চাঁদার বিনিময়ে রুট পারমিট ও ফিটনেসহীন প্রায় সাড়ে ৬ হাজার অবৈধ বাস দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ঢাকায়.!

বিশেষ প্রতিনিধি:
অভিনব কৌশলে রাজধানীতে গণপরিবহনে চলছে চাঁদাবাজি। আগে সড়ক থেকে তোলা হলেও এখন হয় বাস ডিপো ও কাউন্টারগুলো থেকে। চাঁদার সেই টাকার বিনিময়ে রুট পারমিট ও ফিটনেসহীন যানবাহন সড়ক দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। ঢাকায় মাত্র ৩ হাজার ৪৪৫টি বাসকে রুটপারমিট ও ফিটনেস সনদ দিয়ে থাকলেও সড়কে চলছে ১০ হাজারের বেশি।
তথ্যমতে, নন্দন পার্ক থেকে নারায়ণগঞ্জ চাষাড়া রুটে মৌমিতা পরিবহনের মাত্র ৩৩টি বাসের ফিটনেস সনদ ও রুট পারমিট রয়েছে। অথচ, এই পরিবহনের ব্যানারে সড়কে চলাচল করছে ৮০ থেকে ৯০টি বাস। আর বাসগুলো চলছে চাঁদার বিনিময়ে।
দোহার মদনপুর রুটের আসমানী পরিবহনের একই অবস্থা। ৫০টি বাসের অনুমতি নিয়ে চলছে ৬৯টি। এমন কৌশলে অবৈধভাবে যানবাহন চালাচ্ছেন বেশিরভাগ পরিবহনই। এসবের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া ঠেকাতে মোটা অংকের টাকা ব্যয় করে বাস মালিকরা, যা তোলা হয় সব বাস থেকেই।
ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম-পুলিশ কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, পর্যাপ্ত জায়গা না থাকায় চাইলেই আমরা বাস, বড় লরি ও কাভার্ডভ্যান রাস্তা থেকে তুলে আনতে পারি না। ফলে এসব পরিবহনকে মামলা ও জরিমানা বেশি করা হয়।
এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে জানিয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মমতাজ সাদ উদ্দিন আহমেদ জানান, যেসব গাড়ি থেকে কালো ধোঁয়া ও স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে সেগুলো ডাম্পিং করে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
পরিবহন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. হাদিউজ্জামান জানান, শুধুমাত্রা মালিক-শ্রমিক সংগঠন ও রাজনৈতিক নেতৃত্ব নয়, প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারিও এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। তারা কেউ চায় না- গণপরিবহন শৃঙ্খলার মধ্যে আসুক। যতদিন এই শৃঙ্খলা টিকিয়ে রাখা যাবে ততদিন এখন থেকে হাজার কোটি চাঁদাবাজি সম্ভব।
গণপরিবহনকে চাঁদাবাজির ক্ষেত্র থেকে বের করে সেবাখাতে পরিণত করতে বাসরুট ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে নেওয়ার বিকল্প নেই বলে জানান তিনি।


















