
স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর ডেমরায় এক ঘণ্টার ব্যবধানে গলায় ফাঁস দিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন এক গৃহবধূ ও এক স্কুলছাত্রী। শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে পৃথক এই দুটি মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ডেমরা থানার সারুলিয়া টেংরা মা মেমোরিয়াল স্কুলের পাশে একটি বহুতল ভবনের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে গলায় ফাঁস দেন গৃহবধূ আয়শা আক্তার নিপা (৩০)। তাকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহতের বাবা খোকন জানান, নিপার স্বামী কাজী রাশেদ সৌদিতে চাকরি করেন। সম্প্রতি এক মাসের ছুটিতে দেশে এসে গত ১৪ সেপ্টেম্বর ফের সৌদি আরব ফিরে যান। রাতে স্বাভাবিকভাবেই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটালেও হঠাৎ করেই তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নেন। তবে মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে পরিবার কিছু জানাতে পারেনি। নিহতের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার মুরাদনগর থানার পরমতলা গ্রামে। তিনি স্বামী ও দুই মেয়েকে নিয়ে ডেমরায় বসবাস করছিলেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ডেমরা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) দুলাল বাড়ৈ জানান, গৃহবধূকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুর সঠিক কারণ ময়নাতদন্তের পর জানা যাবে।
এর প্রায় এক ঘণ্টা পর, বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে আরেকটি আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে ডেমরার বামৈল এলাকার একটি বাড়িতে। মোছা. লামিয়া আক্তার (১৫) নামের নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী নিজ ঘরে গলায় ফাঁস দেন। তাকেও অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করে দ্রুত ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
লামিয়ার চাচা হাসিবুল ইসলাম জানান, বিকালের দিকে পরিবারের সবার অগোচরে নিজের রুমে গিয়ে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেন তিনি। নিহতের গ্রামের বাড়ি বরিশালের বানারীপাড়া থানার আউয়ালপুর এলাকায়। তিনি স্থানীয় বাসিন্দা মো. মনির হোসেনের মেয়ে এবং তিন বোন এক ভাইয়ের মধ্যে ছিলেন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. ফারুক দুইটি মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, মরদেহ দুটি হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানাকে অবহিত করা হয়েছে।
যোগাযোগ: সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রাসেল সরকার, অফিস: ৩৯/৩, মানিক নগর, পুকুর পাড়, মুগদা, ঢাকা - ১২০৩, ফোন: +৮৮০১৭২৬৯১৫৫২৪, +৮৮০১৯৭৬৯১৫৫২৪, ইমেইল: Sheikhmdraselbd@gmail.com, www.dailydigantapratidin.com
2025 © All rights reserved © দৈনিক দিগন্ত প্রতিদিন