শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলা; আটক ১

বিশেষ প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে এক সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলার শিকার সাংবাদিক হলেন সময়ের আলো পত্রিকার প্রতিবেদক মাহাবুব আলম শ্রাবণ। ঘটনার পরপরই হামলাকারী যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
আজ শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ প্রাঙ্গণে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানে এই এক সাংবাদিকের ওপর অতর্কিত হামলা চালানো হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকালের দিকে যখন বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছিল, তখন সেখানে ভিড়ের মধ্যে এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে।
একটি ভিডিওতে দেখা যায়, এক যুবক হঠাৎ ভিড়ের মধ্য থেকে দৌড়ে এসে সাংবাদিক মাহাবুব আলম শ্রাবণের হাত ধরে সজোরে টান দিয়ে তাকে মাটিতে ফেলে দেন। আকস্মিক এই ঘটনায় উপস্থিত সবাই হতবাক হয়ে যান। ঘটনার পরপরই পুলিশ সদস্যরা দ্রুত ছুটে আসেন এবং পালানোর চেষ্টাকারী হামলাকারীকে ধরে ফেলেন। এ সময় উপস্থিত জনতা ক্ষুব্ধ হয়ে হামলাকারীকে মারধর করার চেষ্টা করলে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং তাকে নিজেদের হেফাজতে নেয়।
হামলার কারণ ও রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা:
প্রাথমিক তদন্ত এবং সংবাদমাধ্যমের তথ্য অনুযায়ী, হামলাকারী যুবককে আটক করা হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে ওই সাংবাদিককে টার্গেট করে হামলা করা হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। হামলার শিকার সাংবাদিক মাহাবুব আলম শ্রাবণ জানিয়েছেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে কোনো পূর্বশত্রুতা ছাড়াই তার ওপর এই হামলা চালানো হয়েছে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং জড়িত ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।
এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিভিন্ন সাংবাদিক সংগঠন এবং রাজনৈতিক মহল। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে), ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), ন্যাশনাল জার্নালিস্ট ফোরাম (এনজেএফ) অবিলম্বে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছে।
এ বিষয়ে কাফরুল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানিয়েছেন, আটককৃত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ঘটনার পেছনের মূল উদ্দেশ্য খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের মতো একটি ভাবগম্ভীর ও শোকাবহ পরিবেশে সাংবাদিকদের ওপর এমন হামলার ঘটনাকে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আঘাত হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।






















