9:50 pm, Tuesday, 9 September 2025

আটকে রাখা ১০টি বাস মধ্যরাতে ছাড়লেন ছাত্রদল নেতা–কর্মীরা

screenshot 20250131 124408

 

বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১০টি বাস আটকে রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতার আত্মীয়ের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১০টি বাস আটকে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে ‘ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে’ মধ্যরাতে বাসগুলো ছেড়ে দেন তাঁরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিক থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো একে একে আটকাতে শুরু করেন ছাত্রদল নেতা–কর্মীরা। পরে রাত ১২টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাস আটকে রাখার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা। তিনি নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে সেলিম রেজার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আরও কয়েকজন নেতা–কর্মী ছিলেন। তবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

সেলিম রেজা বলেন, আশুলিয়ার বলীভদ্র এলাকায় বৃহস্পতিবার তাঁর আত্মীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মুরাদের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেন রাজধানী পরিবহনের একটি বাস। প্রাইভেট কারের লুকিং গ্লাসসহ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে তারা কয়েকজন রাজধানী পরিবহনের দুটি বাস বিশমাইল গেইটে সড়কের এক পাশে সরিয়ে রাখেন। ক্ষতিপূরণের জন্য বাসের লাইনম্যানকে ফোন করা হলে, তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

সেলিম রেজা বলেন, ‘কয়েকটি বাস সড়কের একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। কোনো বাস আটক করা হয়নি। পরে বাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে আটকে রাখা একটি বাসের চালক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার-পাঁচজন এসে বাস থামিয়ে, চাবি নিয়ে চলে যায়। এ সময় বাসগুলো রাস্তায় আড়াআড়ি করে রাখতে বলে।’

এ বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় মুঠোফোনে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। এখনই ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের পাঠাচ্ছি।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 06:54:00 am, Friday, 31 January 2025
164 Time View

আটকে রাখা ১০টি বাস মধ্যরাতে ছাড়লেন ছাত্রদল নেতা–কর্মীরা

Update Time : 06:54:00 am, Friday, 31 January 2025

 

বিশেষ প্রতিনিধি:
ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১০টি বাস আটকে রাখেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেতার আত্মীয়ের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেওয়ার অভিযোগে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে চলাচলকারী রাজধানী পরিবহনের অন্তত ১০টি বাস আটকে রাখেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা-কর্মী। পরে ‘ক্ষতিপূরণের আশ্বাসে’ মধ্যরাতে বাসগুলো ছেড়ে দেন তাঁরা।

গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিক থেকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশমাইল ফটক সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের আরিচাগামী লেনে বাসগুলো একে একে আটকাতে শুরু করেন ছাত্রদল নেতা–কর্মীরা। পরে রাত ১২টার দিকে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বাস আটকে রাখার ঘটনায় নেতৃত্ব দেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সেলিম রেজা। তিনি নৃবিজ্ঞান বিভাগের ৪০তম ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনাস্থলে সেলিম রেজার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আরও কয়েকজন নেতা–কর্মী ছিলেন। তবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

সেলিম রেজা বলেন, আশুলিয়ার বলীভদ্র এলাকায় বৃহস্পতিবার তাঁর আত্মীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩১ ব্যাচের সাবেক শিক্ষার্থী মুরাদের প্রাইভেট কারে ধাক্কা দেন রাজধানী পরিবহনের একটি বাস। প্রাইভেট কারের লুকিং গ্লাসসহ কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ কারণে তারা কয়েকজন রাজধানী পরিবহনের দুটি বাস বিশমাইল গেইটে সড়কের এক পাশে সরিয়ে রাখেন। ক্ষতিপূরণের জন্য বাসের লাইনম্যানকে ফোন করা হলে, তিনি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন।

সেলিম রেজা বলেন, ‘কয়েকটি বাস সড়কের একপাশে সরিয়ে রাখা হয়েছিল। কোনো বাস আটক করা হয়নি। পরে বাস কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দিলে বাসগুলো ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।’ এর আগে আটকে রাখা একটি বাসের চালক জাহিদ হাসান বলেন, ‘আমরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই চার-পাঁচজন এসে বাস থামিয়ে, চাবি নিয়ে চলে যায়। এ সময় বাসগুলো রাস্তায় আড়াআড়ি করে রাখতে বলে।’

এ বিষয়ে জানতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সদস্যসচিব ওয়াসিম আহমেদের মুঠোফোনে কয়েকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর এ কে এম রাশিদুল আলম বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় মুঠোফোনে বলেন, আমি বিষয়টি সম্পর্কে জানি না। এখনই ঘটনাস্থলে নিরাপত্তা শাখার কর্মকর্তাদের পাঠাচ্ছি।