যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য আসন ছেড়ে, যেভাবে প্রার্থী বাছাই করল বিএনপি

ডেস্ক রিপোর্ট:
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) সোমবার ২৩৭টি আসনে সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছে। বাকি ৬৩টি আসনের মধ্যে ৪০টি যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের জন্য ছেড়ে দেওয়ার প্রাথমিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। অবশিষ্ট ২৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করা হবে পরে। তবে জাতীয় নাগরিক পার্টির সঙ্গে সমঝোতা হলে আসন বণ্টনের হিসাব কিছুটা পাল্টে যেতে পারে বলে দলীয় সূত্র জানিয়েছে।
সোমবার (৩ নভেম্বর) বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনের পর দলটির একাধিক নেতা জানান, প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে তিন ধাপের যাচাই-বাছাই ও জরিপের ফলাফলকে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।
বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় প্রথমে সারাদেশের ৩০০ আসনে প্রার্থীদের জনপ্রিয়তা, সাংগঠনিক অবস্থান ও নির্বাচনী সক্ষমতা যাচাইয়ে তিন দফা জরিপ পরিচালনা করা হয়। এরপর ওই জরিপের ফলাফল পর্যালোচনা করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, এবং স্থায়ী কমিটির তিন নেতা— নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
এই পাঁচ নেতা প্রায় এক মাস ধরে দলীয় পর্যায়ে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের সঙ্গে একাধিক ভার্চুয়াল বৈঠক ও সরাসরি আলোচনার মাধ্যমে একটি প্রাথমিক খসড়া তালিকা তৈরি করেন।
জরিপের ফলাফল ও মাঠপর্যায়ের তথ্য যাচাইয়ের পর ২৬০টি আসনের একটি তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সোমবার বেলা ১২টা থেকে শুরু হয়ে তিন ঘণ্টাব্যাপী বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এই তালিকা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। আলোচনার পর ২৩৭টি আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করা হয়। বাকি ২৩টি আসন নিয়ে বৈঠকে ঐকমত্য না হওয়ায় তা স্থগিত রাখা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, আমরা দীর্ঘ পর্যালোচনা করে আজকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছি।
স্থায়ী কমিটির আরেক নেতা জানান, আজকের বৈঠকে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ২৬০টি আসনের একটি তালিকা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে ২৩৭টি আসনের প্রার্থী নিয়ে ঐকমত্য হয়। বাকি আসনগুলো নিয়ে ঐকমত্য হয়নি। আজকের ঘোষিত সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা থেকে পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
দলীয় নেতাদের মতে, বিএনপি এবার প্রার্থী বাছাইয়ে অতীতের তুলনায় বেশি গবেষণাভিত্তিক ও সংগঠিত পদ্ধতি অনুসরণ করেছে—যাতে মাঠপর্যায়ের সক্রিয় নেতাদের অগ্রাধিকার দিয়ে শক্তিশালী নির্বাচনী দল গঠন সম্ভব হয়।
																			
																		
								                                        














