নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডেমরা এলাকার কুখ্যাত চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের দোসর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ডেমরা থানা আহবায়ক মো, মনিরুজ্জামান মনির ও ঢাকা-৫ আসনের সাবেক অবৈধ এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু'র একান্ত সহযোগী মাহফুজুর রহমান পিয়াল ও সুলতান মাহমুদ গ্যাং এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের সন্ত্রাসী কার্যক্রম। আতঙ্কের যেন শেষ নেই স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের।

একাধিক সূত্রে জানা গেছে, ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার সরকারের আমলে দীর্ঘ ১৬-১৭ বছর ঢাকা-৫ আসনের সাবেক অবৈধ এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও মশিউর রহমান মোল্লা সজলের ক্ষমতার দাপটে তাদের সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে বিভিন্ন নিরীহ অসহায় পরিবারের জায়গা জবরদখল থেকে শুরু করে অত্র এলাকার বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে মিথ্যা মামলা হামলা করে প্রচন্ড জুলুম নির্যাতন করে আসছিল এই মনিরুজ্জামান মনির, সুলতান মাহমুদ ও মাহফুজুর রহমান পিয়াল গ্যাং।

কোটা সংস্কার দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে আন্দোলনরত ছাত্র জনতা যাতে কোন ধরনের আন্দোলন কর্মসূচি পালন করতে না পারে সেজন্য আন্দোলনরত ছাত্র’জনতাকে স্বৈরাচার সরকারের পক্ষ থেকে সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর প্রধান কুখ্যাত ভূমিদস্যু মনিরুজ্জামান মনির, সুলতান মাহমুদ ও মাহফুজুর রহমান পিয়াল ঢাকা-৫ আসনের সাবেক অবৈধ দুই এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও মশিউর রহমান মোল্লা সজলের নির্দেশে ডেমরা যাত্রাবাড়ী ছাত্র-জনতার উপর হামলা সহ নানা ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদর্শন করেন। গত ৪ আগস্ট ২০২৪ ইং তারিখে ডেমরা যাত্রাবাড়ী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকালে আন্দোলনরত ছাত্র জনতা উপর সাবেক অবৈধ এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু'র সাথে কুখ্যাত চাঁদাবাজ ভূমি দস্যু মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল ও সুলতান মাহমুদ গ্যাং সহ তাদের সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যদের কে ঢাকা-৫ আসনের বিভিন্ন স্থানে আন্দোলনরত ছাত্র জনতার উপর সরাসরি বিভিন্ন অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করতে দেখা গিয়েছে। গত ৫ ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে তৎকালীন সরকার পতনের পর থেকে কুখ্যাত চাঁদাবাজ ভূমিদস্যু স্বৈরাচারের দোসর মনিরুজ্জামান মনির ও মাহফুজুর রহমান পিয়াল গ্যাং ডেমরা বিএনপির একশ্রেণীর সুবিধাবাদী কথিত নেতাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে অত্র এলাকা জুড়ে তাদের সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা সরকারি সম্পত্তি দখলদারিত্ব সহ সকল অপরাধ কর্মকাণ্ডের ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে যাচ্ছে।ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল, সুলতান মাহমুদ গ্যাং আইনশৃংখলার রক্ষাকারী বাহিনীর ধরাছোঁয়ার বাহিরে থেকে যাওয়ায় অত্র এলাকার স্থানীয় ও ভুক্তভোগীদের মাঝে আতঙ্ক যেন কোনভাবেই কাটছে না।

ডেমরা দেইলা পাইটি বেশ কয়েকজন স্থানীয় অভিযোগ করে বলেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল, সুলতান মাহমুদ
গ্যাং সরকারি সম্পত্তি দখল সহ অত্র এলাকার নিরহ মানুষের জায়গা অবৈধভাবে দখল করে আছে। তাদের বাহিনীর নির্যাতনের ভয়ে কেউ মুখ খুলতে পারছেন’না। তারা আরও বলছেন, ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল, সুলতান মাহমুদ গ্যাং কুখ্যাত এই ভূমিদস্যুদের সক্রিয় সন্ত্রাসী বাহিনীর ক্ষমতার কাছে অতীতেও প্রশাসনের ভূমিকা নির্বিকার বর্তমান ও তাই। গত ৫ আগস্ট তৎকালীন আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর থেকে ডেমরা যাত্রাবাড়ী সাবেক অবৈধ দুই এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ও মশিউর রহমান মোল্লা সজল সহ আওয়ামী লীগের নেতারা আত্মগোপনে চলে গেলেও ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল, সুলতান মাহমুদ গ্যাংদের নেতৃত্বে চলছে ত্রাসের রাজত্ব, এবং রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিলের আয়োজক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তারা এমন অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। স্থানীয় ভুক্তভোগী অন্তত অর্ধশতাধিক মানুষের অভিযোগ করে বলেন, কুখ্যাত এই ভূমিদস্য ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল, সুলতান মাহমুদ গ্যাংদের অত্যচার নির্যাতনে অতিষ্ঠ ছিলো অত্ত আশেপাশের এলাকার মানুষ।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অনেক নিরহ অসহায় পরিবারের সদস্যদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা দিয়ে হয়রানি করার পাশাপাশি জিম্মি করে জায়গা জবরদখল করে নিয়েছে এই কুখ্যাত ভূমিদস্য মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল, সুলতান মাহমুদ গ্যাংরা। ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরা এখনো অধরাই রয়ে গেছে। গত বছরের ৫ আগস্ট স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষে ডিএসসিসির ৭০ নং ওয়ার্ডের পাইটি এলাকায় প্রধান সড়কের পাশে সরকারি জমি (সড়ক ও জনপদ) উদ্ধারে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় বাসিন্দারা সহ আরও কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা উদ্ধারে দাঁড়ান। তবে ডেমরার সরকারি জমি জবর-দখলের পাঁয়তারা করছে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন এর ডেমরা থানা আহবায়ক ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর ও জুম সোয়েটার্স এর জি এম মনিরুজ্জামান মনির গ্যাং। বিগত সময়ে তিনি নানাভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের আর্থিকভাবে সহযোগিতা করেছেন এবং জুলাই পরবর্তীতে অদ্যবধি পলাতক আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের নানাভাবে পৃষ্টপোষকতা করে আসছেন বলে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে উঠে আসে। ডেমরার পাইটি এলাকায় জুম গার্মেন্টস কর্তৃক দখলকৃত সরকারি সম্পত্তি উদ্ধার করে খেলার মাঠ নির্মানে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে দাঁড়ান স্থানীয় বাসিন্দারা। অতঃপর আওয়ামী লীগের দোসর মনিরুজ্জামান মনির গ্যাং ক্ষিপ্ত হয়ে মোস্তফা স্কুল এণ্ড কলেজের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক মোঃ গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে সেই মামলা তদন্ত শেষে তাকে খালাস দেয়া হলে পরবর্তীতে আবারও নানানভাবে হুমকি হয়রানি করে যাচ্ছে এই আওয়ামী লীগের দোসর মনিরুজ্জামান মনির গ্যাং। স্থানীয় ভুক্তভোগীরা বলেন ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসর কুখ্যাত ভূমিদস্য মনিরুজ্জামান মনির, মাহফুজুর রহমান পিয়াল, সুলতান মাহমুদ গ্যাংদের দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য জোর দাবি জানাচ্ছি।

এ বিষয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে আমরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও হত্যা মামলা এজাহার নামীয় আসামী সহ ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের কে গ্রেপ্তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।