মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিচার ও পরিবারের নিরাপত্তার দাবিতে তানজিলা আক্তারের সংবাদ সম্মেলন

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি:
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগরে এক মাদরাসা শিক্ষককে মিথ্যা ধর্ষণচেষ্টার মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে মুন্সীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাংবাদিক সফিউদ্দিন আহমেদ মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন মাদরাসার অধ্যক্ষ মুফতি তকীউর রহমানের স্ত্রী তানজিলা আক্তার।
লিখিত বক্তব্যে তিনি জানান, গত ৭ আগস্ট শ্রীনগর থানায় ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী হাফসা আক্তারকে জড়িয়ে তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি ধর্ষণচেষ্টার মামলা করা হয়। কিন্তু ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, সাজানো এবং প্রতিহিংসামূলক দাবি করে তিনি মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।
তানজিলা আক্তার বলেন, হাফসা চলতি বছরের এপ্রিল মাসে মাদরাসায় ভর্তি হওয়ার পর থেকেই অস্বাভাবিক আচরণ করতে থাকে। পরে জানা যায়, সে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছে এবং আন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েছে। বিষয়টি তার মা নিশ্চিত করলে মাদরাসার সুনাম রক্ষায় ছাত্রীটিকে বাড়ি পাঠানো হয়। তবে হাফসার পরিবার পরে পুনরায় ভর্তি করে দেয়।
তিনি অভিযোগ করেন, স্থানীয় প্রতিদ্বন্দ্বী মাদরাসার পরিচালক ইউনুস মাওলানা, বাদী শাহ আলম তালুকদার ও কিছু ইভটিজিংকারীর সঙ্গে যোগসাজশ করে ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে এই মিথ্যা মামলা করা হয়েছে। মামলার আগে তার স্বামীর কাছে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করা হয়। টাকা না দেওয়ায় গত ৬ আগস্ট সন্ধ্যায় তাদের বাড়ি ও মাদরাসায় হামলা চালিয়ে লুটপাট, মারধর ও যৌন হয়রানি করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, হামলাকারীরা তাদের ফ্ল্যাট থেকে নগদ ২ লাখ ২০ হাজার টাকা, পাঁচ ভরি স্বর্ণ, দুটি ল্যাপটপ ও তিনটি মোবাইল নিয়ে যায়। এছাড়া মাদরাসার অফিস কক্ষের সিসিটিভি ভেঙে ফেলে যাতে ঘটনাটির ভিডিও প্রমাণ নষ্ট করা যায়।
তানজিলা আক্তার অভিযোগ করেন, তার স্বামীকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে এবং মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানালেই পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমাদের মাদরাসাটি ১২ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে চলছে। কিন্তু মিথ্যা মামলার কারণে মাদরাসা বন্ধ হয়ে গেছে, ২০০ শিক্ষার্থীর পড়াশোনা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।”
তিনি সরকারের প্রতি পরিবারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, হামলাকারীদের বিচার ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।