5:18 am, Sunday, 21 December 2025

নির্বাচনে-প্রার্থীদের-নিরাপত্তা-নিশ্চিতের-জোরালো-আহ্বান-হাবিবুর রশিদ হাবিব

এম রাসেল সরকার

Screenshot 20251220 075542

 

এম রাসেল সরকার:
ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেছেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করাই জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান লক্ষ্য।

হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন সম্প্রতি নিহত শরীফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে দেশের প্রতিটি নাগরিক ও রাজনৈতিক প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) খিলগাঁও-সবুজবাগ এলাকায় সম্মিলিত ইমাম ওলামা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিবুর রশিদ হাবিব তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা এমন এক উন্নত ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই যেখানে প্রতিটি মানুষ নির্ভয়ে বসবাস করবে। শহীদ জিয়ার আদর্শ এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় আমরা সামাজিক উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য দেশে একটি ভীতিহীন ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।”

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং জুলাই-আগস্টের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করেন।

খিলগা থানার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই মাঠেই সন্ধ্যার সময় ১৬টি গুলি করে জনিকে হত্যা করা হয়েছিল। তার রক্তে এই মাঠ রঞ্জিত হয়েছিল।’ তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং শহীদ জনির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

হাবিব বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন এবং সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ সংযোজন করেছিলেন। তিনি ইমাম-ওলামাদের সম্মান দিতেন এবং তাদের পরামর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। বিএনপিও ইসলামি মূল্যবোধকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায় বিশ্বাসী।

এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, খিলগাঁও-সবুজবাগ এলাকার অবকাঠামো ও সামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাই আমাদের মূল অঙ্গীকার।

এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খিলগার কমিউনিটি সেন্টার ও মাঠ জননেতা মির্জা আব্বাসের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় এগুলো অবহেলিত ছিল। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব স্থাপনার পুনর্নির্মাণসহ সার্বিক উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মাঠ কখনোই বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ছিল না। এটি এলাকাবাসীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আগামী দিনে ইসলামি মাহফিল ও ওলামায়ে কেরামদের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেন তিনি। ‘আমরা শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমেই আমাদের বিশ্বাস প্রমাণ করব।’

হাবিবুর রশিদ হাবিব, ওয়াজ মাহফিলে তিনি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও আলেম ওলামাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমেই একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে তিনি দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, গণতন্ত্রের মুক্তি এবং এলাকার মানুষের সার্বিক কল্যাণে উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় তিনি ওলামা মাশায়েখদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। মাহফিলে বিপুল সংখ্যক জাতীয়তাবাদী কর্মী-সমর্থক এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 02:43:22 am, Saturday, 20 December 2025
55 Time View

নির্বাচনে-প্রার্থীদের-নিরাপত্তা-নিশ্চিতের-জোরালো-আহ্বান-হাবিবুর রশিদ হাবিব

Update Time : 02:43:22 am, Saturday, 20 December 2025

 

এম রাসেল সরকার:
ঢাকা-৯ আসনে বিএনপির মনোনীত ধানের শীষের প্রার্থী এবং জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের বলিষ্ঠ নেতা হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেছেন, জনগণের জান-মালের নিরাপত্তা এবং গণতান্ত্রিক অধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত করাই জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রধান লক্ষ্য।

হাবিবুর রশিদ হাবিব বলেন সম্প্রতি নিহত শরীফ ওসমান হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং এ হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত, জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে দেশের প্রতিটি নাগরিক ও রাজনৈতিক প্রার্থীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি জোরালো আহ্বান জানিয়েছেন।

শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) খিলগাঁও-সবুজবাগ এলাকায় সম্মিলিত ইমাম ওলামা পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক বিশাল ওয়াজ মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

হাবিবুর রশিদ হাবিব তার বক্তব্যে বলেন, “আমরা এমন এক উন্নত ও বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে চাই যেখানে প্রতিটি মানুষ নির্ভয়ে বসবাস করবে। শহীদ জিয়ার আদর্শ এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নির্দেশনায় আমরা সামাজিক উন্নয়ন ও মানুষের সেবা করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। শান্তি ও উন্নয়নের জন্য দেশে একটি ভীতিহীন ও সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি করা এখন সময়ের দাবি।”

তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কথা উল্লেখ করে তার সুস্থতার জন্য সবার কাছে দোয়া কামনা করেন। পাশাপাশি মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং জুলাই-আগস্টের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নিহতদের স্মরণ করেন।

খিলগা থানার ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক জনি হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এই মাঠেই সন্ধ্যার সময় ১৬টি গুলি করে জনিকে হত্যা করা হয়েছিল। তার রক্তে এই মাঠ রঞ্জিত হয়েছিল।’ তিনি এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানান এবং শহীদ জনির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।

হাবিব বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ইসলামি মূল্যবোধে বিশ্বাসী ছিলেন এবং সংবিধানে ‘বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম’ সংযোজন করেছিলেন। তিনি ইমাম-ওলামাদের সম্মান দিতেন এবং তাদের পরামর্শে রাষ্ট্র পরিচালনা করতেন। বিএনপিও ইসলামি মূল্যবোধকে ধারণ করে দেশ পরিচালনায় বিশ্বাসী।

এলাকার উন্নয়ন পরিকল্পনা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, খিলগাঁও-সবুজবাগ এলাকার অবকাঠামো ও সামাজিক উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কাজ করতে চাই। সাধারণ মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া এবং এলাকার শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখাই আমাদের মূল অঙ্গীকার।

এলাকার উন্নয়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, খিলগার কমিউনিটি সেন্টার ও মাঠ জননেতা মির্জা আব্বাসের উদ্যোগে নির্মিত হয়েছিল। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় এগুলো অবহেলিত ছিল। ভবিষ্যতে বিএনপি ক্ষমতায় এলে এসব স্থাপনার পুনর্নির্মাণসহ সার্বিক উন্নয়নে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এই মাঠ কখনোই বাণিজ্যিক ব্যবহারের জন্য ছিল না। এটি এলাকাবাসীর জন্য উন্মুক্ত থাকবে। আগামী দিনে ইসলামি মাহফিল ও ওলামায়ে কেরামদের পাশে থাকার অঙ্গীকারও করেন তিনি। ‘আমরা শুধু কথায় নয়, কাজের মাধ্যমেই আমাদের বিশ্বাস প্রমাণ করব।’

হাবিবুর রশিদ হাবিব, ওয়াজ মাহফিলে তিনি ধর্মপ্রাণ মুসল্লি ও আলেম ওলামাদের সাথে কুশল বিনিময় করেন এবং ইসলামি মূল্যবোধের ভিত্তিতে সমাজ গঠনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষার মাধ্যমেই একটি আদর্শ সমাজ বিনির্মাণ সম্ভব।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে তিনি দেশ ও জাতির সমৃদ্ধি, গণতন্ত্রের মুক্তি এবং এলাকার মানুষের সার্বিক কল্যাণে উপস্থিত সকলের কাছে দোয়া ভালোবাসা ও সহযোগিতা কামনা করেন।

এসময় তিনি ওলামা মাশায়েখদের নিয়ে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। মাহফিলে বিপুল সংখ্যক জাতীয়তাবাদী কর্মী-সমর্থক এবং স্থানীয় সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন।