9:59 pm, Tuesday, 4 November 2025

আলোচিত সেই বিড়ালটি নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান

দিগন্ত প্রতিদিন

screenshot 20251007 112051

 

ডেস্ক রিপোর্ট:
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষা বিড়ালের ছবি ও প্রাণী অধিকার রক্ষায় সরব ভূমিকায় আলোচিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রাণী অধিকার রক্ষা ও প্রকৃতি সংরক্ষণের পক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে তার সরব অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই পশুপাখির সঙ্গে তার ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই ভালবাসা থেকেই বর্তমানে প্রাণী ও পরিবেশ বিষয়ে সক্রিয়তা এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রথমত, এখানে একটু ক্লিয়ার করে নেই, বিড়ালটি আমার মেয়ের বিড়াল। ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।’

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি হচ্ছে, ‘এরকম শুধু বিড়াল নয়, আমি এবং আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। ইভেন, তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস মুরগি পালতেন, ছাগলও ছিল আমাদের বাসায়। উনি ছাগলও কয়েকটি পালতেন। তো স্বাভাবিকভাবেই আপনি যেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বলেন, পোষা কুকুর বিড়ালই বলেন, বাই দাদা ওয়ে কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। শুধু কবুতর না আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় একটি খাঁচা ছিল। সেই খাঁচার মধ্যে কিন্তু পাখি ছিল, বিভিন্ন রকমের এবং আবার আরেকটি খাঁচা ছিল যেটার মধ্যে একটা ময়না ছিল।’

‘ময়নাটা আমরা বরিশাল থেকে এনেছিলাম। ও আবার বরিশালি ভাষায় কথাও বলতো। টুকটুক করে মাঝে মাঝে কিছু কিছু কথাও বলতো। তো কাজেই এই বিষয়টি হঠাৎ করেই না। এই পশুপাখির প্রতি যেই বিষয়টি, এটির সাথে আমি কমবেশি ছোটবেলা থেকে জড়িত আছি। হয়তো এটি এখন প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্নভাবে। বাট এটির সাথে আমি বা আমার পরিবার, আমরা অনেক আগে থেকেই আছি।’

পশু-পাখির প্রতি এই মমতার পেছনে ধর্মীয় ও পরিবেশগত দিক থেকেও গুরুত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কুকুর- বিড়াল ছিল, গরু- ছাগল ছিল, হাঁস মুরগি ছিল, পাখি ছিল, ময়না ছিল, কবুতর ছিল। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা চিন্তা করি, আমাদেরকে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। আমাদের দায়িত্ব কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টি যা কিছু আছে প্রকৃতির, তার প্রতি কিন্তু যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটি একটি বিষয়।’

‘আর আমরা যদি মানবিক দৃষ্টিকোণ অথবা আমরা যদি নেচার থেকেও বিষয়টি দেখি, দেখুন ওরা না থাকলে কিন্তু আমাদের জন্য বেঁচে থাকা কষ্টকর। প্রকৃতি যদি না থাকে, প্রকৃতির ব্যালেন্স যদি না থাকে।’

তিনি বলেন, এই আলোচনা শুরু হওয়ার আগে কিন্তু আপনি আমরা তিনজন কিন্তু ওয়েদার নিয়ে কথা বলছিলাম, এই ইংল্যান্ডের বা ইউকের ওয়েদার নিয়ে আমরা আলাপ করছিলাম এবং আমি বলছিলাম যে, আমার এই ১৭ বছর অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ওয়েদার মনে হয় একটু একটু এখানেও চেঞ্জ হয়েছে। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে পত্রপত্রিকায় দেখেছি পলিউশন ঢাকা শহরে। নরমালি আমরা জানি যে, একটি দেশের টোটাল অংশের মধ্যে এটলিস্ট ২৫ শতাংশ গ্রীন দরকার, বনায়ন দরকার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আমি যতটুকু জেনেছি, এটি ১২ পার্সেন্টের এর মত। হুইচ ইস ভেরি ডেঞ্জারাস।

পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকায় এগিয়ে আসার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, তো এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি কিভাবে আমরা বাড়াবো। তো যেমন এগুলো আছে, ঠিক একই সাথে এই যে আপনি পশুপাখির কথা বললেন, এই বিষয়গুলো আছে নেচার। নেচারকে যদি আমরা মিনিমাম ঠিক রাখতে না পারি, সেখানে মানুষ হিসেবে কিন্তু আমাদের বসবাস করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। কাজেই আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এই বিষয়গুলো বোধহয় করা প্রয়োজন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 05:32:25 am, Tuesday, 7 October 2025
55 Time View

আলোচিত সেই বিড়ালটি নিয়ে যা বললেন তারেক রহমান

Update Time : 05:32:25 am, Tuesday, 7 October 2025

 

ডেস্ক রিপোর্ট:
সাম্প্রতিক সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোষা বিড়ালের ছবি ও প্রাণী অধিকার রক্ষায় সরব ভূমিকায় আলোচিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। প্রাণী অধিকার রক্ষা ও প্রকৃতি সংরক্ষণের পক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে তার সরব অবস্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ছোটবেলা থেকেই পশুপাখির সঙ্গে তার ও তার পরিবারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই ভালবাসা থেকেই বর্তমানে প্রাণী ও পরিবেশ বিষয়ে সক্রিয়তা এসেছে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (৬ অক্টোবর) বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

তারেক রহমান বলেন, প্রথমত, এখানে একটু ক্লিয়ার করে নেই, বিড়ালটি আমার মেয়ের বিড়াল। ও এখন অবশ্য সবারই হয়ে গিয়েছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।’

তিনি আরও বলেন, বিষয়টি হচ্ছে, ‘এরকম শুধু বিড়াল নয়, আমি এবং আমার ভাই যখন ছোট ছিলাম আমাদের একটি ছোট কুকুরও ছিল। ইভেন, তখন আমাদের বাসায় আম্মা হাঁস মুরগি পালতেন, ছাগলও ছিল আমাদের বাসায়। উনি ছাগলও কয়েকটি পালতেন। তো স্বাভাবিকভাবেই আপনি যেই দৃষ্টিকোণ থেকেই বলেন, পোষা কুকুর বিড়ালই বলেন, বাই দাদা ওয়ে কবুতরও ছিল আমাদের বাসায়। শুধু কবুতর না আমাদের বাসায় একটি বিরাট বড় একটি খাঁচা ছিল। সেই খাঁচার মধ্যে কিন্তু পাখি ছিল, বিভিন্ন রকমের এবং আবার আরেকটি খাঁচা ছিল যেটার মধ্যে একটা ময়না ছিল।’

‘ময়নাটা আমরা বরিশাল থেকে এনেছিলাম। ও আবার বরিশালি ভাষায় কথাও বলতো। টুকটুক করে মাঝে মাঝে কিছু কিছু কথাও বলতো। তো কাজেই এই বিষয়টি হঠাৎ করেই না। এই পশুপাখির প্রতি যেই বিষয়টি, এটির সাথে আমি কমবেশি ছোটবেলা থেকে জড়িত আছি। হয়তো এটি এখন প্রকাশ পেয়েছে বিভিন্নভাবে। বাট এটির সাথে আমি বা আমার পরিবার, আমরা অনেক আগে থেকেই আছি।’

পশু-পাখির প্রতি এই মমতার পেছনে ধর্মীয় ও পরিবেশগত দিক থেকেও গুরুত্ব রয়েছে বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কুকুর- বিড়াল ছিল, গরু- ছাগল ছিল, হাঁস মুরগি ছিল, পাখি ছিল, ময়না ছিল, কবুতর ছিল। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে যদি আমরা চিন্তা করি, আমাদেরকে আল্লাহ সৃষ্টির সেরা জীব হিসেবে তৈরি করেছেন। আমাদের দায়িত্ব কিন্তু আল্লাহর সৃষ্টি যা কিছু আছে প্রকৃতির, তার প্রতি কিন্তু যত্ন নেওয়া আমাদের দায়িত্ব। এটি একটি বিষয়।’

‘আর আমরা যদি মানবিক দৃষ্টিকোণ অথবা আমরা যদি নেচার থেকেও বিষয়টি দেখি, দেখুন ওরা না থাকলে কিন্তু আমাদের জন্য বেঁচে থাকা কষ্টকর। প্রকৃতি যদি না থাকে, প্রকৃতির ব্যালেন্স যদি না থাকে।’

তিনি বলেন, এই আলোচনা শুরু হওয়ার আগে কিন্তু আপনি আমরা তিনজন কিন্তু ওয়েদার নিয়ে কথা বলছিলাম, এই ইংল্যান্ডের বা ইউকের ওয়েদার নিয়ে আমরা আলাপ করছিলাম এবং আমি বলছিলাম যে, আমার এই ১৭ বছর অভিজ্ঞতায় দেখেছি, ওয়েদার মনে হয় একটু একটু এখানেও চেঞ্জ হয়েছে। আমরা দেখেছি, বাংলাদেশে পত্রপত্রিকায় দেখেছি পলিউশন ঢাকা শহরে। নরমালি আমরা জানি যে, একটি দেশের টোটাল অংশের মধ্যে এটলিস্ট ২৫ শতাংশ গ্রীন দরকার, বনায়ন দরকার। এই মুহূর্তে বাংলাদেশে আমি যতটুকু জেনেছি, এটি ১২ পার্সেন্টের এর মত। হুইচ ইস ভেরি ডেঞ্জারাস।

পরিবেশ রক্ষায় সক্রিয় ভূমিকায় এগিয়ে আসার কথা জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, তো এগুলো নিয়ে আমরা কাজ করছি কিভাবে আমরা বাড়াবো। তো যেমন এগুলো আছে, ঠিক একই সাথে এই যে আপনি পশুপাখির কথা বললেন, এই বিষয়গুলো আছে নেচার। নেচারকে যদি আমরা মিনিমাম ঠিক রাখতে না পারি, সেখানে মানুষ হিসেবে কিন্তু আমাদের বসবাস করা খুব কঠিন হয়ে যাবে। কাজেই আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এই বিষয়গুলো বোধহয় করা প্রয়োজন।