7:49 am, Tuesday, 9 September 2025

ড্রেজার ব্যবসার মূল নেপথ্যে ঘুসখোর তশিলদার কান্তি দেবনাত

1756128273092

 

স্টাফ রিপোর্টার:
মাধবপুর ইউনিয়নে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের মূল এজেন্ডার বাস্তবায়ন করেন ভূমি তশিলদার কান্তি দেবনাত এর বিরুদ্ধে।

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১নং মাধবপুর ইউনিয়নের ড্রেজার ব্যবসায়ীদের মূল এজেন্ডার বাস্তবায়ন করেন ভূমি তশিলদার কান্তি দেবনাত বলে এমন অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় মাধবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আসে পাশে মোট ৩টি ড্রেজার চলমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ড্রেজার ব্যবসায়ী জানান যে তশিলদার কান্তি দেবনাত”কে কি টাকা দেওয়া ছাড়া আমরা চালাতে পারব নাকি! তাকে ঘুষ দিয়েই আমরা ড্রেজার চালাই নয়তো ইউএনও ও এসিল্যান্ড এসে সব ভেঙ্গে দেয়। ইউএনও ও এসিল্যান্ড অভিযানে আসলে কান্তি দেবনাত বাবু আগেই আমাদেরকে ফোন করে জানান তখন আমরা সব সরিয়ে নেই।

অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাধবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পাশের রাস্তায় কয়েকটি স্থাপনা ভরাট এর কাজ চলছে এ-সব বিষয় ভূমি অফিসে গিয়ে ঘুসখোর তশিলদার কান্তি দেবনাত এর বক্তব্য জানতে গিয়ে প্রথমে অফিসে ঢুকে দেখা যায় এক বৃদ্ধার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে পকেটে ঢুকান পরে সাংবাদিকেরা ভিজিটিং কার্ড দিলে অফিসের সাহিরে ডেকে এনে কি জানতে চাচ্ছে মর্মে ভূমি অফিসের পাশে ড্রেজার চলার বিষয় অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন জানি তো আপনারা আমাকে কি করতে বলেন? আপনাদেরকে এখনি এসিল্যান্ড স্যারকে কল দিয়ে হাজত খাটয়ে ছাড়ব বলে হুমকি দিয়ে এসিল্যান্ডকে ফোন দিলে তখন ইউএনও সাথে এবিষয় কথা হয়েছে বলে এসএমএস দেখালে তখন ঘুসখোর তশিলদার কান্তি দেবনাত বলেন আপনারা বলেছেন ব্যবস্থা নেব।

ভাবা যায় কান্তি দেবনাত এর নাকের ডগাতেই চলে ড্রেজার কিন্তু কেউ অভিযোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবেন না? তার মানে অপরাধের অভিযোগ না গেলে সে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না আর করবেনই বা কি করে কারণ অবৈধ ড্রেজার তো তার নেতৃত্বেই চলে!

উক্ত বিষয় জানতে ব্রাহ্মণপাড়া ইউএনওকে ফোন করলে তিনি এসিল্যান্ডকে জানাতে বলেন একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় ঘুসখোর কান্তি দেবনাত জমি খারিজ করতেও ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ ছাড়া তিনি কাজ করেন না! কুমিল্লা শহরেও তিনি বিভিন্ন স্থানে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে, অনুসন্ধান চলমান।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 01:28:32 pm, Monday, 25 August 2025
73 Time View

ড্রেজার ব্যবসার মূল নেপথ্যে ঘুসখোর তশিলদার কান্তি দেবনাত

Update Time : 01:28:32 pm, Monday, 25 August 2025

 

স্টাফ রিপোর্টার:
মাধবপুর ইউনিয়নে ড্রেজার ব্যবসায়ীদের মূল এজেন্ডার বাস্তবায়ন করেন ভূমি তশিলদার কান্তি দেবনাত এর বিরুদ্ধে।

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ১নং মাধবপুর ইউনিয়নের ড্রেজার ব্যবসায়ীদের মূল এজেন্ডার বাস্তবায়ন করেন ভূমি তশিলদার কান্তি দেবনাত বলে এমন অভিযোগ উঠেছে।

সরজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে দেখা যায় মাধবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের আসে পাশে মোট ৩টি ড্রেজার চলমান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ড্রেজার ব্যবসায়ী জানান যে তশিলদার কান্তি দেবনাত”কে কি টাকা দেওয়া ছাড়া আমরা চালাতে পারব নাকি! তাকে ঘুষ দিয়েই আমরা ড্রেজার চালাই নয়তো ইউএনও ও এসিল্যান্ড এসে সব ভেঙ্গে দেয়। ইউএনও ও এসিল্যান্ড অভিযানে আসলে কান্তি দেবনাত বাবু আগেই আমাদেরকে ফোন করে জানান তখন আমরা সব সরিয়ে নেই।

অবৈধ ড্রেজার দিয়ে মাধবপুর ইউনিয়ন ভূমি অফিসের পাশের রাস্তায় কয়েকটি স্থাপনা ভরাট এর কাজ চলছে এ-সব বিষয় ভূমি অফিসে গিয়ে ঘুসখোর তশিলদার কান্তি দেবনাত এর বক্তব্য জানতে গিয়ে প্রথমে অফিসে ঢুকে দেখা যায় এক বৃদ্ধার কাছ থেকে ৫০০ টাকা নিয়ে পকেটে ঢুকান পরে সাংবাদিকেরা ভিজিটিং কার্ড দিলে অফিসের সাহিরে ডেকে এনে কি জানতে চাচ্ছে মর্মে ভূমি অফিসের পাশে ড্রেজার চলার বিষয় অবগত আছেন কিনা জানতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন জানি তো আপনারা আমাকে কি করতে বলেন? আপনাদেরকে এখনি এসিল্যান্ড স্যারকে কল দিয়ে হাজত খাটয়ে ছাড়ব বলে হুমকি দিয়ে এসিল্যান্ডকে ফোন দিলে তখন ইউএনও সাথে এবিষয় কথা হয়েছে বলে এসএমএস দেখালে তখন ঘুসখোর তশিলদার কান্তি দেবনাত বলেন আপনারা বলেছেন ব্যবস্থা নেব।

ভাবা যায় কান্তি দেবনাত এর নাকের ডগাতেই চলে ড্রেজার কিন্তু কেউ অভিযোগ না দিলে ব্যবস্থা নেবেন না? তার মানে অপরাধের অভিযোগ না গেলে সে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন না আর করবেনই বা কি করে কারণ অবৈধ ড্রেজার তো তার নেতৃত্বেই চলে!

উক্ত বিষয় জানতে ব্রাহ্মণপাড়া ইউএনওকে ফোন করলে তিনি এসিল্যান্ডকে জানাতে বলেন একাধিকবার ফোন করলে তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি।

সরজমিনে অনুসন্ধানে জানা যায় ঘুসখোর কান্তি দেবনাত জমি খারিজ করতেও ১০ থেকে ২০ হাজার টাকা ঘুষ ছাড়া তিনি কাজ করেন না! কুমিল্লা শহরেও তিনি বিভিন্ন স্থানে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন বলেও অভিযোগ উঠেছে, অনুসন্ধান চলমান।