লাখ টাকা ঘুষের অভিযোগ তুলে নিজেই শাস্তি পেলেন সঞ্চয় অধিদপ্তরের কর্মকর্তা

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক:
জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ঘুষ দাবির মিথ্যা অভিযোগ করে শেষ পর্যন্ত সাময়িক বরখাস্ত হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানটির সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম। পাশাপাশি বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করা হয়েছে। যদিও পরবর্তীতে বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব মো. আবদুর রহমান খানের সই করা আদেশ সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। গত ২৫ সেপ্টেম্বর এ বিষয়ে আদেশ করা হয়েছে বলে শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির এক কর্মকর্তা।
বরখাস্তের আদেশ সূত্রে জানা যায়, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তরের সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে তার অধস্তন কর্মকর্তা সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজুল ইসলাম এক লাখ টাকা ঘুষ দাবির অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অধিদপ্তর থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে প্রমাণিত হয় যে, মো. রিয়াজুল ইসলাম উদ্দেশ্যমূলকভাবে তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেনের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করেছেন। অভিযোগটি ভুয়া প্রমাণিত হবে বুঝতে পেরে পরে তিনি তদন্ত কমিটির কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ প্রত্যাহার করে নেন। অসত্য অভিযোগ দায়ের করায় রিয়াজুল ইসলামের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(খ) অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’ এর অভিযোগে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়। একই বিধিমালার ১২(১) অনুযায়ী তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
এরপর কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হলে রিয়াজুল ইসলাম জবাব দেন এবং ব্যক্তিগত শুনানির আবেদন করেন। গত ১৬ সেপ্টেম্বর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তি হিসেবে তাকে বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমন করা হয়। জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫-এর ৯ম গ্রেড (বেতন স্কেল ২২,০০০-৫৩,০৬০ টাকা) অনুযায়ী তার নতুন বেতন নির্ধারণ করা হয়েছে ৩৯ হাজার ৫৭০ টাকা। একই সঙ্গে তার সাময়িক বরখাস্তের আদেশ প্রত্যাহার করা হয়।
ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মো. এনায়েত হোসেনকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানি করার কারণে তার বিরুদ্ধে লঘুদণ্ড হিসেবে বেতন গ্রেডের নিম্নতর ধাপে অবনমিত করার সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।