বিশেষ প্রতিনিধি:
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করে কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ১২ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি)।

গ্রেফতাররা হলেন- তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানা আওয়ামী লীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক মো. হাবিবুর রহমান (৬০), নোয়াখালী ইউনিয়ন পরিষদ ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. জাহিদুল ইসলাম পারভেজ (৪৩), মিরপুর ১২নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ দপ্তর সম্পাদক মো. মজিবর রহমান (মেম্বার) (৪৭), আওয়ামী যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক জিয়াউল হক জিয়া (৪০), নবাব কাটরা ইউনিট যুবলীগগের সহ-সভাপতি মো. কলিম (৫২), কদমতলী থানার সাবেক শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান উজ্জ্বল, চাঁদপুর জেলা আওয়ামী মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি মো. রেদওয়ান খান বোরহান (৫০)।

এছাড়াও রয়েছেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সোহানুর রহমান (৩৩), অমর একুশে হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউল গনি কৌশিক (৩৪), কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এরশাদুর রহমান রিফাত (৩১), চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর পৌর সাবেক মেয়র ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর আলম (৫৭) ও ঢাকা মহানগর উত্তর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ইকবাল হোসেন পলাশ (৪২)।

মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ৪ আগস্ট মো. হাবিবুর রহমান ও জিয়াউল হক জিয়াকে গ্রেফতার করে ডিবি সাইবার বিভাগের একটি টিম। একইদিন মো. জাহিদুল ইসলাম পারভেজ ও মো. মজিবর রহমানকে গ্রেফতার করে ডিবি রমনা বিভাগের একটি টিম। ডিবি লালবাগ বিভাগ মো. কলিমকে গ্রেফতার করে।

অন্যদিকে হাবিবুর রহমান উজ্জ্বলকে সোমবার ফতুল্লা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি ওয়ারী বিভাগের টিম। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের একাধিক মামলা রয়েছে। মুগদা এলাকা থেকে মো. রেদওয়ান খান বোরহানকে গ্রেফতার করে ডিবি উত্তরা বিভাগ। সোমবার অপর এক অভিযানে সোহানুর রহমান, আতাউল গনি কৌশিক, এরশাদুর রহমান রিফাত ও মো জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে ডিবি তেজগাঁও বিভাগের টিম।

অন্যদিকে ৪ আগস্ট রাত সাড়ে ১১টায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে বাড্ডা থানাধীন ডিআইটি প্রজেক্ট এলাকা থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে সিটিটিসির স্পেশাল অ্যাকশন গ্রুপ। গ্রেফতারদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।