ছাত্র-জনতার ওপর হামলাকারী পুরস্কৃত যুব মহিলা লীগ নেত্রী বহাল তবিয়তে

স্টাফ রিপোর্টার:
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে হামলায় অংশগ্রহণ করে পুরস্কৃত হয়েছেন বাড্ডা থানা যুবমহিলালীগ নেত্রী সারমিন সুতানা।
জুলাই ১৪ বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে দমাতে পেটোয়া পুলিশের সাথে যুক্ত হয় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের দলীয় নেতাকর্মী, ক্যাডাররা। এ ঘটনায় বিগত ১৯ জুলাই ২০ বাড্ডার মেকলে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের মূল রাস্তায় আন্দোলনরত অবস্থায় অমানবিক নির্যাতনের শিকার হন বাওড়া আলাতুন্নেছা হাই স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্র মোঃ রিফাত হাওলাদার।
গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তার ডান পা কেটে ফেলতে হয়। যে কারণে সারা জীবনের জন্য পঙ্গুত্ব বরণ করতে হয়েছে এই কিশোরকে।
এঘটনায় আওয়ামী লীগ পতনের পর ১২/১০/২০১৮ ইং তারিখ বাড্ডা থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। যার নম্বর-১৫। মামলায় আওয়ামী সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী-আসাদুজ্জামান খান, সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ঢাকা মহানগর যুব মহিলালীগের শিল্প ও সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক সারমিন সুলতানা ২৪ জনের নাম উল্লেখ এবং আরো ৫০/৬০ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
জানা যায় সারমিন ঘটনার পূর্ব থেকেই রামপুরায় বসবাস করতো এবং আওয়ামী রাজনীতিতে সক্রিয় ছিল।
কথিত আছে ফ্যাসিস্ট সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর সাথে তার সখ্যতার কারণে ঐ মন্ত্রীর সুপারিশেই তার চাকরি হয়। বর্তমানে সে বিআরটিসি ডিপু, নতুল্লাবাদ, বরিশালে জব সহকারী হিসেবে কর্মরত রয়েছে। আগস্টের পর সে চাকরিতে যোগদান করেছে বলে জানায় নথুল্লাবাদ বিআরটিসি বাস ডিপোর ম্যানেজার।
এ অবস্থায় হত্যা চেষ্টা মামলার আসামীর এমন পুরস্কারে চরম হতাশা প্রকাশ করেছে বাদির স্বজনরা।
তবে, নথুল্লাবাদ বিআরটিসি বাস ডিপোর ম্যানেজার মোঃ জামিল হোসেন, মুঠোফোনে জানান, ‘সারমিন ৫ আগস্টের পরে সেখানে জব সহকারী পদে যোগদান করেছেন। তিনি ফৌজদারি মামলার আসামি কি না? সে সম্পর্কে দাপ্তরিক ভাবে কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। তবে মামলার নথি দেখে নিয়মানুযায়ী ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে।’ বলে জানান এই ম্যানেজার।