১১ মামলার আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিন্টু কে ধরে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ

বগুড়া প্রতিনিধি:
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ও সাবেক পৌর কাউন্সিলর লুৎফর রহমান মিন্টুকে (৪৫) আটক করে পিটুনি ও ছুরিকাঘাতের পর পুলিশে দেওয়া হয়েছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে বগুড়া সদরের কর্ণপুর উত্তরপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে তাকে গ্রেফতার ও পুলিশি পাহারায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিক্যাল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, লুৎফর রহমান মিন্টু বগুড়া সদরের কর্ণপুর উত্তরপাড়ার মোহাম্মদ আলীর ছেলে। তিনি বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ১৯নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর। গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর মিন্টু আত্মগোপন করেন। শুক্রবার রাতে তিনি বাড়ি ফেরেন।
এমন খবর পেয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন শনিবার দুপুর থেকে তার নিজ বাড়িসহ আশপাশের আত্মীয়-স্বজনদের বাড়িঘরে তল্লাশি শুরু করেন। এক পর্যায়ে বিকালে কর্ণপুর উত্তরপাড়ায় বড় ভাই বুলবুলের নির্মাণাধীন বাড়িতে তাকে পাওয়া যায়। এরপর তাকে বেদম মারধর ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ছুরিকাঘাত করা হয়। খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মিন্টুকে তাদের কাছে সোপর্দ করা হয়। পুলিশ তাকে গ্রেফতারের পর বগুড়া শজিমেক হাসপাতালে ভর্তি করে। গত ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে একই এলাকার রোহান নামে এক কিশোরকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লুৎফর রহমান মিন্টু। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যাসহ ১১টি মামলা রয়েছে।
বগুড়া সদর থানার ওসি হাসান বাসির জানান, কর্ণপুর উত্তরপাড়ায় মিন্টুকে গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালায়। এ সময় স্থানীয়রা তার ওপর হামলা চালিয়ে মারধর ও ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সুস্থ হলে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।























