2:52 am, Wednesday, 10 September 2025

মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে এবিএম ফজলুল করিমের নির্বাচনী অঙ্গীকার, সন্ত্রাস মুক্তি, উন্নয়ন, শান্তিপূর্ণ সমাজ ও পর্যটন নগর গড়ার প্রতিশ্রুতি

1755867042201

 

মো: জাহিদ হাসান-লৌহজং প্রতিনিধি:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গিবাড়ি) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম মাঠে নেমেছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টায় তিনি মাওয়া বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি ঘুরে ঘুরে স্থানীয় জনগণকে আশ্বাস দেন সন্ত্রাসমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে।

অধ্যাপক ফজলুল করিম বলেন, পদ্মা পাড়কে কেন্দ্র করে মা-নির্ভর পর্যটন নগর গড়তে চাই। সৎ ও উপযুক্ত নেতৃত্ব ছাড়া জনগণের অধিকারের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় মসলিসে শুরা সদস্য, ও সাবেক আমীর মুন্সীগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন করছেন।

তার ঘোষিত ১৩ দফা নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে:

১. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও দুর্নীতি বন্ধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা!
২. পদ্মা সেতুকে ঘিরে পদ্মাপাড়কে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা!
৩. শিমুলিয়া ঘাটে ইমার্জেন্সি ফেরিঘাট ও নদী বন্দর স্থাপন!
৪. পদ্মা নদীর পাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন ও স্থাপনা উচ্ছেদ!
৫. মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক ও আন্দোলনে শহীদদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান!
৬. সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান স্থাপন!
৭. কৃষির আধুনিকায়ন, আলু সরকারিভাবে ক্রয় ও হিমাগার নির্মাণ!
৮. পদ্মা নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মা!
৯. যুবক ও শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা!
১০. ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা!
১১. নারীর মর্যাদা রক্ষায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ, অসহায় নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন!
১২. লৌহজং ও টঙ্গিবাড়িতে ২টি নতুন পৌরসভা প্রতিষ্ঠা। গণসংযোগকালে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে জনগণের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এ সময় তিনি রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। দেশকে একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

গণসংযোগে সভাপতিত্ব করেন পদ্মা সেতুর উত্তর থানার আমির মুফতি এস এম মাওলানা আনোয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসাইন, সাগাবাগ থানার কর্মপরিষদ সদস্য। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম, সেক্রেটারি জনাব নুরুল্লা, মাওলানা ফারুক হোসাইন, হাফেজ মো. কামরুজ্জামান, জনাব আব্দুস সামাদ, সমাজসেবক মো. আব্দুল কাদের, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হাজী শফিকুল ইসলাম
তরুণ নেতা রফিকুল আলম।

স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সভাস্থল উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। অধ্যাপক ফজলুল করিম জনগণের কাছে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে তাদের সমর্থন কামনা করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 12:53:32 pm, Friday, 22 August 2025
67 Time View

মুন্সীগঞ্জ-২ আসনে এবিএম ফজলুল করিমের নির্বাচনী অঙ্গীকার, সন্ত্রাস মুক্তি, উন্নয়ন, শান্তিপূর্ণ সমাজ ও পর্যটন নগর গড়ার প্রতিশ্রুতি

Update Time : 12:53:32 pm, Friday, 22 August 2025

 

মো: জাহিদ হাসান-লৌহজং প্রতিনিধি:
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জ-২ (লৌহজং-টঙ্গিবাড়ি) আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক এবিএম ফজলুল করিম মাঠে নেমেছেন। শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকাল ১০টায় তিনি মাওয়া বাজারে ব্যাপক গণসংযোগ করেন। এ সময় তিনি ঘুরে ঘুরে স্থানীয় জনগণকে আশ্বাস দেন সন্ত্রাসমুক্ত, শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নমুখী সমাজ গড়ে তোলার অঙ্গীকার নিয়ে।

অধ্যাপক ফজলুল করিম বলেন, পদ্মা পাড়কে কেন্দ্র করে মা-নির্ভর পর্যটন নগর গড়তে চাই। সৎ ও উপযুক্ত নেতৃত্ব ছাড়া জনগণের অধিকারের কোনো বিকল্প নেই।

তিনি বর্তমানে কেন্দ্রীয় মসলিসে শুরা সদস্য, ও সাবেক আমীর মুন্সীগঞ্জ জেলা, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের দায়িত্ব পালন করছেন।

তার ঘোষিত ১৩ দফা নির্বাচনী অঙ্গীকারের মধ্যে রয়েছে:

১. সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, দখলদারিত্ব ও দুর্নীতি বন্ধ করে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা!
২. পদ্মা সেতুকে ঘিরে পদ্মাপাড়কে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা!
৩. শিমুলিয়া ঘাটে ইমার্জেন্সি ফেরিঘাট ও নদী বন্দর স্থাপন!
৪. পদ্মা নদীর পাড়ে অবৈধ বালু উত্তোলন ও স্থাপনা উচ্ছেদ!
৫. মুক্তিযোদ্ধা, দেশপ্রেমিক ও আন্দোলনে শহীদদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান!
৬. সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিকেল কলেজ ও ইঞ্জিনিয়ারিং প্রতিষ্ঠান স্থাপন!
৭. কৃষির আধুনিকায়ন, আলু সরকারিভাবে ক্রয় ও হিমাগার নির্মাণ!
৮. পদ্মা নদী ভাঙন রোধে টেকসই বাঁধ নির্মা!
৯. যুবক ও শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা!
১০. ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট সরকারি জেনারেল হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা!
১১. নারীর মর্যাদা রক্ষায় প্রশাসনিক পদক্ষেপ, অসহায় নারীদের আত্মকর্মসংস্থান ও পুনর্বাসন!
১২. লৌহজং ও টঙ্গিবাড়িতে ২টি নতুন পৌরসভা প্রতিষ্ঠা। গণসংযোগকালে জনগণের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায়।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমার একমাত্র লক্ষ্য হবে সন্ত্রাস ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়ে জনগণের জন্য শান্তি ও উন্নয়ন নিশ্চিত করা। এ সময় তিনি রাজনৈতিক ঐক্যের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, জনগণ আজ পরিবর্তন চায়। দেশকে একটি আদর্শ বিদ্যাপীঠ হিসেবে গড়ে তোলা হবে।

গণসংযোগে সভাপতিত্ব করেন পদ্মা সেতুর উত্তর থানার আমির মুফতি এস এম মাওলানা আনোয়ার। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রফেসর ড. সাজ্জাদ হোসাইন, সাগাবাগ থানার কর্মপরিষদ সদস্য। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম, সেক্রেটারি জনাব নুরুল্লা, মাওলানা ফারুক হোসাইন, হাফেজ মো. কামরুজ্জামান, জনাব আব্দুস সামাদ, সমাজসেবক মো. আব্দুল কাদের, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হাজী শফিকুল ইসলাম
তরুণ নেতা রফিকুল আলম।

স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সভাস্থল উৎসবমুখর হয়ে ওঠে। অধ্যাপক ফজলুল করিম জনগণের কাছে ন্যায়ভিত্তিক নেতৃত্ব ও উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসন্ন নির্বাচনে তাদের সমর্থন কামনা করেন।