9:53 pm, Tuesday, 9 September 2025

১৫ মণ লবণে মিলছে ১ বস্তা চাউল, দুশ্চিন্তায় চাষীরা

img 20250129 wa0010

আজিজুলহক আজিজ-কুতুবদিয়া:

উৎপাদন খরচ উঠছে না, দিশেহারা লবণচাষিরা। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হলেও লবণের দাম ঠেকেছে তলানিতে। মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম এতই কমেছে যে ১৫ মণ লবণের বিনিময়ে কোনো রকমে এক বস্তা চাল পাওয়া যায়। লবণের দাম এ বছর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। অন্যদিকে দাম বেড়েছে চালসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।

বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামের চালের কেজিও ৬০ টাকা। সে হিসাবে ৫০ কেজির এক বস্তা চালের দাম ৩ হাজার  টাকা। মাঠ পর্যায়ে লবণ উৎপাদনকারীরা ১৫ মণ লবণ বিক্রি করে পাচ্ছেন মাত্র ৩ হাজার  টাকা। অর্থাৎ এক বস্তা চালের বিনিময় হচ্ছে ২০ মণ উৎপাদিত লবণ।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে প্রতি কানি (৪০ শতক) জমিতে এক মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয় ৩০০ মণ।

চাষিরা  প্রতি কানি জমিতে লাগিয়ত খরচ করেন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ তৈরি করতে ৫থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। পানি সেচ খরচ ১০থেকে ১২ হাজার টাকা, পলিথিন খরচ ৭থেকে ৮ হাজার টাকা এবং লবণ উৎপাদনের শ্রমিক ৫০থেকে ৬০হাজার টাকা সহ সব মিলিয়ে কানি প্রতি ১লাখ ২০হাজার থেকে দেড় লাখ  খরচ করে। এতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লবণ উৎপাদিত হবে ৩০০শ থেকে ৩৫০ মণ। প্রতি মণ লবণ উৎপাদন খরচ ৩৫০ টাকা। প্রতি মণ লবণের বর্তমান বিক্রয় মূল্য ২০০ টাকা। সে হিসেবে  কানি প্রতি  জমিতে লবণ উৎপাদন করে তাকে লোকসান দিতে হবে ৬০থেকে ৭০ হাজার টাকা।

জমির ইজারামূল্য বাড়ায় হুমকির মুখে লবণ চাষ:

জমির মালিকদের কাছে জিম্মি লবণচাষিরা। বছর বছর লবণ চাষের জমির ইজারা মূল্য বাড়ানো হচ্ছে, এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অন্যান্য খরচ। এতে লবণের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, লবণশিল্পের স্বার্থে জমির ইজারা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকা প্রয়োজন। প্রতি বছর বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। সরকার চাইলে জমির ইজারা দর নির্ধারণ করে দিতে পারে। এতে লবণশিল্প উপকৃত হবে। বর্তমানে এলাকাভেদে প্রতি একর জমি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, লবণ চাষের জমির খাজনা সবচেয়ে বেশি কুতুবদিয়ায় । এখানে প্রতি একর জমির খাজনা ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কারণ এখানের সমুদ্রের পানিতে লবণাক্ততা বেশি হওয়ায় লবণ উৎপাদনও অন্যান্য এলাকা থেকে বেশি হয়। কুতুবদিয়ায় লবণ চাষের জমিতে চিংড়ি চাষ হয় না। ফলে তারা মৌসুমে আগেভাগে লবণ চাষে নেমে পড়েন। কক্সবাজারসহ আশপাশের জমিগুলোতে চিংড়ির চাষও হয়। ফলে কুতুবদিয়ার চেয়ে বিলম্বে লবণ চাষ শুরু হয়।

এদিকে, মৌসুমের সময়ে লবণের ন্যায্যমূল্য পান না চাষিরা। প্রতি মণ লবণ ১৭০ থেকে ২০০ টাকার বেশি পাওয়া যায় না। মৌসুমের সময় মধ্যস্বত্ব্বভোগীরা সুবিধা নিয়ে নেন। আর্থিক সংকটে মৌসুমের সময়ে অধিকাংশ চাষি লবণ বিক্রি করে ফেলেন। যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে, তারা মাটির নিচে গর্ত করে লবণ মজুত করে রাখেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর চাহিদার তুলনায়  লবণ উৎপাদন বেশি হওয়ায় ।  ফলে  মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম আগের চেয়ে কমেছে। বর্তমানে চাষি পর্যায়ে নতুন লবণ প্রতি মণ ২০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এছাড়াও গত বছরের উৎপাদিত লবণ ১০ হাজার মে. টন এখনও বিক্রি করতে পারেনি চাষীরা।

বিসিকের (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প) তথ্যমতে, গত মৌসুমে কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদনের জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৭শ ৫৮ দশমিক ৪৮ একর। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লবণের চাহিদা ছিল ২৪ লাখ ৩৫ হাজার মে. টন। এরমধ্যে লবণ উৎপাদিত হয় ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮শ ৯০ মে. টন। যা বিগত ৬৩ বছরের লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল।

লবণ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি চাষিরা:

কুতুবদিয়ায়  নতুন লবণ  উৎপাদনের ধুম পড়েছে।  দালাল সিন্ডিকেট করে লবণের ন্যায মূল্য দেয় না লবণ চাষিদের।জেলার পাশ্ববর্তি উপকুলে  মাঠে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। অথচ কুতুবদিয়ায়  এসব লবণ মাঠে চাষিদের উক্ত দালাল সিন্ডিকেট বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নয় ছয় করে তাদেরকে সাদা লবণ মণ প্রতি দাম দিচ্ছেন ১৮০থেকে ২’শ থেকে  টাকা পর্যন্ত। জমির লাগিয়তও দ্বিগুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লবণ চাষি জানান, উক্ত দালাল সিন্ডিকেটের কাছে এসব মাঠের লবণ চাষিরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী উপকূলীয়  এলাকা চকরিয়া,বাশখালী, লবণ মাঠে  লবণ বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ২’শ ৫০ থেকে সাড়ে ২’শ ৬০ টাকায়। অথচ কুতুবদিয়া-  লবণ মাঠে তার উল্টো,জমির লাগিয়তও দ্বিগুন। সরেজমিন  উপজেলার লবণ মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার একর জমিতে চাষিরা সমুন্দ্রের লোনা পানি ঢুকিয়ে সূর্য তাপে সেই পানি শুকিয়ে উৎপাদন করছেন সাদা সোনা খ্যাত লবণ। বিকেলে সেই লবণ চাষিরা ঘরে তুলছেন। অথচ মাথার ঘাম পাঁয়ে পেলে কষ্টে অর্জিত লবণের সঠিক দাম পাচ্ছেনা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প (বিসিক) কুতুবদিয়ার লবণ প্রদর্শনীর পরিদর্শক জাকের হোছাইন বলেন,কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদনের জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৭শ ৫৮ দশমিক ৪৮ একর।  সিংহভাগ জমিতে লবণ উৎপাদন শুরু করেছে চাষীরা। চলতি মৌসুমে দেশের লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন।

Tag :

Please Share This Post in Your Social Media

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

Update Time : 05:14:04 am, Wednesday, 29 January 2025
135 Time View

১৫ মণ লবণে মিলছে ১ বস্তা চাউল, দুশ্চিন্তায় চাষীরা

Update Time : 05:14:04 am, Wednesday, 29 January 2025

আজিজুলহক আজিজ-কুতুবদিয়া:

উৎপাদন খরচ উঠছে না, দিশেহারা লবণচাষিরা। বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আকাশচুম্বী হলেও লবণের দাম ঠেকেছে তলানিতে। মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম এতই কমেছে যে ১৫ মণ লবণের বিনিময়ে কোনো রকমে এক বস্তা চাল পাওয়া যায়। লবণের দাম এ বছর সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। অন্যদিকে দাম বেড়েছে চালসহ অন্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের।

বাজারে এখন সবচেয়ে কম দামের চালের কেজিও ৬০ টাকা। সে হিসাবে ৫০ কেজির এক বস্তা চালের দাম ৩ হাজার  টাকা। মাঠ পর্যায়ে লবণ উৎপাদনকারীরা ১৫ মণ লবণ বিক্রি করে পাচ্ছেন মাত্র ৩ হাজার  টাকা। অর্থাৎ এক বস্তা চালের বিনিময় হচ্ছে ২০ মণ উৎপাদিত লবণ।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে যে প্রতি কানি (৪০ শতক) জমিতে এক মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয় ৩০০ মণ।

চাষিরা  প্রতি কানি জমিতে লাগিয়ত খরচ করেন ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। লবণ উৎপাদনের জন্য মাঠ তৈরি করতে ৫থেকে ৬ হাজার টাকা খরচ হয়। পানি সেচ খরচ ১০থেকে ১২ হাজার টাকা, পলিথিন খরচ ৭থেকে ৮ হাজার টাকা এবং লবণ উৎপাদনের শ্রমিক ৫০থেকে ৬০হাজার টাকা সহ সব মিলিয়ে কানি প্রতি ১লাখ ২০হাজার থেকে দেড় লাখ  খরচ করে। এতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে লবণ উৎপাদিত হবে ৩০০শ থেকে ৩৫০ মণ। প্রতি মণ লবণ উৎপাদন খরচ ৩৫০ টাকা। প্রতি মণ লবণের বর্তমান বিক্রয় মূল্য ২০০ টাকা। সে হিসেবে  কানি প্রতি  জমিতে লবণ উৎপাদন করে তাকে লোকসান দিতে হবে ৬০থেকে ৭০ হাজার টাকা।

জমির ইজারামূল্য বাড়ায় হুমকির মুখে লবণ চাষ:

জমির মালিকদের কাছে জিম্মি লবণচাষিরা। বছর বছর লবণ চাষের জমির ইজারা মূল্য বাড়ানো হচ্ছে, এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে অন্যান্য খরচ। এতে লবণের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাচ্ছে। ফলে লবণের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় প্রান্তিক চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।

সংশ্লিষ্টরা জানান, লবণশিল্পের স্বার্থে জমির ইজারা যৌক্তিক পর্যায়ে থাকা প্রয়োজন। প্রতি বছর বাড়ানোর কোনো যৌক্তিকতা নেই। সরকার চাইলে জমির ইজারা দর নির্ধারণ করে দিতে পারে। এতে লবণশিল্প উপকৃত হবে। বর্তমানে এলাকাভেদে প্রতি একর জমি ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকায় ইজারা দেওয়া হচ্ছে।

জানা গেছে, লবণ চাষের জমির খাজনা সবচেয়ে বেশি কুতুবদিয়ায় । এখানে প্রতি একর জমির খাজনা ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকা। কারণ এখানের সমুদ্রের পানিতে লবণাক্ততা বেশি হওয়ায় লবণ উৎপাদনও অন্যান্য এলাকা থেকে বেশি হয়। কুতুবদিয়ায় লবণ চাষের জমিতে চিংড়ি চাষ হয় না। ফলে তারা মৌসুমে আগেভাগে লবণ চাষে নেমে পড়েন। কক্সবাজারসহ আশপাশের জমিগুলোতে চিংড়ির চাষও হয়। ফলে কুতুবদিয়ার চেয়ে বিলম্বে লবণ চাষ শুরু হয়।

এদিকে, মৌসুমের সময়ে লবণের ন্যায্যমূল্য পান না চাষিরা। প্রতি মণ লবণ ১৭০ থেকে ২০০ টাকার বেশি পাওয়া যায় না। মৌসুমের সময় মধ্যস্বত্ব্বভোগীরা সুবিধা নিয়ে নেন। আর্থিক সংকটে মৌসুমের সময়ে অধিকাংশ চাষি লবণ বিক্রি করে ফেলেন। যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে, তারা মাটির নিচে গর্ত করে লবণ মজুত করে রাখেন। সংশ্লিষ্টরা জানান, গত বছর চাহিদার তুলনায়  লবণ উৎপাদন বেশি হওয়ায় ।  ফলে  মাঠ পর্যায়ে লবণের দাম আগের চেয়ে কমেছে। বর্তমানে চাষি পর্যায়ে নতুন লবণ প্রতি মণ ২০০টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।এছাড়াও গত বছরের উৎপাদিত লবণ ১০ হাজার মে. টন এখনও বিক্রি করতে পারেনি চাষীরা।

বিসিকের (বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প) তথ্যমতে, গত মৌসুমে কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদনের জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৭শ ৫৮ দশমিক ৪৮ একর। গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরে লবণের চাহিদা ছিল ২৪ লাখ ৩৫ হাজার মে. টন। এরমধ্যে লবণ উৎপাদিত হয় ২৪ লাখ ৩৭ হাজার ৮শ ৯০ মে. টন। যা বিগত ৬৩ বছরের লবণ উৎপাদনের সর্বোচ্চ রেকর্ড ছিল।

লবণ সিন্ডিকেটের হাতে জিম্মি চাষিরা:

কুতুবদিয়ায়  নতুন লবণ  উৎপাদনের ধুম পড়েছে।  দালাল সিন্ডিকেট করে লবণের ন্যায মূল্য দেয় না লবণ চাষিদের।জেলার পাশ্ববর্তি উপকুলে  মাঠে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়। অথচ কুতুবদিয়ায়  এসব লবণ মাঠে চাষিদের উক্ত দালাল সিন্ডিকেট বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে নয় ছয় করে তাদেরকে সাদা লবণ মণ প্রতি দাম দিচ্ছেন ১৮০থেকে ২’শ থেকে  টাকা পর্যন্ত। জমির লাগিয়তও দ্বিগুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন লবণ চাষি জানান, উক্ত দালাল সিন্ডিকেটের কাছে এসব মাঠের লবণ চাষিরা জিম্মি হয়ে পড়েছেন। অনুসন্ধানে জানা গেছে, পাশ্ববর্তী উপকূলীয়  এলাকা চকরিয়া,বাশখালী, লবণ মাঠে  লবণ বিক্রি হচ্ছে মণ প্রতি ২’শ ৫০ থেকে সাড়ে ২’শ ৬০ টাকায়। অথচ কুতুবদিয়া-  লবণ মাঠে তার উল্টো,জমির লাগিয়তও দ্বিগুন। সরেজমিন  উপজেলার লবণ মাঠ ঘুরে দেখা গেছে, হাজার হাজার একর জমিতে চাষিরা সমুন্দ্রের লোনা পানি ঢুকিয়ে সূর্য তাপে সেই পানি শুকিয়ে উৎপাদন করছেন সাদা সোনা খ্যাত লবণ। বিকেলে সেই লবণ চাষিরা ঘরে তুলছেন। অথচ মাথার ঘাম পাঁয়ে পেলে কষ্টে অর্জিত লবণের সঠিক দাম পাচ্ছেনা।

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুঠির শিল্প (বিসিক) কুতুবদিয়ার লবণ প্রদর্শনীর পরিদর্শক জাকের হোছাইন বলেন,কুতুবদিয়ায় লবণ উৎপাদনের জমির পরিমাণ ৬ হাজার ৭শ ৫৮ দশমিক ৪৮ একর।  সিংহভাগ জমিতে লবণ উৎপাদন শুরু করেছে চাষীরা। চলতি মৌসুমে দেশের লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে ২৬ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন।