দেবিদ্বারে বজ্রপাতে প্রাণ গেল আলেয়া বেগমের, আহত স্বামী ও দুই সন্তান

দেবিদ্বার (কুমিল্লা) নিজস্ব প্রতিবেদক:
কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় বজ্রপাতে আলেয়া বেগম (৪০) নামে এক নারীর মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। তার সঙ্গে থাকা স্বামী মো. নজরুল ইসলাম (৪৫) ও জমজ দুই ছেলে মো. নাজিম (১৪) ও মো. আল-আমিন (১৪) বজ্রাঘাতে গুরুতর আহত হয়েছেন। বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেল ৪টার দিকে রাজামেহার ইউনিয়নের নোয়াপাড়া গ্রামের একটি ফসলি জমিতে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নজরুল ইসলাম তার স্ত্রী ও দুই ছেলেকে নিয়ে পারিবারিক ফসলি জমিতে ধান কাটতে গিয়েছিলেন। ধান কেটে মাড়াই করার সময় হঠাৎ কালো মেঘে চারদিক অন্ধকার হয়ে আসে। বজ্রসহ বৃষ্টির শুরুতেই হঠাৎ এক প্রচণ্ড শব্দে বজ্রপাত হয়। বজ্রপাতের আঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান আলেয়া বেগম। তার স্বামী ও দুই ছেলে বজ্রাঘাতে ছিটকে পড়ে আহত হন।
দুর্ঘটনার পর স্থানীয়রা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহতদের উদ্ধার করে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে তারা সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। আহতদের মধ্যে নজরুল ইসলামের অবস্থা কিছুটা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে হাসপাতাল সূত্র।
নিহত আলেয়া বেগম নোয়াপাড়া গ্রামের হাসেম মেম্বার বাড়ির নজরুল ইসলামের স্ত্রী। পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি অত্যন্ত সহজ-সরল ও পরিশ্রমী নারী ছিলেন। সংসার চালাতে স্বামীর সঙ্গে সমানভাবে কৃষিকাজে অংশ নিতেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, এই পরিবারটি খুবই পরিশ্রমী এবং গ্রামের সবার সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রেখে চলতো।
দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুদ্দীন মো. ইলিয়াছ বলেন, “ঘটনাটি আমরা জেনেছি। একজন নারী বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন এবং তিনজন আহত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
উল্লেখ্য, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে বজ্রপাতে প্রাণহানির সংখ্যা বাড়ছে। বিশেষ করে খোলা মাঠে কৃষিকাজের সময় বজ্রপাতের ঝুঁকি বেশি থাকে। তাই কৃষকদের প্রতি সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
																			
																		
								                                        



















