অধ্যক্ষ গোলাম মোস্তফা কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মবিং সম্মানহানির চেষ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক:
ডেমরার বাঁশের পুলে স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান গোলাম মোস্তফা স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা কে নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মবিং, সম্মানহানির চেষ্টা করছে একটি চক্র।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা কে ঘিরে একটি বিতর্কিত মব পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় এবং ফেসবুক গ্রুপ, পেজ ও ব্যক্তিগত আইডি থেকে তাকে নিয়ে একের পর এক পোস্ট, কটূক্তি এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করা হচ্ছে। শুধু এখানেই শেষ নয় বিভিন্ন মিথ্যা সাজানো ও আওয়ামী লীগের ট্যাগ লাগিয়ে মামলা হামলা সহ কোন তথ্য প্রমাণ ছাড়া মনগড়া কাল্পনিক গল্প সৃষ্টি করে মব করছে এই চক্রটি।
সূত্রে জানা যায়, এই চক্রের প্রধান মনিরুজ্জামান মনির ছিল আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের ডেমরা থানার আহবায়ক। বিগত ১৭ বছর আওয়ামী লীগকে অর্থ ও মিছিল মিটিংয়ে লোকজন দিয়ে সহযোগিতা করেছে বলে জানা যায়। তিনি এখনও ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগকে অর্থ ও লোকজন দিয়ে বিভিন্ন কায়দায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এই মনিরুজ্জামান গং।
ভুক্তভোগী প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা বলেন, সরকারী সম্পত্তি জুম সোয়োটার্স এর মালিক ভূমিদস্যু সোনিয়া তালুকদার গং হতে উদ্ধার করে ডেমরা মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা জন্য ২০১১ সাল থেকে লড়াই করে যাচ্ছে এলাকাবাসী।
তিনি আরও বলেন, ডেমরা থানার দেইল্ল্যা মৌজাস্থিত ১৪, ১৫, ১৭, ১৮, ১৯, ২০, ২১, ২২, ২৩, ২৪ নং দাগের কম/বেশী ৩.৫৭ একর জমি/ভূমি ৪০/৭২-৭৩ নং. এল. এ. কেইসের মাধ্যমে সড়ক ও জনপদ কাঁচপুর ব্রীজের ঢালে মাটির ভরাটের জন্য অধিগ্রহণ করে। এখানে বিশাল আকারের ১টি দীঘি বা পুকুর তৈরি হয়। সেই পুকুরে ৪০ বছর যাবৎ এলাকার মানুষ সাতার কাটত, গোসল করত, মাছ ধরত, নৌকা বাইচ দিত, অযু করত, সর্বোপরি মানুষের কল্যাণে এটি ছিল। কিন্তু দুঃখের বিষয় জুম সোয়েটারের মালিক ভূমিদস্যু সোনিয়া তালুকদার গং- খাড়া দলিল, ভূয়া দলিল সৃজন করে পুকুরটি আত্মসাতের জন্য মাটি ভরাট করে। সেই থেকে এলাকার ছাত্র জনতা আন্দোলন ও মানববন্ধন করে আসছে, যা বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় ও মিডিয়ায় প্রকাশ পায়। মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন ৯২৯৮/১২ মামলা হয় যা ১৬/০৮/২০১৮ ইং তারিখে রায় হয়। রায়ে তাকে অবৈধ ঘোষণা করে এবং জমিতে প্রবেশে নিষেধ করে। কোনো অবস্থাতেই তাকে ভূমিটি অবমুক্ত করে দেওয়া যাবে না এমর্মে আদেশ প্রদান করেন। কোর্টের আদেশ অমান্য করে সাবেক স্বৈরাচার সরকারের লোকদের সহযোগিতায় বার বার দখল করার চেষ্টা করে কিন্তু ব্যর্থ হয়। বিগত ০১/০৪/২০২৪ ইং তারিখে স্বৈরাচার সরকারের দোসরদের সহযোগিতায় অবৈধভাবে বাউন্ডারি ওয়াল করে, তখনও ছাত্র জনতা আন্দোলন ও মানববন্ধন করে ব্যর্থ হয়। স্বৈরাচার সরকার পতনের পর ৫ই আগষ্ট ২০২৪ ইং তারিখে উত্তেজিত ছাত্রজনতা ও এলাকাবাসী সেই বাউন্ডারি ওয়াল ভেঙ্গে দিয়ে পুনরায় তার কাছ হতে দখল মুক্ত করে।
অত্র ভূমিটি ভূমিদস্যু সোনিয়া তালুকদার গং- এর হাত থেকে মুক্ত করে ডেমরা মিনি স্টেডিয়াম করতে চাচ্ছে এলাকাবাসী। সেই শত্রুতার জেরে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা সাজানো মামলা হামলা ও সোশ্যাল মিডিয়াতে মবিং করে যাচ্ছে এই চক্রটি।
ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, কিছু ব্যক্তি পরিকল্পিতভাবে প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা কে নিয়ে অনেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। এ ধরনের অনলাইন মবিং শুধু মানসিকভাবে আঘাত হানছে না, বরং তার সামাজিক ও পেশাগত জীবনে প্রভাব ফেলছে।
আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, তথ্য-প্রযুক্তি আইনে কারো সম্মানহানি করার উদ্দেশ্যে ভুয়া তথ্য বা অপপ্রচার ছড়ানো শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক গোলাম মোস্তফার ঘনিষ্ঠজনরা জানান, ব্যক্তিগত আক্রোশ থেকেই এই ধরনের অপপ্রচার উদ্দেশ্য মূলক মিথ্যা মামলা ও হয়রানি করা হচ্ছে। তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দায়িত্বশীল আচরণের পাশাপাশি এই ধরণের হয়রানির বিরুদ্ধে প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানোর দাবি জানান।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় মব কালচারের কারণে অনেকেই অন্যায়ভাবে মানসিক চাপের শিকার হচ্ছেন। তাই এ ধরনের ঘটনাকে হালকাভাবে না দেখে আইনি ও সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা জরুরি।
স্থানীয়দের দাবি এই চক্রের প্রধান স্বৈরাচারের দোসর আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান মনির ও ভূমিদস্যু সোনিয়া তালুকদার গংদের কে দ্রুত আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।