অল নেপাল লিও মিট, বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশের লিও অরিত্র রহমান: দুই দেশের লিও আন্দোলনে নতুন অধ্যায়ের সূচনা

এম রাসেল সরকার:
৬৮তম আন্তর্জাতিক লিও ডে উপলক্ষে নেপালের পোখরায় অনুষ্ঠিত হচ্ছে পাঁচ দিনের আন্তর্জাতিক যুব নেতৃত্ব সম্মেলন “অল নেপাল লিও মিট ২০২৫”।
নেপালের লিও মাল্টিপল কাউন্সিল ৩২৫ আয়োজিত এ আয়োজনটি প্রতিবছর নেপালের লিও সমাজে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হিসেবে বিবেচিত হলেও এবার এর গুরুত্ব আরও বহুগুণ বেড়েছে। কারণ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নিচ্ছেন ডিস্ট্রিক্ট ৩১৫বি১ এর লিও ডিস্ট্রিক্ট প্রেসিডেন্ট লিও অরিত্র রহমান। এই সফরের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও নেপালের লিও আন্দোলনের মাঝে নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে বলে দুই দেশই আশাবাদী।
আজ ৪ ডিসেম্বর থেকে ৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোখরার মনোরম পাহাড়ি শহরে অনুষ্ঠিতব্য এই ৫ দিনব্যাপী ইভেন্টে নেপালের বিভিন্ন জেলা, বিভিন্ন ক্লাব ও ডজনখানেক শাখা সংগঠনের শত শত লিও সদস্য উপস্থিত থাকবেন। লিওদের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, নেতৃত্ব উন্নয়ন, সেবামূলক প্রকল্প ও ভবিষ্যত সহযোগিতা কাঠামো নির্মাণ এ সবকিছু নিয়েই আলোচনা হবে সম্মেলনে।
বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলে লিও অরিত্র রহমানের সঙ্গে রয়েছেন আরও দুইজন দক্ষ ও সক্রিয় লিও নেতা লিও তাসফিয়া আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট জোন ডিরেক্টর ও প্রেসিডেন্ট, লিও ক্লাব অব ঢাকা অ্যারিস্টোক্র্যাট; এবং লিও ফারহান সাদিক, ডিস্ট্রিক্ট টেমার। তাদের এই সফরকে বাংলাদেশ লিওদের মধ্যে বিশেষ গুরুত্বের সঙ্গে দেখা হচ্ছে, কারণ আন্তর্জাতিক পরিসরে তরুণ নেতৃত্বকে তুলে ধরার এমন সুযোগ বাংলাদেশে খুব বেশি আসে না।
এবারের সম্মেলনে লিও অরিত্র রহমান কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সেশন ও আলোচনা বৈঠকে বক্তব্য রাখবেন। যেখানে তিনি বাংলাদেশে লিও কার্যক্রম, কমিউনিটি সার্ভিস, নারী নেতৃত্ব বিকাশ, যুব সমাজকে দক্ষ করে তোলা এবং ভবিষ্যতে দুই দেশের যৌথ প্রকল্প নিয়ে মতবিনিময় করবেন। এছাড়াও, বাংলাদেশের লিও আন্দোলনের সফলতা, চ্যালেঞ্জ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নিজেদের শক্ত অবস্থান গড়ে তোলার কৌশল নিয়েও তিনি বক্তব্য রাখবেন বলে জানা গেছে।
দুই দেশের লিও সংগঠনগুলোর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকলেও এবার সরাসরি প্রতিনিধিদল পাঠানোয় সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় হবে। ভবিষ্যতে নেপাল বাংলাদেশ যৌথ সেবামূলক উদ্যোগ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, যুব নেতৃত্ব প্রশিক্ষণ ও মানবিক প্রকল্পে একসঙ্গে কাজ করার পথ খুলে যাবে এমনটাই মনে করছেন অনুষ্ঠান আয়োজকরা।
বাংলাদেশের পক্ষ থেকেও আশা করা হচ্ছে, এই সফর শুধু একটি সম্মেলন নয়, বরং এটি দুই দেশের যুবসমাজের পারস্পরিক বন্ধন, উন্নয়নমূলক কাজের ধারাবাহিকতা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির একটি বিশেষ সোপান হিসেবে কাজ করবে।
সব মিলিয়ে, অল নেপাল লিও মিট ২০২৫–এ বাংলাদেশের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিঃসন্দেহে পুরো দক্ষিণ এশিয়ার লিও আন্দোলনের জন্য একটি ঐতিহাসিক মুহূর্ত হয়ে থাকবে।
























