1:46 am, Tuesday, 9 September 2025

গোলাম মোস্তফা স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা কে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার

picsart 25 08 27 19 01 51 540

 

স্টাফ রিপোর্টার:
ডেমরার বাঁশের পুলে গোলাম মোস্তফা স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা কে আবারও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করে ডেমরা থানা পুলিশ। প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা এর আগেও প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ একাধিক প্রতারণার মামলায় এরেস্ট করা হয়েছিল।

প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা ও শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রমজান আলী মাস্টার প্রতারণার ও ভূমিদস্যুতা মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান। বাঁশেরপুল ও শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের আশেপাশে প্রায় ৩০ টি অধিক অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে তুলেন। তাদের অবৈধ টাকা ও ক্ষমতার জোরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেও এতদিন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

১২ টি এর অধিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী রূপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টার। এই রমজান আলী মাস্টার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ৬৫ নং ওয়ার্ডে গ্রেফতারকৃত একাধিক হত্যার মামলার আাসামী কাউন্সিলর আলহাজ্ব শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে।

ভূমিদস্যু আওয়ামীলীগ নেতা রমজান আলী মাস্টার ৬৫ নং ওর্য়াডের গ্রেফতারকৃত কাউন্সিলর সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর ছত্র ছায়া ও সরকারী খাস জমি দখল ক্ষমতা অপব্যবহার করে সরকারি খাস জমি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারী রাজউক কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় রূপসী পল্লী টাওয়ার ১ নং হতে ১৮ নং বহুতল ভবনের নির্মাণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযোগ আছে রমজান আলী মাস্টার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারী জমি ও বিভিন্ন মানুষের জমি স্বল্প মূল্য জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন। এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার গুলোর বেজমেন্ট ঢালাই দেওয়ার সময় পাথরের বদলে ইটের কংক্রিট দিয়ে ঢালাই দিয়েছে সকল টাওয়ার গুলো যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা পরিবেশে বিপর্যয় বড় কোন হ্যালো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে শত পরিবারের নিশ্চিত মৃত্যু।

এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং এর মালিক রমজান আলী মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার নামে বৈষম্য ছাএ হত্যার ১২ টি মামলা রয়েছে। আমি নাকি বৈষম্য ছাএ হত্যার অর্থ যোগানদাতা,আমার ১২ জন ছাএ রয়েছে পুলিশ,পিবিআই,ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধতন কর্মকর্তা। তারা এই মামলার বিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমার সম্পত্তির ব্যাপারে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক কর্মকর্তারা খোঁজ খবর নিলেও আমার কিছুই করতে পারবে না। রূপসী পল্লী টাওয়ারের বহুতল ভবনগুলো পার্টনারশিপে করা।

আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা চান্দিনায় বারোটি মসজিদ কমিটির সভাপতি। সেখানে আমি মসজিদ উন্নয়নে ব্যাপক অর্থদান করেছি। ডেমরা থানাধীন ধার্মিক পাড়া কবরস্থানে উন্নয়ন কাজের আমি মোটা অংকের টাকা দান করেছি।

গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতারের বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন গোলাম মোস্তফা কে আমাদের একটি টিম গ্রেপ্তার করে। আইনি প্রক্রিয়া কাজ শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 01:03:11 pm, Wednesday, 27 August 2025
119 Time View

গোলাম মোস্তফা স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা কে প্রতারণা মামলায় গ্রেফতার

Update Time : 01:03:11 pm, Wednesday, 27 August 2025

 

স্টাফ রিপোর্টার:
ডেমরার বাঁশের পুলে গোলাম মোস্তফা স্কুল এন্ড কলেজের প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা কে আবারও প্রতারণার মামলায় গ্রেফতার করে ডেমরা থানা পুলিশ। প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা এর আগেও প্রশ্নপত্র ফাঁসসহ একাধিক প্রতারণার মামলায় এরেস্ট করা হয়েছিল।

প্রিন্সিপাল গোলাম মোস্তফা ও শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের শিক্ষক রমজান আলী মাস্টার প্রতারণার ও ভূমিদস্যুতা মাধ্যমে শত কোটি টাকার সম্পদের মালিক বনে যান। বাঁশেরপুল ও শামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজের আশেপাশে প্রায় ৩০ টি অধিক অ্যাপার্টমেন্ট গড়ে তুলেন। তাদের অবৈধ টাকা ও ক্ষমতার জোরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে যুক্ত থেকেও এতদিন ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।

১২ টি এর অধিক বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী রূপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টার। এই রমজান আলী মাস্টার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ৬৫ নং ওয়ার্ডে গ্রেফতারকৃত একাধিক হত্যার মামলার আাসামী কাউন্সিলর আলহাজ্ব শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে।

ভূমিদস্যু আওয়ামীলীগ নেতা রমজান আলী মাস্টার ৬৫ নং ওর্য়াডের গ্রেফতারকৃত কাউন্সিলর সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর ছত্র ছায়া ও সরকারী খাস জমি দখল ক্ষমতা অপব্যবহার করে সরকারি খাস জমি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারী রাজউক কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় রূপসী পল্লী টাওয়ার ১ নং হতে ১৮ নং বহুতল ভবনের নির্মাণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযোগ আছে রমজান আলী মাস্টার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারী জমি ও বিভিন্ন মানুষের জমি স্বল্প মূল্য জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন। এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার গুলোর বেজমেন্ট ঢালাই দেওয়ার সময় পাথরের বদলে ইটের কংক্রিট দিয়ে ঢালাই দিয়েছে সকল টাওয়ার গুলো যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা পরিবেশে বিপর্যয় বড় কোন হ্যালো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে শত পরিবারের নিশ্চিত মৃত্যু।

এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং এর মালিক রমজান আলী মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান,আমার নামে বৈষম্য ছাএ হত্যার ১২ টি মামলা রয়েছে। আমি নাকি বৈষম্য ছাএ হত্যার অর্থ যোগানদাতা,আমার ১২ জন ছাএ রয়েছে পুলিশ,পিবিআই,ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধতন কর্মকর্তা। তারা এই মামলার বিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমার সম্পত্তির ব্যাপারে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক কর্মকর্তারা খোঁজ খবর নিলেও আমার কিছুই করতে পারবে না। রূপসী পল্লী টাওয়ারের বহুতল ভবনগুলো পার্টনারশিপে করা।

আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা চান্দিনায় বারোটি মসজিদ কমিটির সভাপতি। সেখানে আমি মসজিদ উন্নয়নে ব্যাপক অর্থদান করেছি। ডেমরা থানাধীন ধার্মিক পাড়া কবরস্থানে উন্নয়ন কাজের আমি মোটা অংকের টাকা দান করেছি।

গোলাম মোস্তফাকে গ্রেফতারের বিষয়ে ডেমরা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদুর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন গোলাম মোস্তফা কে আমাদের একটি টিম গ্রেপ্তার করে। আইনি প্রক্রিয়া কাজ শেষে তাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।