1:50 am, Tuesday, 9 September 2025

আর ভালো হলো না চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন

img 20250614 wa0028

 

স্টাফ রিপোর্টার:

আর ভালো হলো না কুমিল্লা কোতোয়ালি থানাধীন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন এমন মন্তব্য ফাঁড়িটির সকল অফিসার সহ থানাধীন সকল জনমনে।

চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ি আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন লাকসাম থানার ওসি তদন্ত হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লাকসাম থানাতেও তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল সকল অফিসারগণ। চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন গত ১৮/০৫/২০২৪ইং তারিখ জয়েন্ট করেই আইসির রুম এর পাশেই নিজের আরাম আয়েশের জন্য একটি চকি ফেলেছেন। তাও আবার দু”সাব ইন্সপেক্টর এর একটি অফিসিয়াল রুম দখল করে! চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িটি ছোট্ট একটি ফাঁড়ি এর ভিতরে পুলিশ সদস্যদের থাকার খুবি কষ্ট হয়। ঢালাও ভাবে চকি ফেলে তারা থাকেন। তার মাঝে আবার ৩টি টেবিলে কাজও করতে হয় অফিসারদের।

আইসির অফিসের পাশেই ছোট্ট একটি রুম দু”টি টেবিলে দু”জন সাব ইন্সপেক্টর বসে বিভিন্ন কাজ কর্ম করেন তাও নেই থানার সরকারি কোন কম্পিউটার ডিভাইস তারা নিজেদের লেফটফ কিংবা ডেক্সটপ এতে কাজ করতে প্রায় দেখা যেত জিজ্ঞাসা করলে অফিসারগণ বলতো ভাই একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বাহির থেকে লেখালে ৪ থেকে ৫/৭ হাজার টাকা দিতে হয় আবার বেশি কাজ হলে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকাও গুনতে হয়। তাই কষ্ট করে নিজেরাই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দেই। আর বেশি চাপ পরে গেলে বাহির থেকেও করাতে হয় তবে বাসা গিয়ে লিখতে গেলে স্ত্রী-বাচ্চাদের কারণে কি আর কাজ করা যায় ভাই? আর এখানে থাকলে তো অফিসের কাজটাও হলো, আমি নিজে প্রেজেন্ট থাকলাম আবার পাবলিকের কোন সমস্যা হলে সেটাও সমস্যা সমাধান করতে পারলাম। কিন্তু আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন নিজেই চকি ফেলে আয়েশ এর জায়গা তৈরি করেছেন এতে অফিসারদের কাজের সুবিধা কি পাচ্ছেন? এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে ফাঁড়িটির সকলের মাঝে।

ফাঁড়িটির সকলের অভিযোগ আইসি আনোয়ার হোসেন সকল দায়িত্ব তিনি এখন একাই পালন করছেন তিনি যে ভাবে বলেন সেই ভাবেই চলতে হচ্ছে। আর আইসি স্যার সকল কর্মরত পুলিশ অফিসারদেরকে তার কথা মতন চলতে বলে দিয়েছেন। তার এই কড়াকড়ি হুশিয়ারির কারণে অনেক সেবা দিতে বিগ্নর ঘটছে বলেও সকল পুলিশ সদস্যদের দাবি।

স্থানীয়দের অভিযোগ আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন দেখে দেখে সকলকে শুধু চায়ের দাওয়াত দেন প্রশ্নে জানতে চান প্রতিবেদক কেন দাওয়ার দেন সকলের একি উত্তর সেটা আপনি বুঝেনেন কেন দাওয়াত দেয় তার সাথে তো কারো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই কেন দাওয়াত দেয় সেটাও ভেঙ্গে বলা লাগবে ভাই?

বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও দেখা যায় বেশি আইসি আনোয়ার হোসেন এর কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান চায়ের দাওয়াত এর মাঝে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকেন। উক্ত বিষয় জানতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিনুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান উক্ত বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত বিষয় বক্তব্য জানতে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন”কে ফোন করলে তিনি জানান চকিটি টেবিল সরিয়ে ফেলেছলাম ঘটনা সত্য তবে এখন চকিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চায়ের দাওয়াতের বিষয় জানতে চাইলে বলেন আসলে আগের আইসির অনেক গুলি অভিযোগ জমা রয়েছে তাদেরকে ডাকা হয় আর আসলে তো চা খাওয়াতেই হয়। যারা অভিযুক্ত অভিযোগে তাদেরকে থানায় কেন চা খাওয়ানো হবে বিষয়টি চরম ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে আমাদেরকে।

অনেকেই বলছেন আর ভালো হলো না পুলিশ তবে আমরা বলব না এই প্রশ্ন সকল পুলিশ এর উপরে ছুড়ে ফেলা যাবে না। কেন না জাতি ও গোষ্ঠীর মধ্যে খারাপ মানুষ এক দু”জন থাকলেই পুরো জাতি বা গোষ্ঠীকে এই বিষয় দায়ী করা যাবে না। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অসংখ্য ভালো পুলিশ রয়েছে আমরা যদি বলি বেশির ভাগ ভালো পুলিশ অফিসার রয়েছেন তা হলে হয়তোবা ভুল কিছুই হবে না। আইন বলেন কিংবা যে কোন ধর্মীয় বিষয় বলেন শুধু মাত্র অপরাধীর শাস্তি হয়। কোন অপরাধীর জন্য পুরো জাতি কিংবা গোষ্ঠীকে অপরাধী বলা যায় না কিংবা সাজা আরোপও করা যায় না।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 11:57:59 am, Saturday, 14 June 2025
151 Time View

আর ভালো হলো না চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন

Update Time : 11:57:59 am, Saturday, 14 June 2025

 

স্টাফ রিপোর্টার:

আর ভালো হলো না কুমিল্লা কোতোয়ালি থানাধীন চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন এমন মন্তব্য ফাঁড়িটির সকল অফিসার সহ থানাধীন সকল জনমনে।

চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ি আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন লাকসাম থানার ওসি তদন্ত হিসেবে দীর্ঘদিন যাবত দায়িত্ব পালন করেছিলেন। লাকসাম থানাতেও তার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিল সকল অফিসারগণ। চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন গত ১৮/০৫/২০২৪ইং তারিখ জয়েন্ট করেই আইসির রুম এর পাশেই নিজের আরাম আয়েশের জন্য একটি চকি ফেলেছেন। তাও আবার দু”সাব ইন্সপেক্টর এর একটি অফিসিয়াল রুম দখল করে! চকবাজার পুলিশ ফাঁড়িটি ছোট্ট একটি ফাঁড়ি এর ভিতরে পুলিশ সদস্যদের থাকার খুবি কষ্ট হয়। ঢালাও ভাবে চকি ফেলে তারা থাকেন। তার মাঝে আবার ৩টি টেবিলে কাজও করতে হয় অফিসারদের।

আইসির অফিসের পাশেই ছোট্ট একটি রুম দু”টি টেবিলে দু”জন সাব ইন্সপেক্টর বসে বিভিন্ন কাজ কর্ম করেন তাও নেই থানার সরকারি কোন কম্পিউটার ডিভাইস তারা নিজেদের লেফটফ কিংবা ডেক্সটপ এতে কাজ করতে প্রায় দেখা যেত জিজ্ঞাসা করলে অফিসারগণ বলতো ভাই একটি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন বাহির থেকে লেখালে ৪ থেকে ৫/৭ হাজার টাকা দিতে হয় আবার বেশি কাজ হলে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকাও গুনতে হয়। তাই কষ্ট করে নিজেরাই তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করে আদালতে দেই। আর বেশি চাপ পরে গেলে বাহির থেকেও করাতে হয় তবে বাসা গিয়ে লিখতে গেলে স্ত্রী-বাচ্চাদের কারণে কি আর কাজ করা যায় ভাই? আর এখানে থাকলে তো অফিসের কাজটাও হলো, আমি নিজে প্রেজেন্ট থাকলাম আবার পাবলিকের কোন সমস্যা হলে সেটাও সমস্যা সমাধান করতে পারলাম। কিন্তু আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন নিজেই চকি ফেলে আয়েশ এর জায়গা তৈরি করেছেন এতে অফিসারদের কাজের সুবিধা কি পাচ্ছেন? এতে ক্ষোভ বিরাজ করছে ফাঁড়িটির সকলের মাঝে।

ফাঁড়িটির সকলের অভিযোগ আইসি আনোয়ার হোসেন সকল দায়িত্ব তিনি এখন একাই পালন করছেন তিনি যে ভাবে বলেন সেই ভাবেই চলতে হচ্ছে। আর আইসি স্যার সকল কর্মরত পুলিশ অফিসারদেরকে তার কথা মতন চলতে বলে দিয়েছেন। তার এই কড়াকড়ি হুশিয়ারির কারণে অনেক সেবা দিতে বিগ্নর ঘটছে বলেও সকল পুলিশ সদস্যদের দাবি।

স্থানীয়দের অভিযোগ আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন দেখে দেখে সকলকে শুধু চায়ের দাওয়াত দেন প্রশ্নে জানতে চান প্রতিবেদক কেন দাওয়ার দেন সকলের একি উত্তর সেটা আপনি বুঝেনেন কেন দাওয়াত দেয় তার সাথে তো কারো আত্মীয়তার সম্পর্ক নেই কেন দাওয়াত দেয় সেটাও ভেঙ্গে বলা লাগবে ভাই?

বিশেষ করে মাদক ব্যবসায়ীদের আনাগোনাও দেখা যায় বেশি আইসি আনোয়ার হোসেন এর কাছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জানান চায়ের দাওয়াত এর মাঝে আর্থিক লেনদেন হয়ে থাকেন। উক্ত বিষয় জানতে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মহিনুল ইসলাম এর সাথে কথা বললে তিনি জানান উক্ত বিষয় তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উক্ত বিষয় বক্তব্য জানতে চকবাজার পুলিশ ফাঁড়ির আইসি মোঃ আনোয়ার হোসেন”কে ফোন করলে তিনি জানান চকিটি টেবিল সরিয়ে ফেলেছলাম ঘটনা সত্য তবে এখন চকিটি সরিয়ে ফেলা হয়েছে। চায়ের দাওয়াতের বিষয় জানতে চাইলে বলেন আসলে আগের আইসির অনেক গুলি অভিযোগ জমা রয়েছে তাদেরকে ডাকা হয় আর আসলে তো চা খাওয়াতেই হয়। যারা অভিযুক্ত অভিযোগে তাদেরকে থানায় কেন চা খাওয়ানো হবে বিষয়টি চরম ভাবে ভাবিয়ে তুলেছে আমাদেরকে।

অনেকেই বলছেন আর ভালো হলো না পুলিশ তবে আমরা বলব না এই প্রশ্ন সকল পুলিশ এর উপরে ছুড়ে ফেলা যাবে না। কেন না জাতি ও গোষ্ঠীর মধ্যে খারাপ মানুষ এক দু”জন থাকলেই পুরো জাতি বা গোষ্ঠীকে এই বিষয় দায়ী করা যাবে না। পুলিশ সদস্যদের মধ্যে অসংখ্য ভালো পুলিশ রয়েছে আমরা যদি বলি বেশির ভাগ ভালো পুলিশ অফিসার রয়েছেন তা হলে হয়তোবা ভুল কিছুই হবে না। আইন বলেন কিংবা যে কোন ধর্মীয় বিষয় বলেন শুধু মাত্র অপরাধীর শাস্তি হয়। কোন অপরাধীর জন্য পুরো জাতি কিংবা গোষ্ঠীকে অপরাধী বলা যায় না কিংবা সাজা আরোপও করা যায় না।