স্টাফ রিপোর্টার:
বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ বলেছেন, বিগত দিনে ভিন্নমতের সাংবাদিকরা ছিলো বঞ্চিত, একটি দলের মতাবলম্বীরা ১৬ বছর সুবিধা নিয়েছেন।
কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যাবস্থাপনা পরিচালক এম আবদুল্লাহ আরো বলেন, বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর থেকে পটপরিবর্তনের আগে পর্যন্ত প্রায় ৬ হাজার ২’শ সাংবাদিককে কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে ৪৮ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ভিন্নমতের সাংবাদিকদের সংখ্যা অন্তত ২০জন। বেশি জোর হলে এর সংখ্যা ৫০ হবে। ভিন্ন মত বলতে যেটা বুঝাতে চাচ্ছি সেটা হলো জাতীয়তাবাদী ও ইসলামপন্থি যারা পরিবর্তনের পর এখন একটু ভালো সময়ে আছেন। নয়াদিগন্ত একটি প্রথম সারির পত্রিকা, সেখান থেকে আমরা খুঁজে পেয়েছি ৬ হাজারের মধ্যে মাত্র ১ জন। বিগত সময়ে সহায়তার ক্ষেত্রে এ দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা হয়েছে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের হলরুমে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের পক্ষ থেকে জেলার সাংবাদিকদের মাঝে অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। জেলায় কর্মরত ২৩ জন ও ফেনী জেলার ১জন সাংবাদিককে অনুদানের চেক প্রদান করা হয়।
তিনি বলেন, আমি দায়িত্ব নেওয়ার আগ পর্যন্ত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের একমাত্র কাজ ছিল এ চেক বিতরণ। আমি দায়িত্ব গ্রহণ করার পরে এখানে যে আরো কাজ করার সুযোগ আছে তা শুরু করলাম। সাংবাদিকদের মেধাবী সন্তানদের বৃত্তি দেওয়া শুরু হলো। আমরা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি, তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছি, আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছি। প্রবীণ পেশাদার সাংবাদিকদের মাসিক ভাতার আওতায় আনার কাজ প্রস্তাবনায় আছে, আশা করি তা দ্রুত বাস্তবায়ন করতে পারবো। আমি দায়িত্ব নেয়ার পর ৯২২ জন গুরুতর অসুস্থ, ক্যান্সারে আক্রান্ত, হৃদরোগে বাইপাসের প্রয়োজন হয়েছে, কিডনি ডায়ালাইসিস চলছে এ ধরনের সাংবাদিককে সর্বোচ্চ সহায়তা দিয়েছি। যাদের আর্থিক সীমাবদ্ধতা আছে তাদের জন্য রমজান মাসে প্রায় ১৫’শ সাংবাদিককে ইফতার ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেছি এবং সাংবাদিকদের কল্যাণে কাজ করে যাচ্ছি।
এম আবদুল্লাহ আরো বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার দায়িত্ব নেওয়ার আগে যে সব এলাকায় বিএনপির আধিপত্য ছিলো, জাতীয়তাবাদের আধিপত্য ছিলো সে সব জেলাগুলোয় সকল সুযোগ সুবিধায় উন্নয়নের মঞ্চ নাটকও ছিলো, এ ধরনের সুযোগ সুবিধায়ও বঞ্চনার শিকার হয়েছিলো। এরআগে লক্ষ্মীপুরের প্রতি অবিচার করা হয়েছে। বৃহত্তর নোয়াখালী জাতীয়তাবাদী ধারা রাজনৈতিক অধ্যুষিত এলাকা হিসেবে মনে করা হতো। একারণে এসব এলাকার আবেদন দেখলে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়া হতো।
জেলা প্রশাসক রাজীব কুমার সরকারের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সম্রাট খীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল হক, জেলা তথ্য কর্মকর্তা বিশ্বনাথ মজুমদার, লক্ষ্মীপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হোসাইন আহমেদ হেলাল, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম পাবেল, সাইফুল ইসলাম স্বপন, সেলিম উদ্দিন নিজামী, তৌহিদুর রহমান রেজা প্রমুখ।
যোগাযোগ: সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রাসেল সরকার, অফিস: ৩৯/৩, মানিক নগর, পুকুর পাড়, মুগদা, ঢাকা - ১২০৩, ফোন: +৮৮০১৭২৬৯১৫৫২৪, +৮৮০১৯৭৬৯১৫৫২৪, ইমেইল: Sheikhmdraselbd@gmail.com, www.dailydigantapratidin.com
2025 © All rights reserved © দৈনিক দিগন্ত প্রতিদিন