8:53 pm, Monday, 8 September 2025

আনন্দ টিভি”র চেয়ারম্যান তৌফিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেফতার

দিগন্ত প্রতিদিন

1756756579817

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভি”র চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।

গত ২৮ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলামের ২০২৩ সালে দায়ের করা একটি প্রতারণা মামলায় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।

তারা জানায়, আনন্দ টিভির চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস বিদেশে যাওয়ার সময় গত ২৮ আগস্ট বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রতারণা মামলায় একটি ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানায় হস্তান্তর করে।

এর আগে, ২০২৩ সালে আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলাম অর্থ আত্মসাৎ এবং চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে টেলিভিশনটির তৎকালীণ পরিচালক তাজিন আব্বাস, চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস এবং এইচ, আর এডমিন সাইফুল ইসলামকে আসামী করে প্রতারণা মামলা মামলা (মামলা নং ২৪৩৮/২৩) করেন।

সূত্রে জানা যায় টেলিভিশনটি ২০১৩ সালে স্যাটেলাইট সম্প্রচারে এন ও সি পায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন মালিক পক্ষ আর্থিক সংকট এবং টেলিভিশন পরিচালনায় অজ্ঞতার কারণে সম্প্রচারে আসতে ব্যর্থ হয়।

পরে নুরুল ইসলাম লিখিত চুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থ লগ্নিসহ সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে টেলিভিশনটি সম্প্রচারে আনেন। অল্প কয়েক মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি যখন লাভের মুখ দেখতে শুরু করে।

সে সময় কোন কারণ ছাড়াই স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের প্রভাবে নুরুল ইসলামকে তার লগ্নি করা অর্থ ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা দেন। এরপর তৎকালীন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যক্ষ মদদে এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে।

এছাড়া এডমিন সাইফুলের সহায়তায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 07:58:02 pm, Monday, 1 September 2025
224 Time View

আনন্দ টিভি”র চেয়ারম্যান তৌফিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন থেকে গ্রেফতার

Update Time : 07:58:02 pm, Monday, 1 September 2025

স্টাফ রিপোর্টার:
দেশের বেসরকারী স্যাটেলাইট টেলিভিশন আনন্দ টিভি”র চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাসকে গ্রেফতার করেছে বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।

গত ২৮ আগস্ট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলামের ২০২৩ সালে দায়ের করা একটি প্রতারণা মামলায় আদালত গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করলে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ।

তারা জানায়, আনন্দ টিভির চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস বিদেশে যাওয়ার সময় গত ২৮ আগস্ট বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশ প্রতারণা মামলায় একটি ওয়ারেন্ট থাকায় তাকে গ্রেফতার করে বনানী থানায় হস্তান্তর করে।

এর আগে, ২০২৩ সালে আনন্দ টিভির সাবেক এমডি নুরুল ইসলাম অর্থ আত্মসাৎ এবং চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগ এনে টেলিভিশনটির তৎকালীণ পরিচালক তাজিন আব্বাস, চেয়ারম্যান হাসান তৌফিক আব্বাস এবং এইচ, আর এডমিন সাইফুল ইসলামকে আসামী করে প্রতারণা মামলা মামলা (মামলা নং ২৪৩৮/২৩) করেন।

সূত্রে জানা যায় টেলিভিশনটি ২০১৩ সালে স্যাটেলাইট সম্প্রচারে এন ও সি পায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত টেলিভিশন মালিক পক্ষ আর্থিক সংকট এবং টেলিভিশন পরিচালনায় অজ্ঞতার কারণে সম্প্রচারে আসতে ব্যর্থ হয়।

পরে নুরুল ইসলাম লিখিত চুক্তি ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটিতে অর্থ লগ্নিসহ সার্বিক দায়িত্বভার গ্রহণ করে টেলিভিশনটি সম্প্রচারে আনেন। অল্প কয়েক মাসের মধ্যে ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠানটি যখন লাভের মুখ দেখতে শুরু করে।

সে সময় কোন কারণ ছাড়াই স্থানীয় আওয়ামী নেতাদের প্রভাবে নুরুল ইসলামকে তার লগ্নি করা অর্থ ফেরত না দিয়ে প্রতিষ্ঠান কার্যালয়ে প্রবেশে বাঁধা দেন। এরপর তৎকালীন সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের প্রত্যক্ষ মদদে এবং বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক মন্ত্রীদের দলীয় প্রভাব দেখিয়ে নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে হয়রানি করে।

এছাড়া এডমিন সাইফুলের সহায়তায় বিভিন্ন জেলা থেকে প্রতিনিধির জন্য আবেদন করা ব্যক্তিদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে বাণিজ্য করার অভিযোগ রয়েছে টেলিভিশনটির কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।