1:39 am, Tuesday, 9 September 2025

“মৃত্তিকা” এ যেনো পদ বানিজ্য, দুর্নীতি আর অনিয়মের সর্গ রাজ্য

img 20250828 wa0011

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫ই আগষ্ট স্বৈরশাসক চলে যাওয়ার পর তৎকালীন ডিজি জালাল উদ্দিনকে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় মব সৃষ্টি করে কিছু বহিরাগতদের সহযোগিতায় হুমকির মুখে ডিজি দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় চাকরিচ্যুত হতে বাধ্য করেন, তারি ধারাবাহিকতায় ১৩/১১/২০২৪ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে মৃত্তিকা (SRDI) মহাপরিচালক পদে ড. সামিয়া সুলতানা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক কৃষি সচিব পলাতক “ওয়াহিদা আক্তারের” ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।

এই সুবাদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে মৃত্তিকাতে একক আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে।

পদ গুলো হচ্ছে-
১) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
২) প্রকল্প পরিচালক “CCBS”
৩) পরিচালক- ফিল্ড সার্ভিসেস উইং
৪) মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট BCS সমিতির সেক্রেটারি।
৫) development of national soil map and National soil information system of Bangladesh project founded by AFACI. এই প্রকল্পের co-project investigator.
৬) সয়েল সাইন্স সোসাইটি অফ বাংলাদেশের নির্বাচন না করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদবী গ্রহণ।

আইন অনুযায়ী মৃত্তিকার কোন কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের একমাত্র এখতিয়ার রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়। কিন্তু ড. সামিয়া সুলতানা দায়িত্ব গ্রহণের পর তার আস্থাভাজন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন কে তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল পাবনার আয়ন-ব্যায়ন (DDO) ক্ষমতায় বহাল করেন। উক্ত ক্ষমতা পাওয়ার পর ফারুক হোসেন প্রতিষ্ঠানের সৎ নিষ্ঠাবান ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ক্ষোভের বশবতী হয়ে বিভিন্ন কার্যালয়ে হয়রানি মূলক বদলি শুরু করেন, যার প্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় হতে বর্তমান ডিজি সামিয়া সুলতানা বরাবর ২৬-১১-২০২৪ উপসচিব দেবীচন্দ্র স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ডিজি ১লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে SRDI এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (CCBS) প্রকল্পের এখন পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। অথচ মহাপরিচালকের পদে থেকে P.D. পদে বহাল থাকা অনৈতিক। CCBS প্রকল্পের কাজ জানুয়ারি ২০২০ থেকে শুরু করে জুন ২০২৪ এ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ তা ২০২৫ এর আগস্ট মাসেও শেষ হয়নি।

আরো অভিযোগ রয়েছে নির্বাচন ছাড়াই BARC-এর চেয়ারম্যান ডঃ শেখ মো: বখতিয়ার গংদের মাধ্যমে ক্ষমতা খাটিয়ে SSSB তে জেনারেল সেক্রেটারি পদ দখল করে নেন ডিজি ড. সামিয়া সুলতানা। প্রশ্ন উঠেছে PSO মোঃ ফারুক হোসেন এর বিরুদ্ধেও, ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন না করে তিনি অফিসিয়াল মিটিং এবং আলোচনা সভায় নিজেকে ডক্টর বলে দাবি করেন, অফিসিয়াল মিটিং প্রোগ্রাম এর ব্যানারে ডক্টর লেখাটাও সাদৃশ্য। ২০২৩-২০২৪ সালের ফাইনাল বার্ষিক প্রতিবেদনে স্বহস্তে ডঃ মোঃ ফারুক হোসেন PSO লিখেন।

এই PSO ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে তার নিজ এলাকা নওগাঁতে জোরপূর্বক ৮ বিঘা সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠে জনাব ফারুক হোসেন একজন পিএসও হয়ে কি ভাবে রাজশাহী শহরে কৃষিবিদ টাওয়ার নির্মাণ করেন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 07:35:38 am, Thursday, 28 August 2025
375 Time View

“মৃত্তিকা” এ যেনো পদ বানিজ্য, দুর্নীতি আর অনিয়মের সর্গ রাজ্য

Update Time : 07:35:38 am, Thursday, 28 August 2025

 

নিজস্ব প্রতিবেদক:
৫ই আগষ্ট স্বৈরশাসক চলে যাওয়ার পর তৎকালীন ডিজি জালাল উদ্দিনকে প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী কায়দায় মব সৃষ্টি করে কিছু বহিরাগতদের সহযোগিতায় হুমকির মুখে ডিজি দায়িত্ব থেকে স্বেচ্ছায় চাকরিচ্যুত হতে বাধ্য করেন, তারি ধারাবাহিকতায় ১৩/১১/২০২৪ প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে মৃত্তিকা (SRDI) মহাপরিচালক পদে ড. সামিয়া সুলতানা দায়িত্ব গ্রহণ করেন। তিনি ফ্যাসিস্ট সরকারের সাবেক কৃষি সচিব পলাতক “ওয়াহিদা আক্তারের” ঘনিষ্ঠ বান্ধবী।

এই সুবাদে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করে মৃত্তিকাতে একক আধিপত্য বিস্তার করে যাচ্ছে।

পদ গুলো হচ্ছে-
১) মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।
২) প্রকল্প পরিচালক “CCBS”
৩) পরিচালক- ফিল্ড সার্ভিসেস উইং
৪) মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট BCS সমিতির সেক্রেটারি।
৫) development of national soil map and National soil information system of Bangladesh project founded by AFACI. এই প্রকল্পের co-project investigator.
৬) সয়েল সাইন্স সোসাইটি অফ বাংলাদেশের নির্বাচন না করে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে সিলেকশনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট পদবী গ্রহণ।

আইন অনুযায়ী মৃত্তিকার কোন কর্মকর্তাকে প্রশাসনিক ও আর্থিক ক্ষমতা প্রদানের একমাত্র এখতিয়ার রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মহোদয়। কিন্তু ড. সামিয়া সুলতানা দায়িত্ব গ্রহণের পর তার আস্থাভাজন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ ফারুক হোসেন কে তার পূর্ববর্তী কর্মস্থল পাবনার আয়ন-ব্যায়ন (DDO) ক্ষমতায় বহাল করেন। উক্ত ক্ষমতা পাওয়ার পর ফারুক হোসেন প্রতিষ্ঠানের সৎ নিষ্ঠাবান ও অভিজ্ঞ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক ক্ষোভের বশবতী হয়ে বিভিন্ন কার্যালয়ে হয়রানি মূলক বদলি শুরু করেন, যার প্রেক্ষিতে কৃষি মন্ত্রণালয় হতে বর্তমান ডিজি সামিয়া সুলতানা বরাবর ২৬-১১-২০২৪ উপসচিব দেবীচন্দ্র স্বাক্ষরিত একটি কারণ দর্শানো নোটিশ প্রদান করেন।

তথ্যসূত্রে জানা যায়, ডিজি ১লা জানুয়ারি ২০২০ থেকে SRDI এর ভবন নির্মাণ ও সক্ষমতা বৃদ্ধি (CCBS) প্রকল্পের এখন পর্যন্ত প্রকল্প পরিচালক হিসেবে রয়েছেন। অথচ মহাপরিচালকের পদে থেকে P.D. পদে বহাল থাকা অনৈতিক। CCBS প্রকল্পের কাজ জানুয়ারি ২০২০ থেকে শুরু করে জুন ২০২৪ এ শেষ হওয়ার কথা ছিল। অথচ তা ২০২৫ এর আগস্ট মাসেও শেষ হয়নি।

আরো অভিযোগ রয়েছে নির্বাচন ছাড়াই BARC-এর চেয়ারম্যান ডঃ শেখ মো: বখতিয়ার গংদের মাধ্যমে ক্ষমতা খাটিয়ে SSSB তে জেনারেল সেক্রেটারি পদ দখল করে নেন ডিজি ড. সামিয়া সুলতানা। প্রশ্ন উঠেছে PSO মোঃ ফারুক হোসেন এর বিরুদ্ধেও, ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন না করে তিনি অফিসিয়াল মিটিং এবং আলোচনা সভায় নিজেকে ডক্টর বলে দাবি করেন, অফিসিয়াল মিটিং প্রোগ্রাম এর ব্যানারে ডক্টর লেখাটাও সাদৃশ্য। ২০২৩-২০২৪ সালের ফাইনাল বার্ষিক প্রতিবেদনে স্বহস্তে ডঃ মোঃ ফারুক হোসেন PSO লিখেন।

এই PSO ফারুক হোসেনের বিরুদ্ধে তার নিজ এলাকা নওগাঁতে জোরপূর্বক ৮ বিঘা সরকারি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। জনমনে প্রশ্ন উঠে জনাব ফারুক হোসেন একজন পিএসও হয়ে কি ভাবে রাজশাহী শহরে কৃষিবিদ টাওয়ার নির্মাণ করেন।