10:31 am, Sunday, 21 December 2025

সংকটময় মুহূর্তে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় এম রাসেল সরকারকে CJDC-এর সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান

দিগন্ত প্রতিদিন

1765581556583

 

বিশেষ প্রতিনিধি;
সাংবাদিক সমাজের কল্যাণ এবং পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে সফল “চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদ” (CJDC)-এর গৌরবময় ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বার্ষিক মিলনমেলা গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত সংলগ্ন চৌছালা সানসেট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংগঠনের ১০ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠানে আনন্দঘন পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সিনিয়র অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও সাংবাদিক নেতা মোঃ রাসেল সরকারকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, যিনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মিডিয়া সেলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবেও পরিচিত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সরকার জামাল, সিনিয়র অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও সাংবাদিক নেতা মোঃ রাসেল সরকার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (DUJ)-এর সাবেক প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুল হক এবং সোহেল।

অতিথিবৃন্দ, বিশেষত প্রধান অতিথি সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মোঃ রাসেল সরকারের হাতে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এই মুহূর্তে পুরো হল আনন্দমুখর ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভরে ওঠে।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সাংবাদিকতা, সংগঠন পরিচালনা এবং মিডিয়া অঙ্গনে মোঃ রাসেল সরকারের অসাধারণ ও প্রশংসনীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক সমাজ পারস্পরিক ঐক্য, সহযোগিতা এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে আরও সুদৃঢ় হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি, এবং যখনই এই স্বাধীনতা খর্ব হয়, তখনই সাহসী সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা সময়ে প্রতিকূল পরিবেশ ও চাপ লক্ষ্য করা গেছে, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।
সাংবাদিকদের ওপর চাপ, হয়রানি, এমনকি শারীরিক হামলার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (RSF) এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর মতো সংস্থাগুলো নিয়মিতভাবে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কিছু আইন সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছে বলে মনে করেন তারা। যা অনেক সময় স্ব-সেন্সরশিপকেও উস্কে দেয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সত্য তুলে ধরতে পিছুপা হন নাই মোঃ রাসেল সরকারের মতো সাংবাদিকরা, তখন তাঁদের সাহসীকতা পেশাগত নীতি ও সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে গণ্য হয়। এই ধরনের সাংবাদিকতা গণমাধ্যম জগতে গভীর চিন্তার জন্ম দেয়।

তারা আরও বলেন, যখন রাষ্ট্র বা ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর চাপে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়, তখন সাংবাদিকের নৈতিক দায়িত্ববোধই তার প্রধান শক্তি হয়ে দাঁড়ায়।

বিগত সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে, বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যখন মনে হয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। সংবাদপত্রের কার্যালয়ে হামলা, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, এবং পেশাগত নিরাপত্তাহীনতা একটি সাধারণ চিত্রে পরিণত হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে মোঃ রাসেল সরকারের মতো যেসকল সাংবাদিক তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিন্দুমাত্র পিছু হটেননি, তাঁদের সাহস অতুলনীয়। তাঁরা প্রমাণ করেছেন যে, ভয় এবং শৃঙ্খলের মাঝেও সত্যের অন্বেষণ থেমে থাকে না।

গণমাধ্যমের এই সংগ্রাম কেবল একজন ব্যক্তির নয়, বরং সমগ্র জাতির মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রাম। সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে এই সাহসীকতা টেকসই হবে না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো একটি শক্তিশালী সাংবাদিক সুরক্ষা আইন এবং মিডিয়া কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে যাতে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা—সরকার, নাগরিক সমাজ এবং খোদ গণমাধ্যম শিল্পের। কারণ, সাংবাদিকের নির্ভীক কলম সচল না থাকলে, গণতন্ত্র নিজেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই নিজের জন্য নয় রাষ্ট্রের স্বার্থে সকল সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সত্য প্রকাশ করতে হবে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 12:04:27 am, Saturday, 13 December 2025
80 Time View

সংকটময় মুহূর্তে সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদান রাখায় এম রাসেল সরকারকে CJDC-এর সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান

Update Time : 12:04:27 am, Saturday, 13 December 2025

 

বিশেষ প্রতিনিধি;
সাংবাদিক সমাজের কল্যাণ এবং পেশাগত উৎকর্ষ সাধনে সফল “চট্টগ্রাম সাংবাদিক উন্নয়ন পরিষদ” (CJDC)-এর গৌরবময় ১০ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী এবং বার্ষিক মিলনমেলা গত ১২ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পতেঙ্গা সৈকত সংলগ্ন চৌছালা সানসেট পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সংগঠনের ১০ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত বনভোজন ও মিলনমেলা অনুষ্ঠানে আনন্দঘন পরিবেশে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা শেষে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ সিনিয়র অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও সাংবাদিক নেতা মোঃ রাসেল সরকারকে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, যিনি বর্তমানে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এবং মিডিয়া সেলের একজন সক্রিয় সদস্য হিসেবেও পরিচিত।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব সরকার জামাল, সিনিয়র অনুসন্ধানী প্রতিবেদক ও সাংবাদিক নেতা মোঃ রাসেল সরকার, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (DUJ)-এর সাবেক প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুল হক এবং সোহেল।

অতিথিবৃন্দ, বিশেষত প্রধান অতিথি সাবেক বিচারপতি ফয়সাল মাহমুদ ফয়েজী, মোঃ রাসেল সরকারের হাতে বিশেষ সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন। এই মুহূর্তে পুরো হল আনন্দমুখর ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভরে ওঠে।

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে সাংবাদিকতা, সংগঠন পরিচালনা এবং মিডিয়া অঙ্গনে মোঃ রাসেল সরকারের অসাধারণ ও প্রশংসনীয় অবদানের কথা তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত সাংবাদিক সমাজ পারস্পরিক ঐক্য, সহযোগিতা এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে আরও সুদৃঢ় হওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা যেকোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল ভিত্তি, এবং যখনই এই স্বাধীনতা খর্ব হয়, তখনই সাহসী সাংবাদিকদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। বাংলাদেশে সাংবাদিকদের পেশাগত দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে নানা সময়ে প্রতিকূল পরিবেশ ও চাপ লক্ষ্য করা গেছে, যা বিভিন্ন আন্তর্জাতিক প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।
সাংবাদিকদের ওপর চাপ, হয়রানি, এমনকি শারীরিক হামলার ঘটনা বাংলাদেশে নতুন নয়।

রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (RSF) এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)-এর মতো সংস্থাগুলো নিয়মিতভাবে এ বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কিছু আইন সাংবাদিকদের জন্য একটি প্রতিকূল পরিবেশ তৈরি করেছে বলে মনে করেন তারা। যা অনেক সময় স্ব-সেন্সরশিপকেও উস্কে দেয়। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও সত্য তুলে ধরতে পিছুপা হন নাই মোঃ রাসেল সরকারের মতো সাংবাদিকরা, তখন তাঁদের সাহসীকতা পেশাগত নীতি ও সমাজের প্রতি প্রতিশ্রুতির এক উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে গণ্য হয়। এই ধরনের সাংবাদিকতা গণমাধ্যম জগতে গভীর চিন্তার জন্ম দেয়।

তারা আরও বলেন, যখন রাষ্ট্র বা ক্ষমতাবান গোষ্ঠীর চাপে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা সংকুচিত হয়, তখন সাংবাদিকের নৈতিক দায়িত্ববোধই তার প্রধান শক্তি হয়ে দাঁড়ায়।

বিগত সরকারের শাসনামলে বিভিন্ন সময়ে, বাংলাদেশে এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে যখন মনে হয়েছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বলতে কিছু নেই। সংবাদপত্রের কার্যালয়ে হামলা, সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা, এবং পেশাগত নিরাপত্তাহীনতা একটি সাধারণ চিত্রে পরিণত হয়েছে। এই সংকটময় মুহূর্তে মোঃ রাসেল সরকারের মতো যেসকল সাংবাদিক তাঁদের পেশাগত দায়িত্ব পালনে বিন্দুমাত্র পিছু হটেননি, তাঁদের সাহস অতুলনীয়। তাঁরা প্রমাণ করেছেন যে, ভয় এবং শৃঙ্খলের মাঝেও সত্যের অন্বেষণ থেমে থাকে না।

গণমাধ্যমের এই সংগ্রাম কেবল একজন ব্যক্তির নয়, বরং সমগ্র জাতির মুক্তচিন্তা ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার সংগ্রাম। সাংবাদিকদের আর্থিক নিরাপত্তা এবং আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা না গেলে এই সাহসীকতা টেকসই হবে না। আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো একটি শক্তিশালী সাংবাদিক সুরক্ষা আইন এবং মিডিয়া কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে যাতে সাংবাদিকরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারেন।
গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সুরক্ষায় প্রয়োজন সম্মিলিত প্রচেষ্টা—সরকার, নাগরিক সমাজ এবং খোদ গণমাধ্যম শিল্পের। কারণ, সাংবাদিকের নির্ভীক কলম সচল না থাকলে, গণতন্ত্র নিজেই বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ে। তাই নিজের জন্য নয় রাষ্ট্রের স্বার্থে সকল সাংবাদিকরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সত্য প্রকাশ করতে হবে।