স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীর মুগদায় কোটি টাকার বিনিময়ে এলাকায় বহাল রয়েছে আওয়ামী লীগ নেতারা। গত ৫ই আগস্ট আওয়ামিলীগ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করার পর দেশের প্রত্যেকটি এলাকার আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাকর্মীরা এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। জানা যায় বর্তমানে অনেক এলাকাতেই পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীরা নিজ নিজ এলাকায় আগমন করছেন।
এ বিষয়ে এলাকার লোকজন নানান রকমের মত প্রকাশ করেন, অনেকেই বলছেন কিছু সংখ্যক এলাকার নেতাকর্মীদের সাথে রফাদফার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব আওয়ামী লীগের দুর্নীতিবাজ নেতাদের আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। বিশেষ সূত্রে জানা যায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৬,৭, ৭১,৭২ নং ওয়ার্ডের মুগদা, মানিক নগর, মান্ডা এলাকার নেতাকর্মীরা এলাকায় আসার জন্য চেষ্টা করেছে। ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা শেখ সাহেব আলী মুগদা মানিকনগর এসে সেই আগের রূপে ফিরে গেছে বলে বিশেষ সূত্রে জানা যায়। আন্ডারাকাউন্ট থেকে চালিয়ে যাচ্ছে তার বিশেষ কার্যক্রম।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশ অনিচ্ছুক মুগদা এলাকার কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা সাংবাদিকদের বলেন মুগদা ৬ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া খান রাজা, মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ মোশারফ হোসেন বাহার, ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম, ৭১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামীম, ৭২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খাইরুল, মানিকনগর ভরসা হাউজিং এর চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের শেখ সাহেব আলী এরা সবাই এলাকার বিএনপি নেতাদের ম্যানেজ করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে এদের বিরুদ্ধে মুগদা মান্ডা মানিক নগর এলাকায় আওয়ামীলীগ সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে ভূমিদস্য, চাঁদাবাজী লুটপাট, মানুষ কে ভয় ভীতি প্রদর্শন করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে এদের বিরুদ্ধে এলাকার কেউ কিছু বলতে গেলে তাকেই পড়তে হতো চরম বিপদে এদের বিরুদ্ধে কোন সাংবাদিক নিউজ করলে তাকেও এদের সন্ত্রাসী বাহিনী হাতে নির্যাতনের শিকার হতে হত।
মোশারফ হোসেন বাহার মুগদা থানা এলাকায় সব ধরনের অপকর্মের গডফাদার ছিলেন, তিনি গোলাম কিবরিয়া খান রাজা ওরফে ফ্রিডম রাজার গডফাদার হিসেবে পরিচিত ছিল। মুগদা থানাধীন ৬নাংও ৭নাং ওয়ার্ড এলাকায় তার নির্দেশে ভূমি দস্য , চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসা সহ, এলাকার অন্যের মালিকাধীন জমি ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে জবরদখল করে বিক্রি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন মোশারফ হোসেন বাহার।
প্রশাসনে অনেক অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে মুগদা ৫০০ শস্য হাসপাতাল সহ গোটা এলাকায় ক্রাশের রাজত্ব কায়েম করেছেন। সাধারণ মানুষ তাদের ভয়ে কোন প্রতিবাদ করতে সাহস পায় নাই। ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদা না পেয়ে কৃষিবিদ শুক্কুর হত্যাকান্ডের নেপথ্য এই মোশারফ হোসেন বাহার। অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আব্দুস শুক্কুর কে চাহিদা মতো ২৫ লক্ষ টাকা চাঁদার জন্য মতিঝিলে বাহারের অফিসে ডেকে নেয়া হয়।
একপর্যায়ে কৃষিবিদ শুক্কুর আংশিক টাকা দিলেও পুরো টাকা দিতে অপরগতা প্রকাশ করলে তাকে গালিগালাজ করে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। এর কয়েকদিন পরই উক্ত কৃষিবিদ কে মানিকনগর বালুর মাঠ এলাকায় নির্মমভাবে হত্যা করে বাহারের সিন্টিকেট।
এ বিষয়ে মুগদা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হলেও রহস্যজনকভাবে চার্জশিট থেকে মোশারফ হোসেন বাহারের নামটি কেটে দেওয়া হয়। তার কমান্ডের সদস্যরা হল (১) ৭১ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর খায়রুজ্জামান (খাইরুল)(২) বিপ্লব হোসেন (৩) আনোয়ার হোসেন (৪) গোলাম কিবরিয়া খান রাজা ওরফে মুগদার সোহরাব হত্যাকাণ্ডের মূল আসামী ফ্রিডম রাজা (৫) ৭২ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শফিকুল আলম শামীম, ও ৬ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুগদা এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন গোলাম কিবরিয়া খান সেন্টু ( ফ্রিডম রাজা) থাকাকালীন অবস্থায় তার অত্যাচারে মুগদা বাসি রীতিমত অতিষ্ঠ হয়েছিলো। মুগদা ৫০০ শস্য হাসপাতালটি তার নিয়ন্ত্রণে নিয়েছিল নিয়োগ বাণিজ্য টেন্ডার বাণিজ্য সবকিছুই ছিল তার নিজের কব্জায় আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকাকালীন সময়ে মুগদা হাসপাতাল থেকে কামিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।
বিস্তারিত আসছে পরবর্তী নিউজে.!
যোগাযোগ: সম্পাদক ও প্রকাশক: মো: রাসেল সরকার, অফিস: ৩৯/৩, মানিক নগর, পুকুর পাড়, মুগদা, ঢাকা - ১২০৩, ফোন: +৮৮০১৭২৬৯১৫৫২৪, +৮৮০১৯৭৬৯১৫৫২৪, ইমেইল: Sheikhmdraselbd@gmail.com, www.dailydigantapratidin.com
2025 © All rights reserved © দৈনিক দিগন্ত প্রতিদিন