকার হযরত ফাতেমা (রা.) মহিলা মাদ্রাসায় শিক্ষক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে একাধিক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। মাদ্রাসার আবাসিক শিক্ষার্থীদের ওপর দীর্ঘদিন ধরে এই নির্যাতন চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। যদিও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রাথমিকভাবে কিছু ভুক্তভোগীর অভিযোগ আমলে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে। এই ঘটনা সারাদেশে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে এবং অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জোরালো হচ্ছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তাদের পরিবারের অভিযোগ অনুযায়ী, মাদ্রাসার শিক্ষক ও পরিচালকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের ওপর পাশবিক নির্যাতন চালানোর অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, তারা ভয়ভীতি দেখিয়ে এই ঘটনা গোপন রাখতেন।
স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, একপর্যায়ে কয়েকজন ছাত্রী বিষয়টি পরিবারকে জানালে ঘটনাটি সামনে আসে। নির্যাতনের শিকার হওয়া ছাত্রীদের মধ্যে অধিকাংশই অপ্রাপ্তবয়স্ক।
অভিযোগ সামনে আসার পর পরই টাঙ্গাইল মডেল থানা পুলিশ দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করে। প্রধান অভিযুক্ত শিক্ষক এবং মাদ্রাসার পরিচালককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর পক্ষ থেকে মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং প্রাথমিক তদন্ত চলছে।
টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) বলেন, “আমরা অভিযোগ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দুই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছি। ভুক্তভোগী ছাত্রীদের জবানবন্দি নেওয়া হচ্ছে এবং প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
এই ঘটনায় স্থানীয় জনগণ ও সচেতন মহলে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে। তারা অভিযুক্তদের দ্রুত বিচার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে জবাবদিহিতা এবং নজরদারি বাড়ানো জরুরি, যাতে ভবিষ্যতে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তি না ঘটে।























