জনবল সংকটে কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা সেবা ব্যাহত

কুতুবদিয়া প্রতিনিধি:
কুতুবদিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বছরের শুরুতেই ডাক্তারসহ জনবল সংকটে পড়েছে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতাল। চিকিৎসকের ২৭ টি পদে ১২ জন চিকিৎসক থাকলেও গুরুত্বপূর্ণ বিভাগে দায়িত্বে ছিলেন বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার ৯ জন চিকিৎসক।গত ডিসেম্বরে এনজিও গুলোর প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ায় চলে যান সবাই। ফলে জানুয়ারির প্রথম থেকে জরুরি সেবার সিজার বিভাগ,আল্ট্রাসনোগ্রাফী বিভাগ বন্ধ হতে চলেছে। এছাড়া রেডিওগ্রাফার না থাকায় দেড় বছর ধরে এক্স-রে বিভাগ বন্ধ হয়ে আছে।
হাসপাপতাল সূত্র জানায়, ২য় থেকে ৪র্থ শ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারির ১৩৫ পদের মধ্যে এখন কর্মরত মাত্র ৬২ জন। ৭৩টি পদ খালী। সরকারি পদে কোন পরিচ্ছন্নতাকর্মী নেই। পরিচ্ছন্নতাকর্মী হিসেবে একটি এনজিও‘র ২ জন কর্মচারি কাজ করছেন। হাসপাতালের প্যাথলজি বিভাগে সরকারি ২ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্ট(ল্যাব) এনজিও‘র ২/৩ সহ দুই শিফ্ট চালু ছিল। এনজিও‘র টেকনোলজিস্টরা চলে যাওয়ায় বিকাল শিফ্ট বন্ধ হয়ে পড়েছে। যে কারণে প্যাথলজি বিভাগে রোগীর সংখ্যা অর্ধেকে নেমে এসেছে বলে জানা যায়।
জুনিয়র কন্সালটেন্ট গাইনী ও এনেস্থেসিয়া বিভাগের ৪ জনই চলে যাওয়ায় নরমাল ডেলিভারী হলেও সিজার করা বন্ধ হয়ে যায়। একই ভাবে সনোলজিস্ট চলে যাওয়ায় আল্ট্রাসনোগ্রাফী বিভাগটিও বন্ধের উপক্রম এখন। অপর দিকে ডিজিটাল এক্স-রে মেশিন থাকলেও রেডিওগ্রাফার বা এক্স-রে টেকনিশিয়ান নেই দেড় বছরের বেশি সময় যাবৎ। ফলে দ্বীপের বৃহৎ জনগোষ্ঠী গুরুত্বপূর্ণ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা: রেজাউল হাসান বলেন, গত সপ্তাহে বেসরকারি সংস্থার সহযোগী চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মচারিদের প্রকল্প মেয়াদ শেষ হওয়ায় কিছুটা বিঘ্ন ঘটছে। একজন চিকিৎসক মেটারনিটিতে থাকায় আল্ট্রাসনো আপাতত: বন্ধ রাখা হচ্ছে। জনবল সংকটে প্যাথলজি বিভাগে সকাল শিফটে সব ধরণের টেস্ট হচ্ছে। আগামী মার্চের আগেই জনবল সংকটের অনেকটাই সমাধা হবে বলে তিনি জানান।