9:48 pm, Tuesday, 9 September 2025

অতর্কিত হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা.!

img 20250403 wa0011

রানা মন্ডল-নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানাধীন ৫ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত চল্লিশ পাড়া গ্রামে আবারো অতর্কিত হামলার মত ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ৩১/০৩/২০২৫ ইং তারিখ রোজ সোমবার ঈদের দিন রাতে চরপাড়া অধীনস্থ নিচপাড়া গ্রামের সবার পরিচিত মুখ, সাধারণ জনগণের আতঙ্কের আরেক নাম মাদক ব্যবসায়ী ও স্হানীয় সন্ত্রাসীদের গডফাদার তোফাজ্জেল  এর নেতৃত্বে এক থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ৪০ পাড়ার বসবাসরত সাধারণ জনগণের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে অজস্র গুলি বর্ষণ করেন, এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে স্থানীয়দের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর সহ লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটান।

হামলাকারীরা হলেন নিচপাড়া গ্রামের আলীজান এর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন(৪৫), মোঃ রেজু মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০)সাইদুল ইসলাম (৩৩),মোঃ আক্কাস আলীর ছেলে রেজু, রনি,জনি মো: ইসমাইল হোসেন এর ছেলে ওয়ারল্লেস(৪৫)লিটন(২৮)মৃত কাইম উদ্দিন এর ছেলে সাহাবুল সহ আরো অনেকেই এই হামলায় জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উক্ত হামলার নেতৃত্বে ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুসর ও চৌধুরী পরিবারের একান্তই আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব তোফাজ্জল হোসেন। অতর্কিত হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় তোফাজ্জল হোসেনের হুকুমে শরিফুল ইসলাম, সাইদুল, রনি, জনি, ওয়াল্লেস, লিটন সহ আরো অনেকেই মৃত খেদু মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম এর বাড়িতে হামলা করেন হামলাকারীরা, শফিকুল ইসলাম এর ঘরে বেঁধে রাখা চারটি এড়ে ষাঁড় গরু দড়ি কেটে ফাঁকা গুলি করে, মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে  ছিনিয়ে নিয়ে যাই যার মূল্য আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা। একই ঘটনায় আশরাফুল মন্ডল এর বাড়ি থেকে তিনটি এড়ে ষাঁড় গরু যার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা। ছোটন ও মমিন শফিকুল ইসলাম এর বড় ভাই এর বাড়ি হইতে ১১০ সিসি ডিসকভার একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাই যাহার মূল্য এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

ওই সময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে শরিফুল এর হাতে থাকা আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে সাধারণ জনগণ ঘটনাস্থল থেকে জীবন বাঁচানোর তাগিদে পালিয়ে যাই। তোফাজ্জলের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে থাকলে তোফাজ্জল এর সঙ্গী ওরা বেশ কয়েকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর চালাতে থাকেন। প্রাথমিক সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে যে সকল বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে সে সকল অস্ত্রগুলো ছিল দেশীয় অস্ত্র। রামদা, তরবারি, সুরকি ফালা, চাপাতির মত দেশীয় অস্ত্র। উক্ত ঘটনায় গুরুতর আহত আশরাফুল মন্ডল এর শরীরে গুলি লাগার চিহ্ন পাওয়া গেছে, আশরাফুল মন্ডল গুরুতর অবস্থায় দৌলতপুর উপজেলা ৫০ শয্যা  বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।

সন্ত্রাসীরা আশরাফুল মন্ডলের প্রতিবেশী সাব্বির, বাচ্চু, শাহাব উদ্দিন কে কলম হালসানা,সজল,অন্তরের হাতে থাকা ফালা দিয়া পায়ে সহ দেহের বিভিন্ন স্হানে আঘাত করিলে তারা রক্তাক্ত জখম হয়।

স্থানীয়রা আরো বলেন তোফাজ্জেল বাহিনী তাদের অপকর্মে সফল হওয়ার পরে জয় বাংলা জয় বাংলা  স্লোগান দিতে দিতে আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে উড়ন্ত ফাঁকা গুলি করতে করতে ছিনতাইকৃত গরু,মোটরসাইকেল সহ দামিও জিনিসপত্র লইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সাধারণ জনগণ দাবি করেন আমরা শান্তি শৃঙ্খলার সহিত জীবন যাপন করতে চাই, আমাদেরও বাঁচতে ইচ্ছে করে, আমরাও বাঁচতে চাই আমরা এই অতর্কিত হামলার সঠিক বিচার দাবি করছি। তবে উক্ত অতর্কিত হামলার পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ সাক্ষী  স্থানীয় একজন বিজিবি সদস্য তিনি বলেন ১ থেকে দেড়শ লোক বড় বড় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাই ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম ওখানে আমার কোন কিছুই করার ছিল না, গরু গুলো নিয়ে গেছে ওইগুলো উদ্ধার করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

যদিও কাজটি আমাদের নয়, উক্ত  বিজিবি সদস্য এক সময় সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়েন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দৌলতপুর থানার এসআই পলাশ,এসআই আওয়ালের উপস্থিতিতে ওই বিজিবি সদস্যকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে উদ্ধার করে তাকে তার কর্মস্থলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নাম না প্রকাশ করা একজন ব্যক্তি বলেন যেভাবে গুলি চালাচ্ছিল তাতে মনে হচ্ছিল দেশে যুদ্ধ বেধেছে, তোফাজ্জল বাহিনী ক্ষমতার বলে মনি হালসানা দের সাথে নিয়ে আমাদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করবে এমনই উদ্দেশ্য তাদের।

আমরা এর নিষ্পত্তি চাই। উক্ত হামলায় ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও  উক্ত ঘটনায় গরুর খামারও পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে, এখন স্থানীয় খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ তাকিয়ে রয়েছে প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকে, তারা চাই এই নিন্দিত হামলার বিচার সঠিক সুরাহা। ফিরিয়ে পেতে চাই তাদের অনেক কষ্টে অর্জিত ছিনিয়ে নেওয়া সম্পদ গুলো। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর থানায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 04:35:29 am, Thursday, 3 April 2025
108 Time View

অতর্কিত হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা.!

Update Time : 04:35:29 am, Thursday, 3 April 2025

রানা মন্ডল-নিজস্ব প্রতিনিধি:
কুষ্টিয়া দৌলতপুর থানাধীন ৫ নং রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন অন্তর্ভুক্ত চল্লিশ পাড়া গ্রামে আবারো অতর্কিত হামলার মত ঘটনা ঘটেছে বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।

গত ৩১/০৩/২০২৫ ইং তারিখ রোজ সোমবার ঈদের দিন রাতে চরপাড়া অধীনস্থ নিচপাড়া গ্রামের সবার পরিচিত মুখ, সাধারণ জনগণের আতঙ্কের আরেক নাম মাদক ব্যবসায়ী ও স্হানীয় সন্ত্রাসীদের গডফাদার তোফাজ্জেল  এর নেতৃত্বে এক থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী ৪০ পাড়ার বসবাসরত সাধারণ জনগণের উপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে অজস্র গুলি বর্ষণ করেন, এবং দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে স্থানীয়দের বেশ কয়েকটি ঘরবাড়ি ভাঙচুর সহ লুটপাটের মতো ঘটনা ঘটান।

হামলাকারীরা হলেন নিচপাড়া গ্রামের আলীজান এর ছেলে তোফাজ্জল হোসেন(৪৫), মোঃ রেজু মন্ডলের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৪০)সাইদুল ইসলাম (৩৩),মোঃ আক্কাস আলীর ছেলে রেজু, রনি,জনি মো: ইসমাইল হোসেন এর ছেলে ওয়ারল্লেস(৪৫)লিটন(২৮)মৃত কাইম উদ্দিন এর ছেলে সাহাবুল সহ আরো অনেকেই এই হামলায় জড়িত ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,উক্ত হামলার নেতৃত্বে ছিলেন ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুসর ও চৌধুরী পরিবারের একান্তই আস্থাভাজন ব্যক্তিত্ব তোফাজ্জল হোসেন। অতর্কিত হামলাটি ছিল পূর্বপরিকল্পিত এমনটাই মনে করছেন স্থানীয়রা।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানা যায় তোফাজ্জল হোসেনের হুকুমে শরিফুল ইসলাম, সাইদুল, রনি, জনি, ওয়াল্লেস, লিটন সহ আরো অনেকেই মৃত খেদু মন্ডলের ছেলে শফিকুল ইসলাম এর বাড়িতে হামলা করেন হামলাকারীরা, শফিকুল ইসলাম এর ঘরে বেঁধে রাখা চারটি এড়ে ষাঁড় গরু দড়ি কেটে ফাঁকা গুলি করে, মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে  ছিনিয়ে নিয়ে যাই যার মূল্য আনুমানিক ৭ লক্ষ টাকা। একই ঘটনায় আশরাফুল মন্ডল এর বাড়ি থেকে তিনটি এড়ে ষাঁড় গরু যার মূল্য আনুমানিক ৬ লক্ষ টাকা। ছোটন ও মমিন শফিকুল ইসলাম এর বড় ভাই এর বাড়ি হইতে ১১০ সিসি ডিসকভার একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যাই যাহার মূল্য এক লক্ষ ১০ হাজার টাকা।

ওই সময় স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে শরিফুল এর হাতে থাকা আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি চালালে সাধারণ জনগণ ঘটনাস্থল থেকে জীবন বাঁচানোর তাগিদে পালিয়ে যাই। তোফাজ্জলের হাতে থাকা অস্ত্র দিয়ে গুলি করতে থাকলে তোফাজ্জল এর সঙ্গী ওরা বেশ কয়েকজনের বাড়িঘর ভাঙচুর চালাতে থাকেন। প্রাথমিক সূত্রে ধারণা করা হচ্ছে যে সকল বাড়িঘর ভাঙচুর করা হয়েছে সে সকল অস্ত্রগুলো ছিল দেশীয় অস্ত্র। রামদা, তরবারি, সুরকি ফালা, চাপাতির মত দেশীয় অস্ত্র। উক্ত ঘটনায় গুরুতর আহত আশরাফুল মন্ডল এর শরীরে গুলি লাগার চিহ্ন পাওয়া গেছে, আশরাফুল মন্ডল গুরুতর অবস্থায় দৌলতপুর উপজেলা ৫০ শয্যা  বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি রয়েছে বলে জানা গেছে।

সন্ত্রাসীরা আশরাফুল মন্ডলের প্রতিবেশী সাব্বির, বাচ্চু, শাহাব উদ্দিন কে কলম হালসানা,সজল,অন্তরের হাতে থাকা ফালা দিয়া পায়ে সহ দেহের বিভিন্ন স্হানে আঘাত করিলে তারা রক্তাক্ত জখম হয়।

স্থানীয়রা আরো বলেন তোফাজ্জেল বাহিনী তাদের অপকর্মে সফল হওয়ার পরে জয় বাংলা জয় বাংলা  স্লোগান দিতে দিতে আগ্নেয় অস্ত্র দিয়ে উড়ন্ত ফাঁকা গুলি করতে করতে ছিনতাইকৃত গরু,মোটরসাইকেল সহ দামিও জিনিসপত্র লইয়া ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। সাধারণ জনগণ দাবি করেন আমরা শান্তি শৃঙ্খলার সহিত জীবন যাপন করতে চাই, আমাদেরও বাঁচতে ইচ্ছে করে, আমরাও বাঁচতে চাই আমরা এই অতর্কিত হামলার সঠিক বিচার দাবি করছি। তবে উক্ত অতর্কিত হামলার পরোক্ষ এবং প্রত্যক্ষ সাক্ষী  স্থানীয় একজন বিজিবি সদস্য তিনি বলেন ১ থেকে দেড়শ লোক বড় বড় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালাই ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত ছিলাম ওখানে আমার কোন কিছুই করার ছিল না, গরু গুলো নিয়ে গেছে ওইগুলো উদ্ধার করতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।

যদিও কাজটি আমাদের নয়, উক্ত  বিজিবি সদস্য এক সময় সাধারণ জনগণের তোপের মুখে পড়েন, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা দৌলতপুর থানার এসআই পলাশ,এসআই আওয়ালের উপস্থিতিতে ওই বিজিবি সদস্যকে সাধারণ জনগণের কাছ থেকে উদ্ধার করে তাকে তার কর্মস্থলে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নাম না প্রকাশ করা একজন ব্যক্তি বলেন যেভাবে গুলি চালাচ্ছিল তাতে মনে হচ্ছিল দেশে যুদ্ধ বেধেছে, তোফাজ্জল বাহিনী ক্ষমতার বলে মনি হালসানা দের সাথে নিয়ে আমাদের দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য করবে এমনই উদ্দেশ্য তাদের।

আমরা এর নিষ্পত্তি চাই। উক্ত হামলায় ধারনা করা হচ্ছে প্রায় ২০ থেকে ২২ লক্ষ টাকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ভুক্তভোগীরা। এছাড়াও  উক্ত ঘটনায় গরুর খামারও পুড়িয়ে দেওয়ার মত ঘটনা ঘটেছে, এখন স্থানীয় খেটে খাওয়া সাধারণ জনগণ তাকিয়ে রয়েছে প্রশাসনিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দিকে, তারা চাই এই নিন্দিত হামলার বিচার সঠিক সুরাহা। ফিরিয়ে পেতে চাই তাদের অনেক কষ্টে অর্জিত ছিনিয়ে নেওয়া সম্পদ গুলো। উক্ত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দৌলতপুর থানায় শফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে একটি এজাহার দায়ের করেছে বলে জানা গেছে।