ইসলামের মৌলিক বিশ্বাস বিরোধীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার আহ্বান

স্টাফ রিপোর্টার:
কাদিয়ানিদের (আহমদিয়া জামাত ও মওদুদী ইসলাম) বিশ্বাস, কর্মকাণ্ড ও আকীদা ইসলামের মৌলিক বিশ্বাসবিরোধী উল্লেখ করে তাদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণা করার আহ্বান জানিয়েছেন সম্মিলিত খতমে নবুওয়াত পরিষদের নেতৃবৃন্দ।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর মুরাদপুর দারুল হিকমাহ মাদরাসা মিলনায়তনে খতমে নবুওয়াত সংরক্ষণ কমিটি ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আয়োজিত বৈঠকে এ দাবি জানানো হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মাওলানা রশিদ আহমাদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মুফতী মোহাম্মদ আলী, মুফতী নূর হুসাইন নূরানী, মুফতী শুয়াইব ইবরাহীম, মাওলানা উবায়দুল্লাহ কাসেমী, মুফতী কেফায়েতুল্লাহ আযহারী, মাওলানা আবুল কাসেম আশরাফী, মুফতী শফিক সাদী, মাওলানা হোসাইন আহমাদ ইসহাকী, মাওলানা ফয়জুল্লাহ, মুফতী আরিফুল ইসলাম ও মাওলানা আবু ইউসুফসহ অনেকে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, কাদিয়ানিরা ‘মির্জা গোলাম আহমদ’ নামক একজন মিথ্যাবাদীকে নবী হিসেবে মানে, যা সরাসরি রাসূলুল্লাহ ﷺ-এর খতমে নবুওয়তের বিরোধী। মওদূদীর ভ্রান্ত আকীদা নবীগণ নিষ্পাপ নন!
عصمت انبياء عليهم السلام كے لوازم ذات سے نہيى اورايك لطيف نكتہ يہ ہے کہ اللہ تعا لے نے بالاراده ہر نبى سے كسى نہ كسى وقت حفاظت اٹھا كر ايك دولغز شيى ہو جانےدى ہے
নিষ্পাপ হওয়া আম্বিয়া আলাইহিমুস সালামের জন্য আবশ্যকীয় নয়, এতে এমন একটি সূক্ষ্ণ রহস্য বিদ্যমান আছে যে, আল্লাহ তাআলা ইচ্ছাপূর্বক প্রত্যেক নবী থেকে কোন না কোন মূহুর্তে স্বীয় হেফাজত উঠিয়ে নিয়ে তাদের থেকে দু’একটি পদস্খলন পদচ্যুতি (গুনাহ) হতে দেন। নবী হওয়ার পূর্বে তো হযরত মূসা আলাইহিস সালাম কর্তৃকও একটি বিরাট গুনাহের কাজ সংঘটিত হয়ে গিয়েছিল। (রসায়েল ও মাসায়েল, পৃষ্ঠা ২৪, ১ম খন্ড। তাফহীমাত, আবুল আলা মওদূদী। ২য় খন্ড, ৬ষ্ঠ মুদ্রণ, পৃষ্ঠা: ৫৭, পাকিস্তান। )
পাকিস্তানসহ বহু মুসলিম দেশে তাদের অমুসলিম ঘোষণা করা হয়েছে। অথচ বাংলাদেশে তারা ইসলামের নাম ব্যবহার করে অপপ্রচার, বিভ্রান্তি ও ঈমান নষ্টের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।
বক্তারা আগামী ১৫ নভেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজন করা আন্তর্জাতিক খতমে নবুওয়াত সম্মেলন সফল করার আহ্বান জানান। এতে দেশের শীর্ষ আলেম-ওলামা, আন্তর্জাতিক ইসলামী চিন্তাবিদ, গবেষক ও বিভিন্ন দেশের ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন।
তারা বলেন, এই সম্মেলনের উদ্দেশ্য হলো খতমে নবুওয়াতের বিশ্বাস রক্ষা, কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা এবং ইসলামী আকীদা ও চিন্তাধারার শুদ্ধতা বজায় রাখা। এটি একটি ঈমানি দায়িত্ব—তাই প্রতিটি মুসলমানের উচিত এই মহাসমাবেশে অংশগ্রহণ করে রাষ্ট্রকে স্পষ্ট বার্তা পৌঁছে দেওয়া।
এছাড়া প্রশাসন, গণমাধ্যম, ধর্মপ্রাণ জনতা ও ইসলামী সংগঠনসমূহকে সম্মেলন সফল করার জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।