7:26 am, Tuesday, 9 September 2025

ডেমরায় ফ্যাসিস্টের সহোযোগী মনির মাস্টার গ্রেফতার

screenshot 20250814 234707

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী ডেমরা থানাধীন ডিএসসিসি ৬৫ নং ওর্য়াডের স্হানীয় বাসিন্দা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের দোসর ডেমরা রুপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং এর মালিক রমজান আলী মাস্টারের সহোযোগী ৬৫ নং ওর্য়াডের স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ এর সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ শাখার ০৩ ইউনিট আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ডেমরা থানা আওয়ামীলীগ এর পলাতক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুূদ এর অত্যন্ত আস্হাভাজন নেতা আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান ওরফে মনির মাস্টার গত ১৩/০৮/২৫ গভীর রাতে ডেমরা এলাকা মুসলিম নগর নিজ বাড়ী থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিশেষ দল গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে সকালে মনির মাস্টারের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রেফতার আতঙ্কে ডেমরা বহুতল হাউজিং কোম্পানি “রূপসী পল্লী টাওয়ারের” মালিক এক সময়ে নুন আন্তে পাঁন্তা ফুরিয়ে যাওয়ার হতদরিদ্র সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টার ১৪/০৮/২৫ বৃস্হপতিবার ভোরে ডেমরা এলাকা নিজ বাড়ী থেকে অন্যএ পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডিএসসিসি ৬৫ নং ওর্য়াডের স্বৈরাচারের সাবেক প্রভাবশালী ঐ নেতা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য মনির মাস্টারের নেতৃত্বে ডেমরা এভিনিউ ওয়ান চাইনিজ এর সামনে আওয়ামী লীগের যুবলীগের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সশস্ত্র অবস্থান নেয় পরে মাতুয়াইল মেডিকেল রোড, বাদশা মিয়া রোড ও সাইনর্বোড এলাকায় বৈষম্য ছাত্র বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য ব্যাপক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ও সাধারণ ছাত্র ছাত্রী পথচারীদের উপর হামলা করে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য সম্পূর্ণ অর্থ যোগানদাতা আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে কাজ করেছে ১২ টি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী রূপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টার।

এই রমজান আলী মাস্টার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ৬৫ নং ওয়ার্ডে গ্রেফতারকৃত একাধিক হত্যার মামলার আাসামী কাউন্সিলর আলহাজ্ব শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে। ভূমিদস্যু আওয়ামীলীগ নেতা রমজান আলী মাস্টার ৬৫ নং ওর্য়াডের গ্রেফতারকৃত কাউন্সিলর সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর ছত্র ছায়া ও সরকারী খাস জমি দখল ক্ষমতা অপব্যবহার করে সরকারি খাস জমি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারী রাজউক কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় রূপসী পল্লী টাওয়ার ১ নং হতে ১৮ নং বহুতল ভবনের নির্মাণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযোগ আছে রমজান আলী মাস্টার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারী জমি ও বিভিন্ন মানুষের জমি স্বল্প মূল্য জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন।

এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার গুলোর বেজমেন্ট ঢালাই দেওয়ার সময় পাথরের বদলে ইটের কংক্রিট দিয়ে ঢালাই দিয়েছে সকল টাওয়ার গুলো যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা পরিবেশে বিপর্যয় বড় কোন হ্যালো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে শত পরিবারের নিশ্চিত মৃত্যু।

এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং এর মালিক রমজান আলী মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার নামে বৈষম্য ছাত্র  হত্যার ১২ টি মামলা রয়েছে। আমি নাকি বৈষম্য ছাএ হত্যার অর্থ যোগানদাতা,আমার ১২ জন ছাএ রয়েছে পুলিশ,পিবিআই, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধতন কর্মকর্তা। তারা এই মামলার বিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমার সম্পত্তির ব্যাপারে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক কর্মকর্তারা খোঁজ খবর নিলেও আমার কিছুই করতে পারবে না। রূপসী পল্লী টাওয়ারের বহুতল ভবনগুলো পার্টনারশিপে করা।

আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা চান্দিনায় বারোটি মসজিদ কমিটির সভাপতি। সেখানে আমি মসজিদ উন্নয়নে ব্যাপক অর্থদান করেছি। ডেমরা থানাধীন ধার্মিক পাড়া কবরস্থানে উন্নয়ন কাজের আমি মোটা অংকের টাকা দান করেছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 05:57:13 pm, Thursday, 14 August 2025
155 Time View

ডেমরায় ফ্যাসিস্টের সহোযোগী মনির মাস্টার গ্রেফতার

Update Time : 05:57:13 pm, Thursday, 14 August 2025

নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানী ডেমরা থানাধীন ডিএসসিসি ৬৫ নং ওর্য়াডের স্হানীয় বাসিন্দা স্বৈরাচার ফ্যাসিস্টের দোসর ডেমরা রুপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং এর মালিক রমজান আলী মাস্টারের সহোযোগী ৬৫ নং ওর্য়াডের স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ এর সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ শাখার ০৩ ইউনিট আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ডেমরা থানা আওয়ামীলীগ এর পলাতক সভাপতি এডভোকেট রফিকুল ইসলাম খান মাসুূদ এর অত্যন্ত আস্হাভাজন নেতা আলহাজ্ব মনিরুজ্জামান ওরফে মনির মাস্টার গত ১৩/০৮/২৫ গভীর রাতে ডেমরা এলাকা মুসলিম নগর নিজ বাড়ী থেকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) বিশেষ দল গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে সকালে মনির মাস্টারের গ্রেফতারের খবর ছড়িয়ে পড়লে গ্রেফতার আতঙ্কে ডেমরা বহুতল হাউজিং কোম্পানি “রূপসী পল্লী টাওয়ারের” মালিক এক সময়ে নুন আন্তে পাঁন্তা ফুরিয়ে যাওয়ার হতদরিদ্র সামসুল হক খান স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টার ১৪/০৮/২৫ বৃস্হপতিবার ভোরে ডেমরা এলাকা নিজ বাড়ী থেকে অন্যএ পালিয়ে যায়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ডিএসসিসি ৬৫ নং ওর্য়াডের স্বৈরাচারের সাবেক প্রভাবশালী ঐ নেতা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য মনির মাস্টারের নেতৃত্বে ডেমরা এভিনিউ ওয়ান চাইনিজ এর সামনে আওয়ামী লীগের যুবলীগের ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের সশস্ত্র অবস্থান নেয় পরে মাতুয়াইল মেডিকেল রোড, বাদশা মিয়া রোড ও সাইনর্বোড এলাকায় বৈষম্য ছাত্র বিরোধী আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য ব্যাপক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মহড়া দেয় ও সাধারণ ছাত্র ছাত্রী পথচারীদের উপর হামলা করে।

অনুসন্ধানে আরও জানা যায়, ছাত্র আন্দোলনকে প্রতিহত করার জন্য সম্পূর্ণ অর্থ যোগানদাতা আন্ডার গ্রাউন্ড থেকে কাজ করেছে ১২ টি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা হত্যা মামলার আসামী রূপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং কোম্পানির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব রমজান আলী মাস্টার।

এই রমজান আলী মাস্টার ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ৬৫ নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ৬৫ নং ওয়ার্ডে গ্রেফতারকৃত একাধিক হত্যার মামলার আাসামী কাউন্সিলর আলহাজ্ব শামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে। ভূমিদস্যু আওয়ামীলীগ নেতা রমজান আলী মাস্টার ৬৫ নং ওর্য়াডের গ্রেফতারকৃত কাউন্সিলর সামসুদ্দিন ভূঁইয়া সেন্টুর ছত্র ছায়া ও সরকারী খাস জমি দখল ক্ষমতা অপব্যবহার করে সরকারি খাস জমি বহুতল ভবন নির্মাণসহ বিভিন্ন সরকারী রাজউক কর্মকর্তা ও ভূমি অফিসে দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তাদের সহযোগীতায় রূপসী পল্লী টাওয়ার ১ নং হতে ১৮ নং বহুতল ভবনের নির্মাণ করে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। অভিযোগ আছে রমজান আলী মাস্টার আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্থানীয় যুবলীগ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নিয়ে সরকারী জমি ও বিভিন্ন মানুষের জমি স্বল্প মূল্য জোরপূর্বক ভয়-ভীতি দেখিয়ে রেজিস্ট্রি করেছেন।

এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার গুলোর বেজমেন্ট ঢালাই দেওয়ার সময় পাথরের বদলে ইটের কংক্রিট দিয়ে ঢালাই দিয়েছে সকল টাওয়ার গুলো যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ যা পরিবেশে বিপর্যয় বড় কোন হ্যালো দুর্ঘটনা ঘটতে পারে শত পরিবারের নিশ্চিত মৃত্যু।

এদিকে রুপসী পল্লী টাওয়ার হাউজিং এর মালিক রমজান আলী মাস্টারের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, আমার নামে বৈষম্য ছাত্র  হত্যার ১২ টি মামলা রয়েছে। আমি নাকি বৈষম্য ছাএ হত্যার অর্থ যোগানদাতা,আমার ১২ জন ছাএ রয়েছে পুলিশ,পিবিআই, ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি)সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্ধতন কর্মকর্তা। তারা এই মামলার বিষয়ে আমাকে সহযোগিতা করেছে। আমার সম্পত্তির ব্যাপারে দূর্নীতি দমন কমিশন দুদক কর্মকর্তারা খোঁজ খবর নিলেও আমার কিছুই করতে পারবে না। রূপসী পল্লী টাওয়ারের বহুতল ভবনগুলো পার্টনারশিপে করা।

আমার গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা চান্দিনায় বারোটি মসজিদ কমিটির সভাপতি। সেখানে আমি মসজিদ উন্নয়নে ব্যাপক অর্থদান করেছি। ডেমরা থানাধীন ধার্মিক পাড়া কবরস্থানে উন্নয়ন কাজের আমি মোটা অংকের টাকা দান করেছি।