5:54 pm, Tuesday, 4 November 2025

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত: সব বিষয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই

দিগন্ত প্রতিদিন

screenshot 20251011 010352

 

ধর্ম ডেস্ক:
দোয়াকে ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলা হয়েছে। যে আল্লাহর কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। দোয়ার মাধ্যমে সহজেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়। যেকোনো বিপদ ও সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায়। অসংখ্য অগণিত সওয়াব ও নেকি অর্জন করা যায়। তাই সব বিষয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই।

হাদিসে দোয়ার মাধ্যমে বেশি সওয়াব লাভের অনেক বর্ণনা রয়েছে, যেসব দোয়া পড়লে সহজে বেশি সওয়াব লাভ করা যায়।

‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮২৯)।

অহংকার করে যারা এই ইবাদত ছেড়ে দেয় তাদের উদ্দেশ্যে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। অহংকারবশত যারা আল্লাহর ইবাদত করে না, তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন: ৬০)

দোয়া অসামান্য ভূমিকা পালনে রাসুল (স.) বলেছেন, ‘তাকদিরের বিরুদ্ধে সতর্কতা কোনো কাজেই আসবে না। যা ঘটেছে ও যা ঘটতে পারে—তা থেকে শুধু দোয়াই পারে নিষ্কৃতি দিতে। কোনো কোনো দুর্দশার সঙ্গে মোকাবেলা করে বিচার দিন পর্যন্ত লড়াই করতে থাকে দোয়া।’ (তাবরানি আউসাত: ১৫১৯)

জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি দোয়া নিচে উল্লেখ করা হলো:

০১-হালাল রিজিক ও আত্মনির্ভরতার দোয়া;

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা ’আন হার-মিকা ওয়াগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

অর্থ :
হে আল্লাহ! তুমি তোমার হালাল জিনিসের মাধ্যমে আমাকে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো এবং তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে অন্য সবার থেকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! তুমি তোমার হালাল জিনিসের মাধ্যমে আমাকে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো এবং তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে অন্য সবার থেকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

০২-মুসিবতের সম্মুখীন হলে;

إِنَّا لِلّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَاخْلُفْ لِي خَيْرًا مِّنْهَا
উচ্চারণ :
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন। আল্লাহুম্মা আজুরনি ফি মুসীবাতি, ওাখলুফ লি খাইরান মিনহা।

অর্থ :
নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং অবশ্যই আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমার এই বিপদের মধ্যে তুমি আমাকে প্রতিদান দাও এবং এর পরিবর্তে আমাকে তার চেয়েও উত্তম কিছু দান করো।

ফজিলত :
নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং অবশ্যই আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমার এই বিপদের মধ্যে তুমি আমাকে প্রতিদান দাও এবং এর পরিবর্তে আমাকে তার চেয়েও উত্তম কিছু দান করো।

০৩-গুরু দায়িত্বভার থেকে মুক্তির দু’আ:

رَبَّـنَـا وَلاَ تُـحَـمِّـلْـنَـا مَـا لاَ طَـاقَـةَ لَـنَـا بِـه. وَاعْـفُ عَـنَّـا وقفه وَاغًـفِـرْلَـنَـا وقفه وَارْحَـمْـنَـا وقفه اَنْـتَ مَـوْلَـنَـا فَـانْـصُـرْنَـا عَـلَـى الْـقَـوْمِ الْـكـفَـرِيْـنَ
উচ্চারণ :
রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা- মা-লা- ত্বা-ক্বাতা লানা- বিহ, ওয়া’ফু ’আন্না- ওয়াগ্‌ফির লানা- ওয়ারহামনা আন্তা মাওলা-না ফানসুরনা ’আলাল ক্বাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থ :
হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের ওপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপমোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহমত নাযিল কর, তুমি আমাদের অভিভাবক-আশ্রয়দাতা। কাফিরদের প্রতিকূলে তুমি আমাদের সাহায্য কর।

ফজিলত :
হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের ওপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপমোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহমত নাযিল কর, তুমি আমাদের অভিভাবক-আশ্রয়দাতা। কাফিরদের প্রতিকূলে তুমি আমাদের সাহায্য কর।

০৪-কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে পড়বে;

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ
উচ্চারণ :
ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহ্‌মাতিকা আস্তাগিস।

অর্থ :
হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর ধারক! আমি আপনারই রহমতের প্রার্থনা করছি।

ফজিলত :
হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর ধারক! আমি আপনারই রহমতের প্রার্থনা করছি।

০৫-কারো কষ্ট দেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের দোয়া;

اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهٖ وَفَضَّلَنِيْ عَلٰی كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا.
উচ্চারণ :
আলহামদুলিল্লা হিল্লাযী ‘আ ফাা নী মিম্মাব তালাকা বিহি ওয়া ফায যালানী ‘আলা কাসীরিন মিম্মান খলাক্বা তাফযীলা।

অর্থ :
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা হইতে রক্ষা করিয়াছেন যাহাতে তোমাকে লিপ্ত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে তাহার অনেক মাখলুক হইতে সম্মান দান করিয়াছেন।

ফজিলত :
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা হইতে রক্ষা করিয়াছেন যাহাতে তোমাকে লিপ্ত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে তাহার অনেক মাখলুক হইতে সম্মান দান করিয়াছেন।

০৬-রাতে, ভয়ের সময় ও যেকোনো অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া;

أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ :
আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিনসাররি-মা-খলাক।

অর্থ :
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর মাধ্যমে আশ্রয় চাই, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।

ফজিলত :
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর মাধ্যমে আশ্রয় চাই, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।

০৭-কষ্ট দূর করার দু’আ;

ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﻣَﻨْﺠَﺎَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍِﻟَّﺎ ﺍِﻟَﻴْﻪِ
উচ্চারণ :
লা হাওলা ওয়ালা-ক্বুওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ওয়ালা মানজা মিনাল্লহি ইল্লা ইলাইহি

অর্থ :
আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই, আর আল্লাহর শাস্তি থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ নেই—তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।

ফজিলত :
আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই, আর আল্লাহর শাস্তি থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ নেই—তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।

০৮-আকস্মিক পরীক্ষা ও বিপদ থেকে হিফাজত;

‎اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ

উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি’মাতিকা, ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা, ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা।

অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে। আশ্রয় চাই তোমার কাছ থেকে হঠাৎ আসা শাস্তি থেকে। তোমার সব ধরণের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, ইয়া আল্লাহ।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে। আশ্রয় চাই তোমার কাছ থেকে হঠাৎ আসা শাস্তি থেকে। তোমার সব ধরণের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, ইয়া আল্লাহ।

০৯-প্রশাসনের যুলুমের ভয় পেলে আত্মরক্ষার দু’আ;

“”اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، ‌كُنْ ‌لِي ‌جَارًا ‌مِنْ فُلَانِ بْنِ فُلَانٍ وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلَائِقِكَ؛ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ، أَوْ يَطْغَى، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلَا إِلَهَ إلا أنت””.

উচ্চারণ :
আল্লা-হুম্মা রাব্বাস সামা-ওয়া-তিস সাব‘ই ওয়া রাব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, কুন লী জা-রান মিন ফুলা-ন ইবনু ফুলা- ন (সংশিলষ্ট ব্যক্তির নাম) ওয়া আ‘হযা-বিহী মিন খালা-ইক্বিকা আইঁ ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আ‘হাদুম মিনহুম আও ইয়াত্বগা-, ‘আযযা জা- রুকা ওয়া জাল্লা সানা-উকা, ওয়া লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা

অর্থ :
হে আল্লাহ, সাত আসমানের প্রভু ও মহান আরশের প্রভু, আপনি আমাকে আশ্রয় প্রদান করেন অমুকের পুত্র অমুক (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম) থেকে এবং আপনার সৃষ্টির মধ্য থেকে যারা তার দলবলে রয়েছে তাদের থেকে, তাদের কেউ যেন আমার বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করতে না পারে বা আমার উপর অত্যাচার বা বিদ্রোহ করতে না পারে। আপনি যাকে আশ্রয় দেন সেই সম্মানিত। আপনার প্রশংসা মহিমান্বিত। আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।

ফজিলত :
হে আল্লাহ, সাত আসমানের প্রভু ও মহান আরশের প্রভু, আপনি আমাকে আশ্রয় প্রদান করেন অমুকের পুত্র অমুক (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম) থেকে এবং আপনার সৃষ্টির মধ্য থেকে যারা তার দলবলে রয়েছে তাদের থেকে, তাদের কেউ যেন আমার বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করতে না পারে বা আমার উপর অত্যাচার বা বিদ্রোহ করতে না পারে। আপনি যাকে আশ্রয় দেন সেই সম্মানিত। আপনার প্রশংসা মহিমান্বিত। আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।

১০-শিশুদের হেফাজতের দোয়া;

أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

উচ্চারণ :
আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্‌।

অর্থ :
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

ফজিলত :
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

১১-দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়বে;

اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي

উচ্চারণ :
আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা ইবনু ‘আবদিকা ইবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও ‘আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ‘ইনদাকা, আন্ তাজ‘আলাল কুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্‌রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী

অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনার আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনার আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।

১২-দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া;

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

উচ্চারণ :
লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা- হু রাব্বুস সামাওয়া-তি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম

অর্থ :
নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান, মহাধৈর্যময় মহা বিচক্ষণ, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান আরশের প্রভু, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের প্রভু

ফজিলত :
নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান, মহাধৈর্যময় মহা বিচক্ষণ, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান আরশের প্রভু, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের প্রভু।

১৩-যখন নিজেকে খুব দুর্বল, অসহায় বা অস্থির মনে হয়;

اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ :
আল্লা-হুম্মা রহ্‌মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা

অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।

১৪-বিপদে পড়লে, হতাশ হলে, গোনাহ থেকে মুক্তি চাইলে এই দোয়া পাঠ করুন;

لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ

উচ্চারণ :
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায-যা-লিমীন

অর্থ :
আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।

ফজিলত :
আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।

১৫-সংকটে সাহস, আল্লাহর শক্তি ও সাহায্য কামনার দোয়া;

اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي، وَأَنْتَ نَصِيرِي، بِكَ أَحُولُ وَبِكَ أَصُولُ، وَبِكَ أُقاتِلُ

উচ্চারণ :
আল্লহুম্মা আনতা ‘আদ্বুদী, ওয়া আনতা নাসীরী, বিকা আহূলু, ওয়া বিকা আসূলু, ওয়া বিকা উক্বা-তিলু

অর্থ :
হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি এবং আপনি আমার সাহায্যকারী; আপনারই সাহায্যে আমি বিচরণ করি, আপনারই সাহায্যে আমি আক্রমন করি এবং আপনারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি এবং আপনি আমার সাহায্যকারী; আপনারই সাহায্যে আমি বিচরণ করি, আপনারই সাহায্যে আমি আক্রমন করি এবং আপনারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি।

১৬-হারানো জিনিস উদ্ধারের জন্য দোয়া;

«يَا هَادِيَ الضَّالِّ، وَرَادَّ الضَّالَّةِ ارْدُدْ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزَّتِكَ وَسُلْطَانِكَ فَإِنَّهَا مِنْ عَطَائِكَ وَفَضْلِكَ»

উচ্চারণ :
ইয়া হাদিয়াদ দ্বালাল, ওয়া রা-দ্দাদ দ্বাল্লাহ; উরদুদ আলাইয়া দ্বাল্লাতি, বিইজ্জাতিক ওয়া সুলতানিকা; ফাইন্নাহা মিন আত্বায়িকা ও ফাদ্বলিক।

অর্থ :
আল্লাহর নামে শুরু। হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হারানো বস্তু প্রত্যাবর্তনকারী; আপনার সম্মান ও ক্ষমতার উসিলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে আমার হারানো জিনিসটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান এবং অনুগ্রহ।’

ফজিলত :
আল্লাহর নামে শুরু। হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হারানো বস্তু প্রত্যাবর্তনকারী; আপনার সম্মান ও ক্ষমতার উসিলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে আমার হারানো জিনিসটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান এবং অনুগ্রহ।’

১৭-কুনুত-ই-নাযেলা-১

اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكَافِرِينَ مُلْحَقٌ اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنَا مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنَ الْمُخْلَصِينَ لِعِبَادَتِكَ وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ اللَّهُمَّ انْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ وَالْفَاجِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ وَالْمُعْتَدِينَ وَاحْفَظْنَا مِنْ بَيَانِ السُّوءِ وَالْأَعْمَالِ السَّيِّئَةِ وَمِنْ كُلِّ شَرٍّ وَمِنْ كُلِّ بَلِيَّةٍ

উচ্চারণ :
হে আল্লাহ!আমরা তোমার সাহায্য চাই এবং তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা তোমার প্রতি ঈমান এনেছি এবং তোমার উপর ভরসা করি। আমরা তোমার নিকট প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই এবং তোমাকে অস্বীকার করি না। আমরা তোমাকে উপাসনা করি, তোমার জন্য নামাজ আদায় করি ও সিজদা করি। তোমার রহমত আশা করি ও তোমার কঠোর শাস্তি ভয় করি। হে আল্লাহ! আমাদের তাওবা কবুল করো এবং আমাদেরকে পবিত্র করো। আমাদেরকে তোমার সৎ উপাসকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো। আমাদেরকে কাফির, দুষ্ট, মুনাফিক ও আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে সাহায্য করো। আমাদেরকে মন্দ কাজ ও দুর্ব্যবহার থেকে রক্ষা করো এবং সব ধরনের বিপদ থেকে হেফাজত দাও।

অর্থ :
“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”। হে আল্লাহ, ক্ষমা করুন আমাদেরকে, এবং মুমিন পুরুষদেরকে এবং মুমিন নারীদেরকে, এবং মুসলিম পুরুষদেরকে এবং মুসলিম নারীদেরকে, তাদের অন্তরের মধ্যে সম্প।

ফজিলত :
“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”। হে আল্লাহ, ক্ষমা করুন আমাদেরকে, এবং মুমিন পুরুষদেরকে এবং মুমিন নারীদেরকে, এবং মুসলিম পুরুষদেরকে এবং মুসলিম নারীদেরকে, তাদের অন্তরের মধ্যে সম্প।

১৮-দৃষ্টি,শ্রবণের সুস্থতা,দারিদ্র্যমুক্তি ও নিরাপত্তার দু’আ;

اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ .

উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি, ওয়াল ফাকরি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।

অর্থ :
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

১৯-রোগমুক্তির জন্য আয়াতে শেফা
উচ্চারণ :

অর্থ :
রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াতঃ পবিত্র কুরআনে কারীমের ৬ টি আয়াত “”আয়াতে শেফা বা রোগ মুক্তির আয়াত”” নামে পরিচিত। এগুলো পড়ার পূর্বে সুরা ফাতিহা পড়ে নেয়া উত্তম। আয়াতগুলো হচ্ছে: ১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, – وَيفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন। ২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ উচ্চারণ : ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। ৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াতيَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফ

ফজিলত :
রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াতঃ পবিত্র কুরআনে কারীমের ৬ টি আয়াত “”আয়াতে শেফা বা রোগ মুক্তির আয়াত”” নামে পরিচিত। এগুলো পড়ার পূর্বে সুরা ফাতিহা পড়ে নেয়া উত্তম। আয়াতগুলো হচ্ছে: ১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, – وَيفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন। ২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ উচ্চারণ : ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। ৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াতيَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফ।

২০-পিতা-মাতার জন্য দু’আ:

رَبِّ ارْحَـمْـهُـمَـا كَـمَـا رَبَّيَانِي صَـغِـيْـرًا
উচ্চারণ :
রব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

অর্থ :
হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

ফজিলত :
হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

২১-) কঠিন কাজ সহজ হওয়ার দোয়া:

اللَّهُمَّ لَا سَهْلَ إلاَّ مَا جَعَلْتَهُ سَهْلاً، وأنْتَ تَجْعَلُ الحَزْنَ إذَا شِئْتَ ‘আল্লাহুম্মা লা-সাহলা ইল্লা মা জায়ালতাহু সাহলান, ওয়া আনতা তাজআলুল হুজনা সাহলান ইজা শিইতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি যা সহজ করে দেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নেই। আর আপনি চাইলে পেরেশানিযুক্ত কাজও সহজ করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯৭৪)

২২- তাকওয়া, সচ্চরিত্র ও সচ্ছলতার;

দোয়া: اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْألُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা; ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আফাফা; ওয়াল গেনা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে হেদায়াত কামনা করি এবং আপনার ভয় তথা তাকওয়া কামনা করি এবং আপনার কাছে সতীত্ব তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্থ্য বা সচ্ছলতা কামনা করি।’ (মুসলিম: ২৭২১; তিরমিজি: ৩৪৮৯; ইবনে মাজাহ: ৩৮৩২; মুসনাদে আহমদ: ৩৬৮৪)

২৩-ঋণমুক্তির দোয়া:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ (বুখারি: ২৮৯৩) অথবা اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করো না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (তিরমিজি: ৩৫৬৩)

২৪-মা-বাবার জন্য দোয়া:

رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ‘রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১) অথবা رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ‘রাব্বির হামহুমা, কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো; যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)

২৫- উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের দোয়া:

رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا ‘রাব্বানা-হাবলানা-মিন আজওয়া-জিনা- ওয়া যুররিইয়া-তিনা, কুররাতা আ‘ইউনি ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকিনা ইমা-মা-।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে জন্যে এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা হবে আমাদের চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য করুন।’ (সুরা ফুরকান: ৭৪) অথবা رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ ‘রাব্বি ইন্নি লিমা- আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস: ২৪)

২৬-সুসন্তান লাভের দোয়া:

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুরিরয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দুআ’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩৮)

২৭-মসিবত থেকে রক্ষার দোয়া (দোয়া ইউনুস):

لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বলিমিন।’ অর্থ: ‘তুমি ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৮)

২৮- পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তার দোয়া:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَأَهْلِي ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফিয়াতা ফী দীনী ওয়া আহলী’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আমার দীন ও আমার পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৭০৩)

২৯-জ্ঞানবৃদ্ধির দোয়া:

اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي، وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي، وَزِدْنِي عِلْمًا وأعُوْذُ بِاللَّهِ مِنْ حَالِ أهْلِ النَّار ‘আল্লাহুম্মানফা-নি বিমা আল্লামতানি, ওয়া আল্লিমনি মা ইয়ানফাউনি ওয়া জিদনি ইলমা, ওয়া আউজুবিল্লাহি মিন হালি আহলিন না-র।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনি যা শিখিয়েছেন, তা দিয়ে আমাকে উপকৃত করুন, আমার জন্য যা উপকারী হবে, তা আমাকে শিখিয়ে দিন এবং আমার ইলম (জ্ঞান) বাড়িয়ে দিন আর আমি জাহান্নামিদের অবস্থা থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।’ (তিরমিজি: ৩৫৯৯; ইবনে মাজাহ: ২৫১)

৩০-জানা-অজানা শিরক থেকে বাঁচার দোয়া:

ااَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أشْرِكَ بِكَ وَاَنَا أَعْلَمُ وَاَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন-আশরিকা বিকা, ওয়া আনা আ’লামু; ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আ’লামু’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত, তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ: ৫৫১)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উল্লেখিত দোয়াগুলো মুখস্থ করার এবং নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন-আমীন।

নোট: যে কোনো আরবির বাংলা উচ্চারণ লেখায় মূল উচ্চারণ অনেকাংশেই ব্যহত হয়। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, বর্ণিত এসব দোয়া আপনার নিকটস্থ মসজিদের ইমাম-খতিব বা ভালো কোনো আলেমের কাছ থেকে শিখে নিবেন।

 

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 07:14:55 pm, Friday, 10 October 2025
72 Time View

দোয়া একটি স্বতন্ত্র ইবাদত: সব বিষয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই

Update Time : 07:14:55 pm, Friday, 10 October 2025

 

ধর্ম ডেস্ক:
দোয়াকে ইবাদতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ বলা হয়েছে। যে আল্লাহর কাছে দোয়া করে না, আল্লাহ তার ওপর অসন্তুষ্ট হন। দোয়ার মাধ্যমে সহজেই মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ হয়। যেকোনো বিপদ ও সমস্যায় সমাধান পাওয়া যায়। অসংখ্য অগণিত সওয়াব ও নেকি অর্জন করা যায়। তাই সব বিষয়ে আল্লাহর কাছে দোয়া করার বিকল্প নেই।

হাদিসে দোয়ার মাধ্যমে বেশি সওয়াব লাভের অনেক বর্ণনা রয়েছে, যেসব দোয়া পড়লে সহজে বেশি সওয়াব লাভ করা যায়।

‘মহান আল্লাহর কাছে দোয়ার চেয়ে অধিক সম্মানিত কোনো কিছু নেই’ (ইবনে মাজাহ: ৩৮২৯)।

অহংকার করে যারা এই ইবাদত ছেড়ে দেয় তাদের উদ্দেশ্যে পবিত্র কোরআনে ইরশাদ হয়েছে, ‘আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। অহংকারবশত যারা আল্লাহর ইবাদত করে না, তারা লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।’ (সুরা মুমিন: ৬০)

দোয়া অসামান্য ভূমিকা পালনে রাসুল (স.) বলেছেন, ‘তাকদিরের বিরুদ্ধে সতর্কতা কোনো কাজেই আসবে না। যা ঘটেছে ও যা ঘটতে পারে—তা থেকে শুধু দোয়াই পারে নিষ্কৃতি দিতে। কোনো কোনো দুর্দশার সঙ্গে মোকাবেলা করে বিচার দিন পর্যন্ত লড়াই করতে থাকে দোয়া।’ (তাবরানি আউসাত: ১৫১৯)

জীবনের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ৩০টি দোয়া নিচে উল্লেখ করা হলো:

০১-হালাল রিজিক ও আত্মনির্ভরতার দোয়া;

اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلَالِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ
উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা ’আন হার-মিকা ওয়াগনিনি বি ফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।

অর্থ :
হে আল্লাহ! তুমি তোমার হালাল জিনিসের মাধ্যমে আমাকে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো এবং তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে অন্য সবার থেকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! তুমি তোমার হালাল জিনিসের মাধ্যমে আমাকে হারাম থেকে বাঁচিয়ে রাখো এবং তোমার অনুগ্রহের মাধ্যমে আমাকে অন্য সবার থেকে অমুখাপেক্ষী করে দাও।

০২-মুসিবতের সম্মুখীন হলে;

إِنَّا لِلّٰهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ، اَللّٰهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي، وَاخْلُفْ لِي خَيْرًا مِّنْهَا
উচ্চারণ :
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজি‘উন। আল্লাহুম্মা আজুরনি ফি মুসীবাতি, ওাখলুফ লি খাইরান মিনহা।

অর্থ :
নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং অবশ্যই আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমার এই বিপদের মধ্যে তুমি আমাকে প্রতিদান দাও এবং এর পরিবর্তে আমাকে তার চেয়েও উত্তম কিছু দান করো।

ফজিলত :
নিশ্চয়ই আমরা আল্লাহর জন্য এবং অবশ্যই আমরা তাঁরই দিকে ফিরে যাব। হে আল্লাহ! আমার এই বিপদের মধ্যে তুমি আমাকে প্রতিদান দাও এবং এর পরিবর্তে আমাকে তার চেয়েও উত্তম কিছু দান করো।

০৩-গুরু দায়িত্বভার থেকে মুক্তির দু’আ:

رَبَّـنَـا وَلاَ تُـحَـمِّـلْـنَـا مَـا لاَ طَـاقَـةَ لَـنَـا بِـه. وَاعْـفُ عَـنَّـا وقفه وَاغًـفِـرْلَـنَـا وقفه وَارْحَـمْـنَـا وقفه اَنْـتَ مَـوْلَـنَـا فَـانْـصُـرْنَـا عَـلَـى الْـقَـوْمِ الْـكـفَـرِيْـنَ
উচ্চারণ :
রাব্বানা ওয়া লা তুহাম্মিলনা- মা-লা- ত্বা-ক্বাতা লানা- বিহ, ওয়া’ফু ’আন্না- ওয়াগ্‌ফির লানা- ওয়ারহামনা আন্তা মাওলা-না ফানসুরনা ’আলাল ক্বাওমিল কা-ফিরীন।

অর্থ :
হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের ওপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপমোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহমত নাযিল কর, তুমি আমাদের অভিভাবক-আশ্রয়দাতা। কাফিরদের প্রতিকূলে তুমি আমাদের সাহায্য কর।

ফজিলত :
হে আমাদের প্রতিপালক! এমন ভার আমাদের ওপর অর্পণ করো না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই। আমাদের পাপমোচন কর, আমাদের ক্ষমা কর। আমাদের প্রতি রহমত নাযিল কর, তুমি আমাদের অভিভাবক-আশ্রয়দাতা। কাফিরদের প্রতিকূলে তুমি আমাদের সাহায্য কর।

০৪-কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলে পড়বে;

يَا حَيُّ يَا قَيُّوْمُ بِرَحْمَتِكَ اَسْتَغِيْثُ
উচ্চারণ :
ইয়া হাইয়ু ইয়া কাইয়ুম বিরাহ্‌মাতিকা আস্তাগিস।

অর্থ :
হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর ধারক! আমি আপনারই রহমতের প্রার্থনা করছি।

ফজিলত :
হে চিরঞ্জীব! হে সকল বস্তুর ধারক! আমি আপনারই রহমতের প্রার্থনা করছি।

০৫-কারো কষ্ট দেখে আল্লাহর শুকরিয়া আদায়ের দোয়া;

اَ لْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِيْ عَافَانِيْ مِمَّا ابْتَلَاكَ بِهٖ وَفَضَّلَنِيْ عَلٰی كَثِيْرٍ مِّمَّنْ خَلَقَ تَفْضِيْلًا.
উচ্চারণ :
আলহামদুলিল্লা হিল্লাযী ‘আ ফাা নী মিম্মাব তালাকা বিহি ওয়া ফায যালানী ‘আলা কাসীরিন মিম্মান খলাক্বা তাফযীলা।

অর্থ :
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা হইতে রক্ষা করিয়াছেন যাহাতে তোমাকে লিপ্ত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে তাহার অনেক মাখলুক হইতে সম্মান দান করিয়াছেন।

ফজিলত :
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি আমাকে সেই অবস্থা হইতে রক্ষা করিয়াছেন যাহাতে তোমাকে লিপ্ত করিয়াছেন এবং তিনি আমাকে তাহার অনেক মাখলুক হইতে সম্মান দান করিয়াছেন।

০৬-রাতে, ভয়ের সময় ও যেকোনো অনিষ্ট থেকে বাঁচার দোয়া;

أعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّاتِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ
উচ্চারণ :
আউযুবি কালিমাতিল্লাহিত তাম্মাতি মিনসাররি-মা-খলাক।

অর্থ :
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর মাধ্যমে আশ্রয় চাই, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।

ফজিলত :
আমি আল্লাহর পরিপূর্ণ বাণীর মাধ্যমে আশ্রয় চাই, তিনি যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তার অনিষ্ট থেকে।

০৭-কষ্ট দূর করার দু’আ;

ﻟَﺎ ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻟَﺎ ﻗُﻮَّﺓَ ﺍِﻟَّﺎ ﺑِﺎﻟﻠﻪِ ﻭَﻟَﺎ ﻣَﻨْﺠَﺎَ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺍِﻟَّﺎ ﺍِﻟَﻴْﻪِ
উচ্চারণ :
লা হাওলা ওয়ালা-ক্বুওয়াতা ইল্লা-বিল্লাহি ওয়ালা মানজা মিনাল্লহি ইল্লা ইলাইহি

অর্থ :
আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই, আর আল্লাহর শাস্তি থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ নেই—তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।

ফজিলত :
আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি ও ক্ষমতা নেই, আর আল্লাহর শাস্তি থেকে পরিত্রাণের কোনো পথ নেই—তাঁর কাছেই ফিরে যেতে হবে।

০৮-আকস্মিক পরীক্ষা ও বিপদ থেকে হিফাজত;

‎اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ زَوَالِ نِعْمَتِكَ، وَتَحَوُّلِ عَافِيَتِكَ، وَفُجَاءَةِ نِقْمَتِكَ، وَجَمِيعِ سَخَطِكَ

উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন যাওয়ালি নি’মাতিকা, ওয়া তাহাওউলি আফিয়াতিকা, ওয়া ফুজাআতি নিক্বমাতিকা, ওয়া জামিয়ি সাখাত্বিকা।

অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে। আশ্রয় চাই তোমার কাছ থেকে হঠাৎ আসা শাস্তি থেকে। তোমার সব ধরণের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, ইয়া আল্লাহ।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে আশ্রয় চাই নেয়ামত দূর হয়ে যাওয়া থেকে, তোমার দেয়া সুস্থতা পরিবর্তন হয়ে যাওয়া থেকে। আশ্রয় চাই তোমার কাছ থেকে হঠাৎ আসা শাস্তি থেকে। তোমার সব ধরণের অসন্তুষ্টি থেকে আশ্রয় চাই, ইয়া আল্লাহ।

০৯-প্রশাসনের যুলুমের ভয় পেলে আত্মরক্ষার দু’আ;

“”اللَّهُمَّ رَبَّ السَّمَاوَاتِ السَّبْعِ وَرَبَّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ، ‌كُنْ ‌لِي ‌جَارًا ‌مِنْ فُلَانِ بْنِ فُلَانٍ وَأَحْزَابِهِ مِنْ خَلَائِقِكَ؛ أَنْ يَفْرُطَ عَلَيَّ أَحَدٌ مِنْهُمْ، أَوْ يَطْغَى، عَزَّ جَارُكَ، وَجَلَّ ثَنَاؤُكَ، وَلَا إِلَهَ إلا أنت””.

উচ্চারণ :
আল্লা-হুম্মা রাব্বাস সামা-ওয়া-তিস সাব‘ই ওয়া রাব্বাল ‘আরশিল ‘আযীম, কুন লী জা-রান মিন ফুলা-ন ইবনু ফুলা- ন (সংশিলষ্ট ব্যক্তির নাম) ওয়া আ‘হযা-বিহী মিন খালা-ইক্বিকা আইঁ ইয়াফরুত্বা ‘আলাইয়্যা আ‘হাদুম মিনহুম আও ইয়াত্বগা-, ‘আযযা জা- রুকা ওয়া জাল্লা সানা-উকা, ওয়া লা- ইলা-হা ইল্লা- আনতা

অর্থ :
হে আল্লাহ, সাত আসমানের প্রভু ও মহান আরশের প্রভু, আপনি আমাকে আশ্রয় প্রদান করেন অমুকের পুত্র অমুক (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম) থেকে এবং আপনার সৃষ্টির মধ্য থেকে যারা তার দলবলে রয়েছে তাদের থেকে, তাদের কেউ যেন আমার বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করতে না পারে বা আমার উপর অত্যাচার বা বিদ্রোহ করতে না পারে। আপনি যাকে আশ্রয় দেন সেই সম্মানিত। আপনার প্রশংসা মহিমান্বিত। আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।

ফজিলত :
হে আল্লাহ, সাত আসমানের প্রভু ও মহান আরশের প্রভু, আপনি আমাকে আশ্রয় প্রদান করেন অমুকের পুত্র অমুক (সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নাম) থেকে এবং আপনার সৃষ্টির মধ্য থেকে যারা তার দলবলে রয়েছে তাদের থেকে, তাদের কেউ যেন আমার বিষয়ে সীমালঙ্ঘন করতে না পারে বা আমার উপর অত্যাচার বা বিদ্রোহ করতে না পারে। আপনি যাকে আশ্রয় দেন সেই সম্মানিত। আপনার প্রশংসা মহিমান্বিত। আপনি ছাড়া কোনো মা’বুদ নেই।

১০-শিশুদের হেফাজতের দোয়া;

أَعُوْذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ

উচ্চারণ :
আ‘ঊযু বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুল্লি শাইতানিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়ামিন কুল্লি আইনিল্লা-ম্মাহ্‌।

অর্থ :
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

ফজিলত :
আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি আল্লাহর পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণী থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে।

১১-দুঃখ ও দুশ্চিন্তার সময় পড়বে;

اللَّهُمَّ إِنِّي عَبْدُكَ، ابْنُ عَبْدِكَ، ابْنُ أَمَتِكَ، نَاصِيَتِي بِيَدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤُكَ، أَسْأَلُكَ بِكُــــلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ، سَمَّيْتَ بِهِ نَفْسَكَ، أَوْ أَنْزَلْتَهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِكَ، أَوِ اسْتَأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْبِ عِنْدَكَ، أَنْ تَجْعَلَ القُرْآنَ رَبِيعَ قَلْبِي، وَنُورَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّي

উচ্চারণ :
আল্লা-হুম্মা ইন্নী ‘আবদুকা ইবনু ‘আবদিকা ইবনু আমাতিকা, না-সিয়াতী বিয়াদিকা, মা-দ্বিন ফিয়্যা হুকমুকা, ‘আদলুন ফিয়্যা কাদ্বা-য়ুকা, আসআলুকা বিকুল্লি ইসমিন্ হুয়া লাকা সাম্মাইতা বিহি নাফসাকা, আও আনযালতাহু ফী কিতা-বিকা আও ‘আল্লামতাহু আহাদাম্-মিন খালক্বিকা আও ইস্তা’সারতা বিহী ফী ‘ইলমিল গাইবি ‘ইনদাকা, আন্ তাজ‘আলাল কুরআ-না রবী‘আ ক্বালবী, ওয়া নূরা সাদ্‌রী, ওয়া জালা’আ হুযনী ওয়া যাহা-বা হাম্মী

অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনার আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আমি আপনার বান্দা, আপনারই এক বান্দার পুত্র এবং আপনার এক বাঁদীর পুত্র। আমার কপাল (নিয়ন্ত্রণ) আপনার হাতে; আমার উপর আপনার নির্দেশ কার্যকর; আমার ব্যাপারে আপনার ফয়সালা ন্যায়পূর্ণ। আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আপনার প্রতিটি নামের উসীলায়; যে নাম আপনি নিজের জন্য নিজে রেখেছেন অথবা আপনার আপনি আপনার কিতাবে নাযিল করেছেন অথবা আপনার সৃষ্টজীবের কাউকেও শিখিয়েছেন অথবা নিজ গায়েবী জ্ঞানে নিজের জন্য সংরক্ষণ করে রেখেছেন—আপনি কুরআনকে বানিয়ে দিন আমার হৃদয়ের প্রশান্তি, আমার বক্ষের জ্যোতি, আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুশ্চিন্তা দূরকারী।

১২-দুশ্চিন্তা বা বিপদগ্রস্তের দোয়া;

لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ الْعَظِيمُ الْحَلِيمُ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ لَا إِلَهَ إِلَّا اللَّهُ رَبُّ السَّمَاوَاتِ وَرَبُّ الأَرْضِ وَرَبُّ الْعَرْشِ الْكَرِيمِ

উচ্চারণ :
লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হুল আযীমুল হালীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু রাব্বুল আরশিল আযীম, লা- ইলা-হা ইল্লাল্লা- হু রাব্বুস সামাওয়া-তি ওয়া রাব্বুল আরদি ওয়া রাব্বুল আরশিল কারীম

অর্থ :
নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান, মহাধৈর্যময় মহা বিচক্ষণ, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান আরশের প্রভু, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের প্রভু

ফজিলত :
নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান, মহাধৈর্যময় মহা বিচক্ষণ, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি মহান আরশের প্রভু, নেই কোনো মা’বুদ আল্লাহ ছাড়া, যিনি আসমানসমূহের, জমিনের ও সম্মানিত আরশের প্রভু।

১৩-যখন নিজেকে খুব দুর্বল, অসহায় বা অস্থির মনে হয়;

اللَّهُمَّ رَحْمَتَكَ أَرْجُو، فَلاَ تَكِلْنِي إِلَى نَفْسِي طَرْفَةَ عَيْنٍ، وَأَصْلِحْ لِي شَأْنِي كُلَّهُ، لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ

উচ্চারণ :
আল্লা-হুম্মা রহ্‌মাতাকা আরজু ফালা তাকিলনী ইলা নাফসী ত্বারফাতা ‘আইন, ওয়া আসলিহ্ লী শা’নি কুল্লাহু, লা ইলা-হা ইল্লা আনতা

অর্থ :
হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতেরই আশা করি। তাই আপনি এক নিমেষের জন্যও আমাকে আমার নিজের কাছে সোপর্দ করবেন না। আপনি আমার সার্বিক বিষয়াদি সংশোধন করে দিন। আপনি ছাড়া কোনো হক্ব ইলাহ নেই।

১৪-বিপদে পড়লে, হতাশ হলে, গোনাহ থেকে মুক্তি চাইলে এই দোয়া পাঠ করুন;

لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنْتُ مِنَ الظّالِمِينَ

উচ্চারণ :
লা ইলাহা ইল্লা আনতা সুবহানাকা ইন্নী কুনতু মিনায-যা-লিমীন

অর্থ :
আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।

ফজিলত :
আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, আপনি পবিত্র-মহান, নিশ্চয় আমি যালেমদের অন্তর্ভুক্ত।

১৫-সংকটে সাহস, আল্লাহর শক্তি ও সাহায্য কামনার দোয়া;

اللَّهُمَّ أَنْتَ عَضُدِي، وَأَنْتَ نَصِيرِي، بِكَ أَحُولُ وَبِكَ أَصُولُ، وَبِكَ أُقاتِلُ

উচ্চারণ :
আল্লহুম্মা আনতা ‘আদ্বুদী, ওয়া আনতা নাসীরী, বিকা আহূলু, ওয়া বিকা আসূলু, ওয়া বিকা উক্বা-তিলু

অর্থ :
হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি এবং আপনি আমার সাহায্যকারী; আপনারই সাহায্যে আমি বিচরণ করি, আপনারই সাহায্যে আমি আক্রমন করি এবং আপনারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আপনি আমার শক্তি এবং আপনি আমার সাহায্যকারী; আপনারই সাহায্যে আমি বিচরণ করি, আপনারই সাহায্যে আমি আক্রমন করি এবং আপনারই সাহায্যে আমি যুদ্ধ করি।

১৬-হারানো জিনিস উদ্ধারের জন্য দোয়া;

«يَا هَادِيَ الضَّالِّ، وَرَادَّ الضَّالَّةِ ارْدُدْ عَلَيَّ ضَالَّتِي بِعِزَّتِكَ وَسُلْطَانِكَ فَإِنَّهَا مِنْ عَطَائِكَ وَفَضْلِكَ»

উচ্চারণ :
ইয়া হাদিয়াদ দ্বালাল, ওয়া রা-দ্দাদ দ্বাল্লাহ; উরদুদ আলাইয়া দ্বাল্লাতি, বিইজ্জাতিক ওয়া সুলতানিকা; ফাইন্নাহা মিন আত্বায়িকা ও ফাদ্বলিক।

অর্থ :
আল্লাহর নামে শুরু। হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হারানো বস্তু প্রত্যাবর্তনকারী; আপনার সম্মান ও ক্ষমতার উসিলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে আমার হারানো জিনিসটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান এবং অনুগ্রহ।’

ফজিলত :
আল্লাহর নামে শুরু। হে হারানো জিনিসের সন্ধানদাতা, হারানো বস্তু প্রত্যাবর্তনকারী; আপনার সম্মান ও ক্ষমতার উসিলা দিয়ে প্রার্থনা করছি, আপনি আমাকে আমার হারানো জিনিসটি ফিরিয়ে দিন। এটি আপনার দান এবং অনুগ্রহ।’

১৭-কুনুত-ই-নাযেলা-১

اللَّهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ وَنُؤْمِنُ بِكَ وَنَتَوَكَّلُ عَلَيْكَ وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ وَنَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللَّهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكَافِرِينَ مُلْحَقٌ اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنَ التَّوَّابِينَ وَاجْعَلْنَا مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ اللَّهُمَّ اجْعَلْنَا مِنَ الْمُخْلَصِينَ لِعِبَادَتِكَ وَاجْعَلْنَا مِنْ عِبَادِكَ الصَّالِحِينَ اللَّهُمَّ انْصُرْنَا عَلَى الْقَوْمِ الْكَافِرِينَ وَالْفَاجِرِينَ وَالْمُنَافِقِينَ وَالْمُعْتَدِينَ وَاحْفَظْنَا مِنْ بَيَانِ السُّوءِ وَالْأَعْمَالِ السَّيِّئَةِ وَمِنْ كُلِّ شَرٍّ وَمِنْ كُلِّ بَلِيَّةٍ

উচ্চারণ :
হে আল্লাহ!আমরা তোমার সাহায্য চাই এবং তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করি। আমরা তোমার প্রতি ঈমান এনেছি এবং তোমার উপর ভরসা করি। আমরা তোমার নিকট প্রশংসা ও কৃতজ্ঞতা জানাই এবং তোমাকে অস্বীকার করি না। আমরা তোমাকে উপাসনা করি, তোমার জন্য নামাজ আদায় করি ও সিজদা করি। তোমার রহমত আশা করি ও তোমার কঠোর শাস্তি ভয় করি। হে আল্লাহ! আমাদের তাওবা কবুল করো এবং আমাদেরকে পবিত্র করো। আমাদেরকে তোমার সৎ উপাসকদের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করো। আমাদেরকে কাফির, দুষ্ট, মুনাফিক ও আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে সাহায্য করো। আমাদেরকে মন্দ কাজ ও দুর্ব্যবহার থেকে রক্ষা করো এবং সব ধরনের বিপদ থেকে হেফাজত দাও।

অর্থ :
“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”। হে আল্লাহ, ক্ষমা করুন আমাদেরকে, এবং মুমিন পুরুষদেরকে এবং মুমিন নারীদেরকে, এবং মুসলিম পুরুষদেরকে এবং মুসলিম নারীদেরকে, তাদের অন্তরের মধ্যে সম্প।

ফজিলত :
“হে আল্লাহ! আপনি যাদেরকে সুখদায়ক সৎ পথ প্রকৃত ইসলামের অনুগামী করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সুখশান্তিপূর্ণ মঙ্গলময় জীবন প্রদান করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি যাদেরকে সর্ব প্রকার কল্যাণ প্রদানের সহিত সাহায্য করেছেন, আমাকেও তাদের অন্তর্ভুক্ত করুন। আপনি আমাকে যে সমস্ত মঙ্গলদায়ক জিনিস প্রদান করেছেন, সেগুলিকে আমার জন্য অধিকতর মঙ্গলদায়ক করুন। আপনি যে ফয়সালা করেছেন, তার অমঙ্গল হতে আমাকে রক্ষা করুন। কেননা সব জগতের সঠিক পরিচালনার জন্য যে ফয়সালা আপনি করেছেন, সেটাই সঠিক ফয়সালা। তাই আপনার ফয়সালার উপরে আর কোনো প্রকারের সঠিক ফয়সালা নেই। আপনি যাকে ভালো বাসবেন, সে কোনো দিন অপমানিত হতে পারে না। আর আপনি যার জন্য অমঙ্গল নির্ধারণ করবেন, সে কোনো দিন শক্তিশালী হতে পারবে না। হে আমাদের প্রতিপালক! আপনি মহাকল্যাণময় এবং মহামহিমান্বিত”। হে আল্লাহ, ক্ষমা করুন আমাদেরকে, এবং মুমিন পুরুষদেরকে এবং মুমিন নারীদেরকে, এবং মুসলিম পুরুষদেরকে এবং মুসলিম নারীদেরকে, তাদের অন্তরের মধ্যে সম্প।

১৮-দৃষ্টি,শ্রবণের সুস্থতা,দারিদ্র্যমুক্তি ও নিরাপত্তার দু’আ;

اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَدَنِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ سَمْعِيْ، اللّٰهُمَّ عَافِنِيْ فِيْ بَصَرِيْ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْكُفْرِ، وَالْفَقْرِ، اللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَعُوْذُ بِكَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ، لَا إِلٰهَ إِلَّا أَنْتَ .

উচ্চারণ :
আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাদানি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি সাময়ি, আল্লাহুম্মা আফিনি ফি বাসারি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল কুফরি, ওয়াল ফাকরি, আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিন আজাবিল কাবরি, লা ইলাহা ইল্লা আন্তা।

অর্থ :
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

ফজিলত :
হে আল্লাহ! আপনি আমাকে শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। হে আল্লাহ! আমার শ্রবণে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আমার দৃষ্টিতে সুস্থতা ও নিরাপত্তা দান করুন। আপনি ব্যতিত কোনো ইলাহ নেই। হে আল্লাহ! আমি আপনার আশ্রয় গ্রহণ করছি কুফুরী ও দারিদ্র্য থেকে। হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে পানাহ চাই কবরের আজাব থেকে। আপনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই।

১৯-রোগমুক্তির জন্য আয়াতে শেফা
উচ্চারণ :

অর্থ :
রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াতঃ পবিত্র কুরআনে কারীমের ৬ টি আয়াত “”আয়াতে শেফা বা রোগ মুক্তির আয়াত”” নামে পরিচিত। এগুলো পড়ার পূর্বে সুরা ফাতিহা পড়ে নেয়া উত্তম। আয়াতগুলো হচ্ছে: ১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, – وَيفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন। ২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ উচ্চারণ : ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। ৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াতيَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফ

ফজিলত :
রোগ মুক্তির ৬ টি আয়াতঃ পবিত্র কুরআনে কারীমের ৬ টি আয়াত “”আয়াতে শেফা বা রোগ মুক্তির আয়াত”” নামে পরিচিত। এগুলো পড়ার পূর্বে সুরা ফাতিহা পড়ে নেয়া উত্তম। আয়াতগুলো হচ্ছে: ১. সুরা তাওবার ১৪ নং আয়াত, – وَيفِ صُدُورَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ উচ্চারণ- ওয়া ইয়াশফি ছুদু-রা ক্বাওমিম মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং আল্লাহ মু’মিনদের (মুসলমানদের) অন্তরসমূহ শান্ত করে দেন। ২. সুরা ইউনূসের ৫৭ নং আয়াত, وَشِفَاءٌ لِمَا فِي الصُّدُورِ وَهُدًى وَرَحْمَةٌ لِلْمُؤْمِنِينَ উচ্চারণ : ওয়া শিফাউ’ল লিমা- ফিচ্ছুদু-রি ওয়া হুদাও ওয়া রাহমাতুল লিল মু’মিনি-ন। অর্থ : এবং অন্তরের রোগের নিরাময়, হেদায়েত ও রহমত মুসলমানদের জন্য। ৩. ছুরা নাহলের ৬৯ নং আয়াতيَخْرُجُ مِنْ بُطُونِهَا شَرَابٌ مُخْتَلِفٌ أَلْوَانُهُ فِيهِ شِفَاءٌ لِلنَّاسِ উচ্চারণ : ইয়াখরুঝু মিমবুতু-নিহা- শারা-বুম মুখতালিফুন, আলওয়ানুহু- ফি-হি শিফ।

২০-পিতা-মাতার জন্য দু’আ:

رَبِّ ارْحَـمْـهُـمَـا كَـمَـا رَبَّيَانِي صَـغِـيْـرًا
উচ্চারণ :
রব্বির হাম্‌ হুমা কামা রব্বা ইয়ানি সগিরা

অর্থ :
হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

ফজিলত :
হে আমাদের প্রতিপালক! তাদের উভয়ের (পিতা-মাতার) প্রতি দয়া কর যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।

২১-) কঠিন কাজ সহজ হওয়ার দোয়া:

اللَّهُمَّ لَا سَهْلَ إلاَّ مَا جَعَلْتَهُ سَهْلاً، وأنْتَ تَجْعَلُ الحَزْنَ إذَا شِئْتَ ‘আল্লাহুম্মা লা-সাহলা ইল্লা মা জায়ালতাহু সাহলান, ওয়া আনতা তাজআলুল হুজনা সাহলান ইজা শিইতা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আপনি যা সহজ করে দেন তা ছাড়া কোনো কিছুই সহজ নেই। আর আপনি চাইলে পেরেশানিযুক্ত কাজও সহজ করে দেন।’ (সহিহ ইবনে হিব্বান: ৯৭৪)

২২- তাকওয়া, সচ্চরিত্র ও সচ্ছলতার;

দোয়া: اَللَّهُمَّ اِنِّى أَسْألُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকাল হুদা; ওয়াত তুক্বা; ওয়াল আফাফা; ওয়াল গেনা।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে হেদায়াত কামনা করি এবং আপনার ভয় তথা তাকওয়া কামনা করি এবং আপনার কাছে সতীত্ব তথা নৈতিক পবিত্রতা কামনা করি এবং সম্পদ তথা সামর্থ্য বা সচ্ছলতা কামনা করি।’ (মুসলিম: ২৭২১; তিরমিজি: ৩৪৮৯; ইবনে মাজাহ: ৩৮৩২; মুসনাদে আহমদ: ৩৬৮৪)

২৩-ঋণমুক্তির দোয়া:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ، وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ، وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ، وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আ‘উযু বিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-‘আজযি ওয়াল-কাসালি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিনাল-বুখলি ওয়াল-জুবনি, ওয়া আ‘ঊযু বিকা মিন দ্বালা‘য়িদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজা-ল। অর্থ: ‘হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমি আপনার আশ্রয় নিচ্ছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ থেকে, অপারগতা ও অলসতা থেকে, কৃপণতা ও ভীরুতা থেকে, ঋণের ভার ও মানুষদের দমন-পীড়ন থেকে।’ (বুখারি: ২৮৯৩) অথবা اللَّهُمَّ اكْفِنِي بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ، وَأَغْنِنِي بِفَضْلِكِ عَمَّنْ سِوَاكَ ‘আল্লাহুম্মাকফিনি বি হালালিকা আন হারামিকা, ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! হারামের পরিবর্তে তোমার হালাল রুজি আমার জন্য যথেষ্ট করো। আর তোমাকে ছাড়া আমাকে কারো মুখাপেক্ষী করো না এবং স্বীয় অনুগ্রহ দিয়ে আমাকে সচ্ছলতা দান করো।’ (তিরমিজি: ৩৫৬৩)

২৪-মা-বাবার জন্য দোয়া:

رَبَّنَا ٱغۡفِرۡ لِي وَلِوَٰلِدَيَّ وَلِلۡمُؤۡمِنِينَ يَوۡمَ يَقُومُ ٱلۡحِسَابُ ‘রাব্বানাগ ফিরলি ওয়ালি ওয়ালিদাইয়া, ওয়ালিল মু’মিনিনা ইয়াওমা ইয়াক্বুমুল হিসাব।’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! রোজ কেয়ামতে আমাকে, আমার পিতা-মাতা ও সকল মুমিনকে ক্ষমা করুন।’ (সুরা ইবরাহিম: ৪১) অথবা رَبِّ ٱرۡحَمۡهُمَا كَمَا رَبَّيَانِي صَغِيرٗا ‘রাব্বির হামহুমা, কামা রাব্বায়ানি সাগিরা।’ অর্থ: ‘হে আমার প্রতিপালক, তাদের উভয়ের প্রতি রহম করো; যেমন তারা আমাকে শৈশবকালে লালন-পালন করেছেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)

২৫- উত্তম জীবনসঙ্গী লাভের দোয়া:

رَبَّنَا هَبۡ لَنَا مِنۡ اَزۡوَاجِنَا وَ ذُرِّیّٰتِنَا قُرَّۃَ اَعۡیُنٍ وَّ اجۡعَلۡنَا لِلۡمُتَّقِیۡنَ اِمَامًا ‘রাব্বানা-হাবলানা-মিন আজওয়া-জিনা- ওয়া যুররিইয়া-তিনা, কুররাতা আ‘ইউনি ওয়াজ‘আলনা-লিলমুত্তাকিনা ইমা-মা-।’ অর্থ: ‘হে আমাদের রব! আমাদেরকে জন্যে এমন স্ত্রী ও সন্তান-সন্ততি দান করুন যারা হবে আমাদের চোখজুড়ানো। আর আপনি আমাদেরকে মুত্তাকীদের জন্য অনুসরণযোগ্য করুন।’ (সুরা ফুরকান: ৭৪) অথবা رَبِّ إِنِّي لِمَا أَنزَلْتَ إِلَيَّ مِنْ خَيْرٍ فَقِيرٌ ‘রাব্বি ইন্নি লিমা- আনজালতা ইলাইয়া মিন খাইরিন ফাকির।’ অর্থ: ‘হে আমার পালনকর্তা, তুমি আমার প্রতি যে অনুগ্রহ পাঠাবে, আমি তার মুখাপেক্ষী।’ (সুরা কাসাস: ২৪)

২৬-সুসন্তান লাভের দোয়া:

رَبِّ هَبْ لِي مِن لَّدُنْكَ ذُرِّيَّةً طَيِّبَةً إِنَّكَ سَمِيعُ الدُّعَاء ‘রাব্বি হাবলি মিল্লাদুনকা যুরিরয়্যাতান ত্বাইয়্যিবাহ, ইন্নাকা সামিউদ দুআ’ অর্থ: ‘হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার পক্ষ থেকে আমাকে পূতপবিত্র সন্তান দান করো। নিশ্চয়ই তুমি প্রার্থনা কবুলকারী।’ (সুরা আলে ইমরান: ৩৮)

২৭-মসিবত থেকে রক্ষার দোয়া (দোয়া ইউনুস):

لَا إِلَـٰهَ إِلَّا أَنتَ سُبْحَانَكَ إِنِّي كُنتُ مِنَ الظَّالِمِينَ ‘লা ইলাহা ইল্লা আংতা, সুবহানাকা ইন্নি কুংতু মিনাজ জ্বলিমিন।’ অর্থ: ‘তুমি ছাড়া সত্য কোনো উপাস্য নেই; তুমি পুতঃপবিত্র, নিশ্চয় আমি জালিমদের দলভুক্ত।’ (সুরা আম্বিয়া: ৮৮)

২৮- পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তার দোয়া:

اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي دِينِي وَأَهْلِي ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকাল আফিয়াতা ফী দীনী ওয়া আহলী’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে প্রার্থনা করি আমার দীন ও আমার পরিবার-পরিজনের নিরাপত্তা।’ (আদাবুল মুফরাদ: ৭০৩)

২৯-জ্ঞানবৃদ্ধির দোয়া:

اللَّهُمَّ انْفَعْنِي بِمَا عَلَّمْتَنِي، وَعَلِّمْنِي مَا يَنْفَعُنِي، وَزِدْنِي عِلْمًا وأعُوْذُ بِاللَّهِ مِنْ حَالِ أهْلِ النَّار ‘আল্লাহুম্মানফা-নি বিমা আল্লামতানি, ওয়া আল্লিমনি মা ইয়ানফাউনি ওয়া জিদনি ইলমা, ওয়া আউজুবিল্লাহি মিন হালি আহলিন না-র।’ অর্থ: ‘হে আল্লাহ! আমাকে আপনি যা শিখিয়েছেন, তা দিয়ে আমাকে উপকৃত করুন, আমার জন্য যা উপকারী হবে, তা আমাকে শিখিয়ে দিন এবং আমার ইলম (জ্ঞান) বাড়িয়ে দিন আর আমি জাহান্নামিদের অবস্থা থেকে হেফাজতের জন্য আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করি।’ (তিরমিজি: ৩৫৯৯; ইবনে মাজাহ: ২৫১)

৩০-জানা-অজানা শিরক থেকে বাঁচার দোয়া:

ااَللَّهُمَّ اِنِّىْ اَعُوْذُبِكَ اَنْ أشْرِكَ بِكَ وَاَنَا أَعْلَمُ وَاَسْتَغْفِرُكَ لِمَا لَا أَعْلَمُ ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা আন-আশরিকা বিকা, ওয়া আনা আ’লামু; ওয়া আসতাগফিরুকা লিমা লা আ’লামু’। অর্থ: ‘হে আল্লাহ, আমি সজ্ঞানে তোমার সঙ্গে শিরক করা থেকে তোমার আশ্রয় চাই এবং যা আমার অজ্ঞাত, তা থেকেও তোমার কাছে ক্ষমা চাই।’ (আল-আদাবুল মুফরাদ: ৫৫১)

আল্লাহ তাআলা আমাদের সবাইকে উল্লেখিত দোয়াগুলো মুখস্থ করার এবং নিয়মিত আমল করার তাওফিক দান করুন-আমীন।

নোট: যে কোনো আরবির বাংলা উচ্চারণ লেখায় মূল উচ্চারণ অনেকাংশেই ব্যহত হয়। এক্ষেত্রে আমাদের পরামর্শ হলো, বর্ণিত এসব দোয়া আপনার নিকটস্থ মসজিদের ইমাম-খতিব বা ভালো কোনো আলেমের কাছ থেকে শিখে নিবেন।