5:16 am, Sunday, 21 December 2025

বিজয় নগরে দোকান দখলের চেষ্টা: প্রভাবশালী আইয়ুব খানের জোরপূর্বক তালা

এম রাসেল সরকার

Picsart 25 12 10 16 39 09 435

এম রাসেল সরকার:
রাজধানীর পল্টন থানাধীন বিজয় নগর এলাকায় দোকান দখলের উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক তালা লাগানো ও নিরীহ ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইয়ুব খান নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

দোকানের বর্তমান মালিক মোঃ হাসান ইফতেখার ওরফে মূসা জানান, মোঃ সেকেন্দার হাওলাদার এর ভোগ দখলীয় ৩০ শতাংশ ভূমির মধ্যে অবস্থিত দোকান নং ২০/২ যাহা মোঃ বশির হোসেন ভাড়াটিয়া ছিলেন  জুলাই আন্দোলনের পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর উক্ত দোকানের ভাড়াটিয়া বশির হোসেন মূল মালিক হাসান ইফতেখার ওরফে মূসাকে অবগত না করে দোকানে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।বশিরের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী কিছু কতিপয় ব্যক্তিবর্গ রাতের অন্ধকারে বশিরের দোকানের তালা ভেঙে উক্ত দোকানের মূল্যবান মালামাল লুট তরাজ করে।যার সত্যতা সরজমিনে গিয়ে আশেপাশের দোকানদারদের বক্তব্যে পাওয়া গেছে।

পরবর্তীতে দোকানের মূল মালিক তাহার দোকানটি পূনঃরায় ভাড়া দেওয়ার জন্য বিজয় নগর নিবাসী মোঃ হাসেম, পিতা মৃত আলী মিয়া,সাং দোকান নং ১৩ মাহতাব সেন্টার ,১৭৭ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণী, বিজয় নগর, ঢাকা -১০০০ কে ভাড়া প্রদান করিলে উক্ত ২০/২ নং দোকানের ভাড়াটিয়া হিসাবে আবুল হাসেম দোকানটিতে তালা বদ্ধ করে রাখেন । দোকান তালা দেওয়ার পরেই মোঃ হাসেম ও মূল মালিকের অজান্তে ভূমিদস্যু মোঃ আইয়ুব খান তার প্রভাব খাটিয়ে কতিপয়  কিছু ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে উক্ত দোকানে পূর্বের তালা থাকা সত্ত্বেও নতুন তালা লাগিয়ে দেয় এবং নিজের অপকর্মের প্রতিষ্ঠা পেতে গত ২৪/১১/২০২৫ ইং তারিখে পল্টন থানায় ১.আবুল কাশেম ২.আবুল হাসেম এবং ৩.মোঃ হযরত গং এর নামে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং ১৯৮৮।

আইয়ুব খান দোকানের প্রকৃত মালিক না হয়েও অন্যের দোকান বেআইনি ভাবে দখল করার জন্য ৬/৭ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে মূল মালিক হাসান ইফতেখার ওরফে মূসার কাছে ৫,০০,০০০|= (পাঁচ লক্ষ টাকা) চাঁদা দাবি করে।মালিক পক্ষ চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ভূমিদস্যু আইয়ুব খান ২০/২ দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় এবং আবুল হাসেম গং এর নামে পল্টন থানায় মিথ্যা অভিযোগে জিডি রুজু করেন।

আমাদের স্টাফ রিপোর্টার
আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে জিডি রুজু এবং উক্ত দোকানের তালা লাগানোর অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে আইয়ুব খান কে মুঠো ফোনে কল দিয়ে তার সাথে সাক্ষাতের কথা বললে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আমি দেখা করতে পারবো না। এমন আট দশজন সাংবাদিক আমার কাছেও আছে। তিনি আরো বলেন আমি উক্ত দোকান লিজ নিয়েছি। তিনি এখন দেখা করতে পারবেন না, তিনি আরো বলেন তার জিডির তদন্তকারী অফিসার এসআই নুরুজ্জামান নাকি তাকে বলে দিয়েছেন কেউ আইয়ুব খান কে ফোন দিলে বা দেখা করতে চাইলে তাকে যেন এস আই নুরুজ্জামান এর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আইয়ুব খান এর কথার ভিত্তিতে এস আই নুরুজ্জামান কে মুঠো ফোনে কল দিয়ে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ধরনের কথা আমি কখনো বলিনি।লিজ নেয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে নুরুজ্জামান বলেন এ রকম কোনো কাগজ পত্র বা ডকুমেন্ট তিনি পাননি। তিনি বলেন আমরা তার জিডির সত্যতার জন্য কাগজ পত্র কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছি, এখন কোর্ট যে সিদ্ধান্ত দিবে সে নির্দেশ অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।

উক্ত লিজ সম্পর্কে ঢাকা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও সংশ্লিষ্ট শাখা হতে জানান যে, মোঃ আইয়ুব খান  নামে কোন ব্যক্তিকে কোন লিজ প্রদান করা হয়নি এবং অধিগ্রহণ কৃত ও মালিকানা ভূমি কোন ব্যক্তির নামে আইনগতভাবে লিজ দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

অপরদিকে প্রভাবশালী আইয়ুব খান ও তাহার সন্ত্রাসী সহযোগীদের হুমকি ধামকির ভয়ে উক্ত আবুল হাসেম গং ও ভূমির মূল মালিক মোঃ সেকেন্দার হাওলাদারের উত্তরসূরী মোঃ হাসান ইফতেখার আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন। এছাড়াও প্রভাবশালী আইয়ুব খান ভূমির মালিক ও আবুল হাসেম গং এর সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে গত ০৩/১২/২৫ ইং তারিখে দৈনিক ঘোষণা প্রত্রিকায় একটি ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেন।

সংবাদে আইয়ুব খান যে অভিযোগ উল্লেখ করেছেন এবং বিগত ২০ বছর ধরে তিনি উক্ত দোকানের মালিকানায় থেকে দোকান পরিচালনা করছেন সরজমিনে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। আশেপাশের লোকজন এবং দোকানদারদের বয়ান অনুযায়ী পূর্ববর্তী ভাড়াটিয়া ছিলেন মোঃ বশির এবং বর্তমান ভাড়াটিয়া আবুল হাসেম। আইয়ুব খান দৈনিক ঘোষণা সংবাদ পত্রে আরো উল্লেখ করেছেন আবুল হাসেম তার নিজের নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু সরজমিনে দেখা গেলো তার উল্টো এবং স্থানীয় লোকজন জানান আবুল হাসেম দোকান ভাড়া নেওয়ার পরে আইয়ুব খান এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আইয়ুব খান এর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখে গেছেন।

ভূমির মূল মালিক এবং আবুল হাসেম গং অত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে উক্ত ভুয়া সংবাদ ও তাদের মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 10:41:06 am, Wednesday, 10 December 2025
146 Time View

বিজয় নগরে দোকান দখলের চেষ্টা: প্রভাবশালী আইয়ুব খানের জোরপূর্বক তালা

Update Time : 10:41:06 am, Wednesday, 10 December 2025

এম রাসেল সরকার:
রাজধানীর পল্টন থানাধীন বিজয় নগর এলাকায় দোকান দখলের উদ্দেশ্যে জোর পূর্বক তালা লাগানো ও নিরীহ ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে আইয়ুব খান নামের এক প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে।

দোকানের বর্তমান মালিক মোঃ হাসান ইফতেখার ওরফে মূসা জানান, মোঃ সেকেন্দার হাওলাদার এর ভোগ দখলীয় ৩০ শতাংশ ভূমির মধ্যে অবস্থিত দোকান নং ২০/২ যাহা মোঃ বশির হোসেন ভাড়াটিয়া ছিলেন  জুলাই আন্দোলনের পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত। কিন্তু ৫ই আগস্টের পর উক্ত দোকানের ভাড়াটিয়া বশির হোসেন মূল মালিক হাসান ইফতেখার ওরফে মূসাকে অবগত না করে দোকানে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায়।বশিরের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগটাই কাজে লাগিয়ে ভূমিদস্যু ও প্রভাবশালী কিছু কতিপয় ব্যক্তিবর্গ রাতের অন্ধকারে বশিরের দোকানের তালা ভেঙে উক্ত দোকানের মূল্যবান মালামাল লুট তরাজ করে।যার সত্যতা সরজমিনে গিয়ে আশেপাশের দোকানদারদের বক্তব্যে পাওয়া গেছে।

পরবর্তীতে দোকানের মূল মালিক তাহার দোকানটি পূনঃরায় ভাড়া দেওয়ার জন্য বিজয় নগর নিবাসী মোঃ হাসেম, পিতা মৃত আলী মিয়া,সাং দোকান নং ১৩ মাহতাব সেন্টার ,১৭৭ শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম স্মরণী, বিজয় নগর, ঢাকা -১০০০ কে ভাড়া প্রদান করিলে উক্ত ২০/২ নং দোকানের ভাড়াটিয়া হিসাবে আবুল হাসেম দোকানটিতে তালা বদ্ধ করে রাখেন । দোকান তালা দেওয়ার পরেই মোঃ হাসেম ও মূল মালিকের অজান্তে ভূমিদস্যু মোঃ আইয়ুব খান তার প্রভাব খাটিয়ে কতিপয়  কিছু ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে উক্ত দোকানে পূর্বের তালা থাকা সত্ত্বেও নতুন তালা লাগিয়ে দেয় এবং নিজের অপকর্মের প্রতিষ্ঠা পেতে গত ২৪/১১/২০২৫ ইং তারিখে পল্টন থানায় ১.আবুল কাশেম ২.আবুল হাসেম এবং ৩.মোঃ হযরত গং এর নামে একটি সাধারণ ডায়েরী করেন যার নং ১৯৮৮।

আইয়ুব খান দোকানের প্রকৃত মালিক না হয়েও অন্যের দোকান বেআইনি ভাবে দখল করার জন্য ৬/৭ জন সন্ত্রাসী নিয়ে এসে মূল মালিক হাসান ইফতেখার ওরফে মূসার কাছে ৫,০০,০০০|= (পাঁচ লক্ষ টাকা) চাঁদা দাবি করে।মালিক পক্ষ চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় ভূমিদস্যু আইয়ুব খান ২০/২ দোকানে তালা লাগিয়ে দেয় এবং আবুল হাসেম গং এর নামে পল্টন থানায় মিথ্যা অভিযোগে জিডি রুজু করেন।

আমাদের স্টাফ রিপোর্টার
আবুল হাসেমের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে জিডি রুজু এবং উক্ত দোকানের তালা লাগানোর অভিযোগের সত্যতা সম্পর্কে জানতে আইয়ুব খান কে মুঠো ফোনে কল দিয়ে তার সাথে সাক্ষাতের কথা বললে তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন আমি দেখা করতে পারবো না। এমন আট দশজন সাংবাদিক আমার কাছেও আছে। তিনি আরো বলেন আমি উক্ত দোকান লিজ নিয়েছি। তিনি এখন দেখা করতে পারবেন না, তিনি আরো বলেন তার জিডির তদন্তকারী অফিসার এসআই নুরুজ্জামান নাকি তাকে বলে দিয়েছেন কেউ আইয়ুব খান কে ফোন দিলে বা দেখা করতে চাইলে তাকে যেন এস আই নুরুজ্জামান এর কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আইয়ুব খান এর কথার ভিত্তিতে এস আই নুরুজ্জামান কে মুঠো ফোনে কল দিয়ে এ সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন এ ধরনের কথা আমি কখনো বলিনি।লিজ নেয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে নুরুজ্জামান বলেন এ রকম কোনো কাগজ পত্র বা ডকুমেন্ট তিনি পাননি। তিনি বলেন আমরা তার জিডির সত্যতার জন্য কাগজ পত্র কোর্টে পাঠিয়ে দিয়েছি, এখন কোর্ট যে সিদ্ধান্ত দিবে সে নির্দেশ অনুযায়ী আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নিবো।

উক্ত লিজ সম্পর্কে ঢাকা জেলা প্রশাসকের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব ও সংশ্লিষ্ট শাখা হতে জানান যে, মোঃ আইয়ুব খান  নামে কোন ব্যক্তিকে কোন লিজ প্রদান করা হয়নি এবং অধিগ্রহণ কৃত ও মালিকানা ভূমি কোন ব্যক্তির নামে আইনগতভাবে লিজ দেয়ার কোন সুযোগ নেই।

অপরদিকে প্রভাবশালী আইয়ুব খান ও তাহার সন্ত্রাসী সহযোগীদের হুমকি ধামকির ভয়ে উক্ত আবুল হাসেম গং ও ভূমির মূল মালিক মোঃ সেকেন্দার হাওলাদারের উত্তরসূরী মোঃ হাসান ইফতেখার আতঙ্কে জীবন যাপন করছেন। এছাড়াও প্রভাবশালী আইয়ুব খান ভূমির মালিক ও আবুল হাসেম গং এর সম্মান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে গত ০৩/১২/২৫ ইং তারিখে দৈনিক ঘোষণা প্রত্রিকায় একটি ভুয়া সংবাদ প্রকাশ করেন।

সংবাদে আইয়ুব খান যে অভিযোগ উল্লেখ করেছেন এবং বিগত ২০ বছর ধরে তিনি উক্ত দোকানের মালিকানায় থেকে দোকান পরিচালনা করছেন সরজমিনে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। আশেপাশের লোকজন এবং দোকানদারদের বয়ান অনুযায়ী পূর্ববর্তী ভাড়াটিয়া ছিলেন মোঃ বশির এবং বর্তমান ভাড়াটিয়া আবুল হাসেম। আইয়ুব খান দৈনিক ঘোষণা সংবাদ পত্রে আরো উল্লেখ করেছেন আবুল হাসেম তার নিজের নামে একটি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়েছেন।

কিন্তু সরজমিনে দেখা গেলো তার উল্টো এবং স্থানীয় লোকজন জানান আবুল হাসেম দোকান ভাড়া নেওয়ার পরে আইয়ুব খান এবং তার সন্ত্রাসী বাহিনী এসে আইয়ুব খান এর সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে রেখে গেছেন।

ভূমির মূল মালিক এবং আবুল হাসেম গং অত্র প্রতিবেদনের মাধ্যমে উক্ত ভুয়া সংবাদ ও তাদের মানহানির জন্য ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।