টাঙ্গাইল বনের জমি উদ্ধারের সময় মাইকিং করে কর্মকর্তা কর্মচারীদের আটক

মো: ফারুক আহমেদ ঘাটাইল (টাঙ্গাইল):
টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ধলাপাড়া ইউনিয়নের আষাড়িয়া চালা অবৈধ দখলে থাকা বন বিভাগের জমি উদ্ধার করতে গিয়ে বন বিভাগ ও স্থানীয় গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ৯ বন কর্মকর্তা। গতকাল ৩০ জানুয়ারী রোজ বৃহস্পতিবার এ ঘটনা ঘটে। এ মসজিদে মাইক মেরে বন কর্মকর্তাদের মাদ্রসার ভিতরে আটক করে নির্যাতন করে।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) সাবরিন আক্তার সহ আইন শৃংলাকারী রক্ষাকারী বাহিনী গিয়ে আহত উদ্ধা করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
সংঘর্ষে আহত আট বন কর্মকর্তা-কর্মচারী টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতাল ও ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।ধলাপাড়া সদর বিট অফিসার আ. কুদ্দুছ, ফরেস্ট গার্ড আশরাফুল ইসলাম, মাসুদ এবং শরিফ মিয়া টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।অপরদিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন ফরেস্ট গার্ড জাহাঙ্গীর, গালিভ, আবু বকর ও মালি হান্নান।
ঘাটাইল ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ ওয়াদুদুর রহমান ও এলাকাবাসী জানান বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা আশারিয়াচালা, দিঘুলিয়া চালা বনবিভাগের জায়গায় নতুন ভবনের নির্মাণকাজ চলাকালে ধলাপাড়া সদর বন বিট কর্মকর্তা আব্দুল কুদ্দুসের নেতৃত্বে বন বিভাগের ৮ স্টাফ নির্মাণ কাজ বন্ধের জন্য যান। সেসময় গ্রামবাসী মাইকে ঘোষণা দিলে এলাকার মানুষ একত্রিত হয়ে তাদের ওপর হামলা করে।
আশারিয়া চালা এলাকার বাসিন্দা ব্যবসায়ী রুহুল আমিন বলেন, মাদিনাতুল উলুম রহমানিয়া নামক একটি মাদ্রাসা বন বিভাগের মৌখিক অনুমতি নিয়ে ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন। বৃহস্পতিবার নির্মাণাধীন সেই ভবন উচ্ছেদ করতে গিয়ে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্রকে মারধর করেন বন বিভাগের লোকজন। এজন্য জনরোষের শিকার হন তারা।
ধলাপাড়া রেঞ্জ কর্মকর্তা ওয়াদুদুর রহমান জানান বণ বিভাগের দায়িত্ব বনের জায়গা উদ্ধার করা মানব সম্পদ বণ থাকুক আমারা চাই ।বিতর্কিত জায়গায় ধর্ম ধর্মকে ব্যবহার করা ঠিক না।বুঝিয়ে নেওয়া যেতো কিন্তু এ ভাবে কর্মকর্তা কর্মচারী আটক করা ঠিক হয়নি।
ঘাটাইল থানার অফিসার্স ইনচার্জ( ওসি) রকিবুল ইসলাম বলেন, বনের জমিতে উচ্ছেদ করতে গিয়ে বনবিভাগের কর্মকর্তারা মারধরের শিকার হন। খবর পেয়ে আমরা তাদের উদ্ধার করি।