গুলিস্তান ফুটপাতে চাঁদাবাজির ধরন পরিবর্তন টিটু/সুফিয়ান গ্রুপের

নিজস্ব প্রতিবেদক:
গুলিস্তান পোড়া মার্কেট ও আশপাশের ফুটপাতে প্রতিদিন বসে অন্তত আড়াই থেকে তিন হাজার ভ্রাম্যমাণ দোকান। আওয়ামী লীগের পতনের পর হকাররা কিছুদিন চাঁদামুক্ত থাকলেও এখন নতুন করে ফুটপাতে জায়গা বরাদ্দের নামে চলছে ‘জামানত বাণিজ্য’। একেকটি দোকান বসাতে হকাররা দিতে হচ্ছে ৮০ হাজার থেকে ১লক্ষ ৫০হাজার টাকা পর্যন্ত।
এই দখলদারি চাঁদাবাজ চক্রে বিএনপির কয়েকজনের সম্পৃক্ততার অভিযোগ উঠে, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের মধ্যে ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন টিটু এবং তার ঘনিষ্ঠ বন্ধ আবু সুফিয়ান অন্যতম।
চাঁদাবাজি ও দখলদারি অভিযোগে গত ১২ অক্টোবর ২০২৫ বিএনপির ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা শাহবাগ থানাধীন ২০ নম্বর ওয়ার্ডের সব কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। সিদ্ধান্তটি জানিয়ে দলটির আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু এবং সদস্যসচিব তানভীর আহমেদ রবিন স্পষ্ট নির্দেশ দেন—এই সময় তিনি বলেন দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি টেন্ডারবাজি কার্যক্রম চালানো যাবে না। তবুও বাস্তবে কোনো পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না।
এই টিটু সুফিয়ান গ্রুপের নেতৃত্বে এখনো দখল ও চাঁদাবাজি অব্যাহত রয়েছে। বরং কমিটি স্থগিত হওয়ার পর তারা লাগামহীন ভাবে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
হকারদের কাছ থেকে জোর করে টাকা আদায়, রাজি না হলে মারধর—এসব যেন টিটু সুফিয়ান বাহিনীর নিত্যদিনের রুটিন। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে এই টিটুর বিরুদ্ধে।
দলীয় নেতাকর্মীদের দাবি, গুলিস্তান কেন্দ্রিক আওয়ামিলীগের কিছু ঝটিকা মিছিলে তার প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। ফলে তার পদ পদবী নিয়ে শুরু হয় দলীয় কোন্দল।
অভিযোগের বিষয়ে মনির হোসেন টিটুর সঙ্গে যোগাযোগের করা হলে এই সব বিষয়ে কোনো সদ উত্তর দিতে পারেনি। চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে ২০ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন টিটুর বিরুদ্ধে দুদকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন গুলিস্তান ট্রেড সেন্টারের ব্যবসায়ীগন। বর্তমানে মনির হোসেন টিটু নিজেকে ওয়ার্ড বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি পরিচয় দিয়ে এইসব অপকর্ম করে যাচ্ছে।