জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট এক সঙ্গে ঘোষণা করায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কে সাধুবাদ-ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন

কুমিল্লা প্রতিনিধি:
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিনিয়র সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, দেশে স্থিতিশীলতা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আমরা জাতীয় নির্বাচন এবং গণভোট একসাথে চেয়েছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা মেনে নিয়েছে, সেই জন্য সরকারকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। পিআর পদ্ধতিতে ভোট হলে এতে জনগণের আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে না।
তিনি বলেন, ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার দেখে ভীত হয়ে ২/১ টি রাজনৈতিক দল অযৌক্তিক দাবি তুলে নির্বাচন বাধাগ্রস্ত বা পিছিয়ে দিতে নানা ষড়যন্ত্র করছে। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে পিছিয়ে দেয়া মানে দেশ ও জনগণের সর্বনাশ করা। জনগণ আশা করছে বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দ্রুততম সময়ে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে।
তিনি দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সকল রাজনৈতিক দলকে আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে অংশ নেবার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির প্রবীণ নেতা ড.খন্দকার মোশাররফ।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকালে দাউদকান্দি পৌর সদরে ‘শহীদ রিফাত পার্কের’ সামনে মিছিলপূর্ব লাখ জনতার এক বিশাল সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এইসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মানুষ গত ১৫ বছরে কোনো নির্বাচনে ভোট দিতে পারেনি। আগামী নির্বাচনে ভোট দিতে উন্মুখ হয়ে আছে। তারা ভোট দিয়ে পছন্দসই একটি দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক সরকারকে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করবে।
ড. মোশাররফ অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে বলেন, ইনশাআল্লাহ আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে সন্দেহের কোনো কারণ নেই। নির্বাচন ঠেকানোর সাধ্য কারও নেই।
তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলন নিয়ে বিএনপির অবদানকে খাটো করে দেখার কোন সুযোগ নেই। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান অনেক আগেই ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকার পতনের এক দফা দাবি এবং রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা সংস্কার কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। যা
ইতোমধ্যে দেশের মানুষ সাদরে গ্রহণ করেছেন। তারেক রহমান ছাত্র জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ও সরকার পতনের এক দফার আন্দোলন কর্মসূচির প্রতি অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়েছেন এবং তার নির্দেশেই বিএনপির নেতাকর্মীরা যোগ দিয়েছেন।
ড. খন্দকার মোশাররফ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, দেশের উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির জন্য আগামী ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার জন্য সর্বস্তরের জনগণের প্রতি উদাত্ত আহবান জানিয়েছেন। সমাবেশের প্রধান বক্তা বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সুপ্রীম কোর্টের এডভোকেট ড. খন্দকার মারুফ হোসেন বলেন, ধানের শীষ উন্নয়ন ও শান্তির প্রতীক। অতীতে ধানের শীষে ভোট দিয়ে উন্নয়ন পেয়েছেন। দেশকে উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে নিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে ধানের শীষে ভোট দিন।
দাউদকান্দি পৌর বিএনপির আহবায়ক নূর মোহাম্মদ সেলিম সরকারের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন, দাউদকান্দি বিএনপির প্রবীণ নেতা একেএম শামসুল হক, কুমিল্লা উত্তর জেলা সিনিয়র বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আলহাজ্ব আবুল হাশেম, কেন্দ্রীয় শ্রমিক দলের সহ সাধারণ সম্পাদক মিঞা মো. মিজানুর রহমান, দাউদকান্দি উপজেলা বিএনপির আহবায়ক এম.এ লতিফ ভূইয়া, সদস্য সচিব ভিপি জাহাঙ্গীর আলম, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক জসিমউদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম আহবায়ক আবদুস সাত্তার, দাউদকান্দি পৌর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক পিটার চৌধুরী ও সদস্য সচিব কাউসার আলম সরকার, মেঘনা বিএনপি নেতা রমিজউদ্দিন লন্ডনী, কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবদলের সাবেক সভাপতি ভিপি শাহাবুদ্দিন ভুইয়া, কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক আনোয়ার হোসেন আনন্দসহ উপজেলা, পৌর এবং ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র জুনিয়র প্রচুরসংখ্যক নেতাকর্মী।
সমাবেশ শেষে দাউদকান্দিতে ধানের শীষের পক্ষে কুমিল্লা-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী ড.খন্দকার মোশাররফ হোসেন লক্ষাধিক জনতার অংশগ্রহণে স্মরণকালের এক বিশাল গণমিছিলে নেতৃত্ব দেন। বর্ণাঢ্য মিছিলটি জুলাই আন্দোলনে শহীদ ‘দাউদকান্দি সদরের শহীদ রিফাত পার্ক’ থেকে শুরু হয়ে দোনার সড়কপথে গিয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের টোলপ্লাজা হয়ে বিশ্বরোডে গিয়ে শেষ হয়।
এই সময় সড়কের দুইপাশে প্রচুরসংখ্যক নারী পুরুষ প্রিয় নেতাকে ফুলেল শুভেচ্ছায় অভিষিক্ত করেন। ড.মোশাররফও হাত নেড়ে শুভেচ্ছার জবাব দেন।
দাউদকান্দি উপজেলা এবং পৌরসভা বিএনপির সকল ওয়ার্ডের নেতাকর্মী, সমর্থক এবং নানা শ্রেণিপেশার লক্ষাধিক মানুষ এই গণমিছিল কর্মসূচিতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।






















