টংগিবাড়ী প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি মাসুমের চাঁদাবাজি ও দাপট: প্রশাসন নীরব, সাধারণ মানুষের আক্রোশ

নিজস্ব প্রতিবেদক:
মুন্সীগঞ্জের টংগিবাড়ী প্রেসক্লাবের বর্তমান সহ-সভাপতি মাসুম হাসান আফিফের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি, ভয়ভীতি প্রদর্শন ও নানা অনৈতিক কার্যক্রমের অভিযোগ নতুন নয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষ পর্যন্ত তার বিরুদ্ধে নানান অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ক্ষোভ ও আতঙ্ক ছড়িয়ে আছে। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর রাজধানীর সাভারের কুখ্যাত সন্ত্রাসী ও ৭ মামলার আসামি আপেল মাহমুদকে মুন্সীগঞ্জে এনে আশ্রয় দেন মাসুম।
দিনের বেলা তাকে গোপনে রাখা হতো, রাতের অন্ধকারে টংগিবাড়ী, লৌহজং ও সিরাজদিখানে ‘চাঁদাবাজি নামক এসাইনমেন্ট’ চালানো হতো। আপেল মাহমুদ র্যাবের হাতে ধরা পড়লেও মাসুম থেকে যান ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সম্প্রতি সময়ে মাসুম বালিগাঁও এলাকার কয়েকজন ড্রেজার ব্যবসায়ীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ও ‘নিউজ করে দেওয়ার’ হুমকি দিয়ে উপজেলার একটি ভবনের গোপন ডেরায় নিয়ে গিয়ে ৪০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। টাকা ভাগাভাগি করা হয়েছে তার সহকারী চাঁদাবাজদের সাথে। ঘটনা ফাঁস হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক, উপজেলার যশলং এলাকার এক ড্রেজার ব্যবসায়ী জানান, সাংবাদিক নামে মাসুম এসে আমার কাছ থেকে পাঁচ হাজার টাকা নিয়েছে। প্রশাসন জেল-জরিমানা করে, মাসুম চাঁদা না দিলে নিউজের ভয় দেখায়। আমরা দুই দিকেই ফাঁসছি।
সম্প্রতি বালিগাঁওয়ে একটি মারধরের ঘটনায় ও চাঁদাবাজী নামক ঘটনাকে কেন্দ্র করে অভিযুক্তের থেকে ৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয় এই কথিত মাসুম নামের সাংবাদিক। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, মাসুম ভূমি অফিসে দালালি, মাদক ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা এবং ভুয়া সাংবাদিক কার্ড দিয়ে অপরাধীদের সহযোগিতা করছেন। এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ওঠে, এই সব অভিযোগ সত্ত্বেও কেন টংগিবাড়ী প্রেসক্লাব ও প্রশাসন নীরব?
টংগিবাড়ীর মানুষ এখন দাবী করছে, মাসুম হাসান আফিফের বিরুদ্ধে দ্রুত ও স্বচ্ছ তদন্ত শুরু করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হোক, অন্যথায় অপরাধীরা আরও ঢিলেঢালা বোধ করবে।